রুমানা রহমান
শীতে চুলের যত্ন
শীত এখনো জেঁকে বসেনি। তবে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। এ সময়ে নিজেকে সুন্দর রাখতে রূপচর্চায় একটি প্রয়োজনীয় অংশ চুল। চুলের মসৃণতা ধরে রাখতে শীতের শুরু থেকেই চাই বিশেষ পরিচর্যা। নয়তো
শীতের রুক্ষ প্রকৃতি আমাদের চুলও করে তুলবে রুক্ষ।
শীতে আপনার চুল স্বাস্থ্যবান রাখতে কিছু পরামর্শ
* চুলে ব্যবহারের পণ্য সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচন করুন। চুল ধুতে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং পরে ডিপার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন যাতে অতিরিক্ত ঠান্ডা বা শীতের কারণে চুল পরে না যায়।
* শীতে অনেকের চুল পড়তে দেখা যায়। এই চুল পড়া রোধে তেল ও ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে হালকা গরম করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে তাতে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে চুলে লাগান।
* শীতের দিনগুলোতে সবচেয়ে বেশি উপকারে আসে হট অয়েলের ম্যাসাজ। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, বাদাম তেল বা যেকোনো চুলে লাগানোর তেল হালকা গরম করে নিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে করে লাগান। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
* শীতের দিনে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় মাথার ত্বক ময়েশ্চার হারায়। ফলে কমবেশি সবাই এ সময়ে খুশকির সমস্যায় ভোগেন। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আধা কাপ অলিভ অয়েল হালকা গরম করে এর সঙ্গে এক ফালি লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। ৪৫ মিনিট রেখে হালকা কোনো শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন-চারবার এভাবে চুলের যতœ নিন।
* শীতে বেশির ভাগ মানুষের চুল রুক্ষ আর শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই রুক্ষ এবং নিষ্প্রাণ চুলের জন্য আধা কাপ পালংশাক, এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল নিয়ে ব্লেন্ডারে ভালোমতো ব্লেন্ড করুন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুলে সিল্কি ভাব আসবে ও চুল হবে মসৃণ প্রাণবন্ত।
* শীতের সময়ে গোসলের পর চুল শুকাতে অনেক সময় লেগে যায়, আবার ভেজা চুল নিয়ে বাইরে যাওয়াও সম্ভব নয়। তাই গোসলের পর তোয়ালেতে সবটুকু পানি মুছে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে মাঝে মাঝে চুল শুকাতে পারেন। হেয়ার ড্রায়ার সব সময় কম তাপমাত্রায় ব্যবহার করুন।
* শীতের দিনে চুল রুক্ষ হয়ে ফেটে যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। তাই চুলে কোনো রকমের ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিলেই দেরি না করে চুল ছেঁটে নিন।
খাদ্যাভ্যাস একটা বড় ভূমিকা পালন
করে চুলের সুরক্ষায়। তাই প্রচুর পানীয় গ্রহণ করা উচিত। বেশি করে পানি ও ফলের রস খান। পাকা পেঁপের রস চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। শীতকালীন ফল, সবজি ও পানির অংশ বেশি এমন খাবার যেমন লাউ, শসা বেশি
করে খান।
"