ক্রীড়া প্রতিবেদক
ডাবল শিরোপা সেন্ট্রালের
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ওয়ানডে সংস্করণ স্বাধীনতা কাপে শিরোপা জিতেছে সৌম্য সরকারের ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে মুস্তাফিজুর রহমানের বিসিবি সাউথ জোনকে ৬ উইকেট হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সৌম্যর সেন্ট্রাল জোন। এতে করে চারদিনের শিরোপা জেতার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে এবারের মৌসুমে শিরোপার ?‘ডাবল’ পূর্ণ করেছে সেন্ট্রাল জোন। স্বাধীনতা কাপের আগে বিসিএলের লংগার ভার্সনেও এই সাউথ জোনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।
ম্যাচ জয়ের মূল কাজ করে দিয়েছিল বোলাররাই। বাকিটুকু শেষ করতে কোনো রকম পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি সেন্ট্রাল জোনের ব্যাটারদের। আগে ব্যাটিং করে ১৬৩ রানে অলঅউট হয় সাউথ জোন। জবাবে ব্যাটিং করতে এস আল আমিনের ফিফটিতে ৪৫ বল হাতে রেখে সহজ জয় তুলে নেয় সেন্ট্রাল জোন।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও সৌম্য সরকার দলকে ভালো সূচনা এনে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা ৬৫ রানের জুটি গড়েন। সৌম্য ২১ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর দ্রুতই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সেন্ট্রাল জোন। আবদুল মজিদ ১, মোহাম্মদ মিঠুন ৪ ও মিজানুর ৩৯ রান করে আউট হলে বিনা উইকেটে ৬৫ রান থেকে সেন্ট্রাল জোনের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৭৬ রান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে সেন্ট্রাল জোনের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও আল আমিন দলে এই চাপটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই দুজনের ব্যাটেই জয়ের শক্ত ভিত পেয়ে যায় সেন্ট্রাল জোন। হাতে ওভার থাকায় সেন্ট্রাল জোনের চাপ সামাল দেওয়া বেশ সহজ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন সৈকত ও আল আমিন। ফিফটির দেখা পান আল আমিন। শেষ পর্যন্ত ৪২.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৬৪ রান তোলে সেন্ট্রাল জোন। ৮৮ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন তারা। আল আমিন ৫৩ ও সৈকত ৮৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। সাউথ জোনের নাসুম ৩টি ও মেহেদি ১ উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান যোগ করেন বিসিবি সাউথ জোনের দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও এনামুল হক বিজয়। ২০ রান করে বিজয় আউট হন। এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় সাউথ জোন। পিনাক ৩৫ ও তৌহিদ হৃদয় শূন্য রান করে আউট হলে ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারায় সাউথ জোন। অধিনায়ক জাকির হাসান এবং অমিত হাসান চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩৪ রান যোগ করেন। এরপর আবার অল্প সময়ের ব্যবধানে জাকির ১৪ ও অমিত ২৯ রান করে আউট হন।
সাউথ জোনের ইনিংসে পরের ব্যাটাররা আর ভালো করতে পারেননি। মেহেদি হাসান, ফরহাদ রেজা কেউই রানের দেখা পাননি। নাহিদুল ইসলামের ব্যাটে ভর করেই মূলত দেড়শ রান পেরোয় সাউথ জোন। নাহিদুল ৩১ রান করে আউট হন। ৪৮.৫ ওভারে বিসিবি সাউথ জোন ১৬৩ রানে অলআউট হয়। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল ইসলাম অপু, সৌম্য সরকার, হাসান মুরাদ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী সবাই ২টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বিসিবি সাউথ জোন
১৬৩ (৪৮.৫ ওভার)
পিনাক ৩৫, নাহিদুল ৩১, অমিত ২৯
সৌম্য ২/১৯, মৃত্যুঞ্জয় ২/২৬
মুরাদ ২/২৯
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন
১৬৪/৪ (৪২.৩ ওভার)
আল আমিন ৫৩*, মিজানুর ৩৯
সৈকত ৩৩*
নাসুম ৩/৩২, মেহেদি ১/৩২
ফল : ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন ৬ উইকেটে জয়ী
"