নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ মে, ২০১৭

শিনের মা-বাবা যা বললেন

‘মো. সুমন নামের এক টেকনিশিয়ান আমাদের বাসার ইলেকট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হলে মেরামত করে দিতেন। ১৭ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে দরজায় নক করে তিনি জানতে চান, ভাবি কেমন আছেন? কোনো সমস্যা আছে কি না? তাকে বাসায় ঢুকে ড্রয়িংরুমে বসতে বলি। আমার মেয়ে একটি কক্ষে ঘুমাচ্ছিল। আমি আরেকটি কক্ষে তার কাপড় আনতে যাই। এমন সময় হঠাৎ করে আমাকে ধাক্কা দিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন সুমন। আমার মেয়েকে নিয়ে যান তিনি।’...অপহৃত মেয়ে শিনকে ফিরে পেয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এসব কথা বলছিলেন মা রিতু ইসলাম।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের নামাবাড়ী রিভারভিউ সোসাইটির সাততলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন শাখাওয়াত হোসেন ও রিতু ইসলাম দম্পতি। তিন মাস আগে জন্ম হয় এই দম্পতির একমাত্র মেয়ে শিনের। এই দম্পতির ভাষ্য-১৭ মে মেয়েকে বাসা থেকে অপহরণ করে মো. সুমন। ফুটফুটে মেয়েকে অপহরণ করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। অপহরণের এক ঘণ্টা পর মুঠোফোনে দুই লাখ টাকা দাবি করে ৩১ বছর বয়সী এই যুবক। র‌্যাব-১০-এ অভিযোগ করলে সুমনকে কেরানীগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে আটক করা হয়।

চোখ ছলছল থাকলেও মেয়েকে কোলে তুলে মুখে হাসি ছড়িয়ে পড়ে রিতু ও শাখাওয়াতের। রিতু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দরজা বন্ধ থাকায় আমি চিৎকার করতে থাকি। ফ্ল্যাটের সদর দরজা খুলে শিনকে নিয়ে সুমন পালিয়ে যান। আমার চিৎকার ও কান্না শুনে পাশের ফ্ল্যাটের হেমা নামে এক নারী আমাকে উদ্ধার করেন। এরপর শাখাওয়াতকে খবর দিই। কিন্তু এক ঘণ্টা পর সুমন দুই লাখ টাকা দাবি করেন, না হলে শিনকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেন।’ তিনবার রিতুকে ফোন করে হুমকি দেন সুমন-এ কথা জানিয়ে শিনের বাবা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সুমন পুলিশ-র‌্যাবকে না জানাতেও হুমকি দেন। পরের দিন সকালে টাকার খবর জানতে চান তিনি।’ সুমনের সঙ্গে পরিচয় সম্পর্কে শাখাওয়াত বলেন, ‘আমাদের বাসা থেকে কিছু দূরে তার দোকান আছে। ইলেকট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হলে তাকে দিয়ে মেরামত করাতাম।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist