ডা. মো. মফিজুর রহমান রাজীব
ডায়াবেটিস রোগীর হাইপোগ্লাইসেমিয়া
এটা একটি মেডিকেল ইমারজেন্সি। কোনো কারণে রক্তের গ্লুকোজ বা চিনি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে সাধারণত ৩.৫ মিলিমোল/লিটার বা এর নিচে নেমে গেলে তাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে। শরীরের খাদ্য হলো গ্লুকোজ। রক্তের গ্লুকোজ কোনো কারণে কমে গেলে প্রাণঘাতী ঘটনাও ঘটতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীর হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও এর কারণগুলো-
১. ইনসুলিন বা ওষুধ নেয়ার পর সময় মতো খাবার না খেলে ।
২. ইনসুলিন বা ওষুধের মাত্রা কোনো কারণে বা ভুল করে বেশি হলে।
৩. হঠাৎ খুব বেশি ব্যায়াম করলে।
৪. কিডনি রোগ হলে।
৫. শারীরিক অসুস্থতার সময় প্রয়োজনের তুলনায় খাবার কম খেলে।
৬. এক সময়ের খাবারের চেয়ে পরবর্তী খাবারের সময়ের ব্যবধান বেশি হলে ইত্যাদি।
হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণগুলো
* ঘাম হবে, শরীর ও মনে অস্বস্তি হবে
* বুক ধড়ফড় করবে
* হাত-পা কাঁপবে
* মাথাব্যথা হবে
* চোখে ঝাপসা দেখবে
* অকারণে মেজাজ খারাপ হতে পারে, বিভ্রান্তি হবে
* অতিরিক্ত ঘুম এসে যেতে পারে
* অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে
কোনো অবস্থায় ওপরের লক্ষণ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্লুকোজ, চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে হবে। মিষ্টি খেতে ভয় পাওয়া যাবে না। কোনো কারণে ভুল হলেও মিষ্টি খাওয়ার ফলে রক্তের চিনি একদিন বেড়ে গেলে খুব বেশি বিপদ হবে না; কিন্তু হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কারণে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে, হতে পারে ব্রেইন ডেথ। মিষ্টি খাওয়ার খেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনি সুস্থবোধ করবেন। এরপর ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কারণে অজ্ঞান হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গ্লুকোজ ইনজেকশন দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, এটা একটা মেডিকেল ইমারজেন্সি। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা হাতের কাছে সব সময় টফি, চকোলেট, গ্লুকোজ ট্যাবলেট রাখবেন।
"