শীতে সর্দি-কাশি, গলাব্যথাসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় দ্বিগুণ। কারণ এ সময় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। ফলে সাধারণ ফ্লু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

এ সমস্যার সমাধানে ভারতের আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. অঙ্কিত তার ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন, স্টিম নেওয়ার। গরম পানির ভাঁপ নেওয়ার মাধ্যমেই নাকি কাশি-গলাব্যথাসহ ৯ রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।

কাশির সঙ্গে কফ ওঠা হতে পারে গুরুতর যে রোগের লক্ষণ : শুধু গরম পানির সঙ্গে মেশাতে হবে ঘরোয়া ৪ ভেষজ। এতেই নাক, গলা ও ফুসফুস সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই বিশেষজ্ঞের মতে, স্টিম থেরাপি নিলে নাক-গলা-ফুসফুস ময়লা বের হয়ে আসে।

শীতে কেন জয়েন্টের ব্যথা বাড়ে, সারানোর উপায় : হেলথলাইনের তথ্য অনুসারে, স্টিম ইনহেলেশন (স্টিম ইনহেলেশন বেনিফিটস) একটি দুর্দান্ত থেরাপি, যা ১১টি রোগপ্রতিরোধ ও চিকিৎসা করতে সহায়তা করে। যেমন-

সাধারণ ঠাণ্ডা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সাইনাস প্রদাহ, ব্রংকাইটিস, নাকের অ্যালার্জি, মাথাব্যথা, বন্ধ নাক, গলাব্যথা, বুকে জমা কফ ও শ্বাসকষ্ট, নাকে শুষ্কতা ও চুলকানি ও কাশি।

স্টিম নেওয়ার সময় কী কী ভেষজ পানিতে মেশাবেন : ডা. অঙ্কিত জানিয়েছেন, পানিতে তুলসী, দারুচিনি, লবঙ্গ ও গোলমরিচ মিশিয়ে স্টিমের পানি ফুটিয়ে নিন। এই ভেষজ শুধু শ্লেষ্মা থেকে মুক্তি দেয় না, নাক থেকে ফুসফুসের নালিতে যে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আছে তাও দূর করে।

যেভাবে স্টিম নেবেন : এজন্য প্রথমে একটি সুতির কাপড়ের মধ্যে তুলসী, দারুচিনি, লবঙ্গ ও কালো গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে একটি পুঁটলি তৈরি করতে নিতে হবে।

ঠাণ্ডায় হঠাৎ কানে যন্ত্রণা হলে দ্রুত যা করবেন : এবার একটি বড় পাত্রে গরম পানি ঢেলে তার মধ্যে ওই পুঁটলিটি দিয়ে দিন। এরপর আপনার মাথা তোয়ালেতে ঢেকে গরম পানির ভাপ নিন।

স্টিম নিলে যেভাবে উপকার মেলে : বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম পানির ভাপ নেওয়ার সময় তা নাক দিয়ে চলে যায়। এরপর গলা, বায়ুনালি ও ফুসফুসে পৌঁছায়। এই বাষ্প টিউবগুলোতে উপস্থিত শ্লেষ্মা (কফ) শিথিল করে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা

করে।

"