নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

তাপপ্রবাহের পর ঢাকায় বৃষ্টি

টানা কয়েক দিনের তাপপ্রবাহের পর গতকাল রাজধানীতে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। দুপুরের পর আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ শুরু হয় ধূলিঝড়। এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। নগর জীবনে নেমে আসে প্রশান্তি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী দু-একদিন দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির আভাস রয়েছে। তবে বৃষ্টি না হলে ফের তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, আজ (মঙ্গলবার) যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, এটি রাজধানীতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ। রাজধানীর বৃষ্টির কারণে রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। আগামীকাল (বুধবার) বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর মঙ্গলবার দুপুরের দিকেও বলেছিল, আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা একেবারেই কম ছিল। তারপরও বিকেল ৩টার পর রাজধানীর আকাশে মেঘ জমে। এরপর ঝোড়ো হাওয়া আর সঙ্গে বৃষ্টি। বৃষ্টি হয়েছে ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন জায়গায়ও। রাজধানীতে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ গতকাল বিকেল ৪টার দিকে বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সত্যিকার অর্থেই বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম ছিল। কিছু মেঘমালা ময়মনসিংহের দিক থেকে সিলেটে চলে যাওয়ার পূর্বাভাস মিলেছিল। কিন্তু বৃষ্টি হয়ে গেল ঢাকায়। তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা স্থানীয়ভাবে একটি মেঘমালা সৃষ্টি হয়। এই সময় এটা অনেক জায়গায় হয়ে থাকে। এটা দ্রুতই হয়, তাই এর পূর্বাভাস দেওয়া বেশ কঠিন।’

চলতি এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ঈদের তিন দিন আগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছিল। এরপর থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। গতকালও দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ। আজ বুধবার চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ দেশের কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিন সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

গত মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৪, রংপুরে ৩৬ দশমিক ৭, ময়মনসিংহে ৩৬ দশমিক ৮, সিলেটে ৩৪, চট্টগ্রামে ৩৬ দশমিক ৮, খুলনায় ৩৮ দশমিক ৬ এবং বরিশালে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহের প্রবণতা দেখা গেছে। চলমান তাপপ্রবাহ কিছুদিন থাকবে। উত্তর গোলার্ধ বা পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে সূর্য তাপ দিচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটসহ ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে এই তাপপ্রবাহ রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close