ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৪ জুলাই, ২০১৯

অবশেষে রোনালদোর রেহাই

বেশ লম্বা সময় ধরে চলতে থাকা ধর্ষণ মামলা থেকে অবশেষে রেহাই পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পরশু তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটর। রোনালদোর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন সাবেক মডেল ক্যাথরিন মায়োর্গা। ৩৪ বছর বয়সি এ মডেলের দাবি, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি হোটেলে তার সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।

তবে ২০১০ সালেই কোর্টের বাইরে যৌথ সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন দুজন। কিন্তু গত বছরের শেষদিকে পুনরায় মামলাটি চালু করেন মায়োর্গা। যদিও শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন রোনালদো, যা অবশেষে মাধ্যমেই প্রমাণিত হলো। গত সোমবার আনুষ্ঠানিক এক বার্তায় লাস ভেগাসের প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, রোনালদোর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণের জন্য কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই মায়োর্গার কাছে।

কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মামলার ভুক্তভোগী ২০০৯ সালে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু প্রমাণ করেত পারেননি ঘটনা কোথায় ঘটেছে কিংবা কে তাকে নির্যাতন করেছে। যার ফলে পুলিশের পক্ষে পরবর্তী তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে মায়োর্গার অনুরোধেই গত বছরের আগস্টে ফের তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। প্রসিকিউটরের বার্তায় আরো জানানো হয়, পুনরায় তদন্তের পরেও রোনালদোর বিরুদ্ধে কোনো শক্ত তথ্য-প্রমাণ মেলেনি। যে কারণে সামনে এ মামলার জন্য আর কোনো চার্জ হবে না।

জার্মান সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘দার স্পাইগেল’-এ গত বছর এই ধর্ষণ মামলা সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছিল। যেখানে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সালে রোনালদোর কাছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার নিয়ে এ মামলার ব্যাপারে সমঝোতা করেছিলেন মায়োর্গা। তার আইনজীবী জানিয়েছেন, মূলত ‘#ট্যাগ মি টু’ আন্দোলনের কারণেই এ মামলাটি পুনরায় চালু করা হয়েছিল। ধর্ষণের কথা অস্বীকার করলেও রোনালদো কখনোই বলেননি যে, মায়োর্গার সঙ্গে তার দেখা হয়নি। জুভেন্টাস তারকা পরিষ্কার জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসে যা হয়েছে, তা ছিল দুজনের সম্মতিতে। তখন ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলতেন রোনালদো।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close