ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯

সেরেনার কান্নাভেজা বিদায়

মেয়েদের এককে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডসøামের মালিক হওয়ার অপেক্ষাটা বাড়ল সেরেনা উইলিয়ামসের। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে স্টেফি গ্রাফকে হারিয়ে মুক্ত যুগে ২৩টি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক হয়েছিলেন এই মার্কিন কৃষ্ণকলি। আরেকটি গ্র্যান্ডস্লাম জিতলেই ছুঁয়ে ফেলতেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি মার্গারেট কোর্টকে। কিন্তু ৩৭ বছর বয়সি কাল অশ্রুসজল বিদায় নিয়েছেন বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে। মেলবোর্নে শেষ চারে ওঠার নাটকীয় লড়াইয়ে সেরেনা ৬-৪, ৪-৬ ও ৭-৫ গেমে হেরে গেছেন সপ্তম বাছাই ক্যারোলিনা প্লিসকোভার বিপক্ষে।

গত বছর ইউএস ওপেনের ফাইনালে জাপানি সেনসেশন নাওমি ওসাকার বিপক্ষে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল সেরেনার। সেবার ফাইনালে ম্যাচ রেফারির সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে বেশ উত্তপ্ত সময় কেটেছিল তার। তবে এবার সেসব বিতর্ক ভুলে বেশ দুর্দান্তভাবেই ফিরে এসেছিলেন তিনি। শেষ ষোলোতে হারিয়ে দিয়েছিলেন এক নম্বর বাছাই সিমোনা হালেপকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কান্নাভেজা চোখে বিদায় নিতে হয়েছে সাতবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনজয়ীকে।

২৬ বছর বয়সি প্লিসকোভা রোলার কোস্টারে তৃতীয় সেটে ৫-১ গেমে পিছিয়ে থেকে চারটি ম্যাচ পয়েন্ট রক্ষা করে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেন। সেরেনাকে প্রথম সেটে ৬-৪ গেমে পরাজিত করে সেমিফাইনালে পথে এগিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু সেরেনা দারুণভাবে দ্বিতীয় সেটে ফিরে এসে লড়াই জমিয়ে তুলেন। তবে তৃতীয় সেটে এগিয়ে থেকেও তা ধরে রাখতে পারেননি। অবশ্য প্রতিপক্ষ কেবল প্লিসকোভায় ছিলেন না সেরেনার, পুরো ম্যাচে গোড়ালির চোটও ভুগিয়েছে মার্কিন ললনাকে। ম্যাচটি ছিল সেরেনার গ্র্যান্ডসøাম ক্যারিয়ারে ৫০তম কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ। ১৯৯৯ সালে তিনি যখন প্রথমবার গ্র্যান্ডসøামের শেষ আটে খেলছিল, তখন প্লিসকোভার বয়স ছিল মাত্র ছয়! বিশ্বের সেরা টেনিস তারকাকে হারানোটা তাই অবিশ্বাস্যই

বটে এই চেক সেনসেশনের জন্য। তবে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্লিসকোভা বলেন, ‘আমি কেবল পয়েন্ট তুলে নিয়েছি।’

শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে প্লিসকোভার প্রতিপক্ষ গত বছর ইউএস ওপেনজয়ী নাওমি ওসাকা। ২১ বছর বয়সি ওসাকা কোয়ার্টারে ৬-৪ ও ৬-১ গেমে হারিয়েছেন এলিনা সিভিতোলিনাকে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close