নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৬ এপ্রিল, ২০২৪

জুম’আতুল বিদায় মুসল্লির ঢল

পবিত্র জুম’আতুল বিদা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ঢল নামে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য শুক্রবার জুমার নামাজের নির্ধারিত সময় আগেই মসজিদে হাজির হন।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আজানের পরপরই শুরু হয় খুতবা। আলোচনায় আবারও মনে করিয়ে দেওয়া হয়, পবিত্র এ মাসের ফজিলতের কথা। নামাজ পূর্ব বয়ানে খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন পবিত্র মাহে রমজান, শবেকদর, জুম’আতুল বিদার তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেন। জাকাত ও ফিতরা আদায়ের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে উপস্থিত মুসল্লিদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। নামাজ শেষে খতিব দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন। এ সময় মুসল্লিদের আমিন-আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে যায় পুরো মসজিদ। কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক মুসল্লি।

মুসল্লিরা বলছেন, আজকের জুমাতুল বিদা কার্যত রমজান মাসকে বিদায় জানানো। এ মাসে ক্ষমাপ্রার্থীর বড় সুযোগ হাতছাড়ার ভয়ে তারা ভীত। এ ছাড়া এ মাসে আল্লাহর রহমত পাওয়ার মহাসুযোগ। তাই শেষ সময় হলেও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে তারা উদগ্রীব।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজানের আগেই ঢাকার মসজিদগুলোতে লোকজন উপস্থিত হতে থাকেন। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেকে সড়কে চাদর বিছিয়ে নামাজে অংশ নেন।

রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজের আগে বয়ান করেন খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন। তিনি মুসল্লিদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। এরপর বিশেষ মোনাজাত করেন।

মুসল্লিরা জানান, মোনাজাতে জাকাত ও ফিতরা আদায়ের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে উপস্থিত মুসল্লিদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন খতিব। মোনাজাতে তিনি দেশ-জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করেন।

জাতীয় মসজিদের পাশাপাশি মগবাজার, পান্থপথ, বাংলামোটর, মোহাম্মদপুর, কলাবাগান, কাঁটাবন এলাকাসহ রাজধানীর সব মসজিদে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ ছিল উপচে পড়া। এ সময় বাংলামোটর থেকে হাতিরপুল যাওয়ার সড়কটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া স্থানীয় সব মসজিদেই এলাকা ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েন মুসল্লিরা। অনেকেই সড়কে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়েন।

গুলিস্তানের পীর ইয়েমেনি জামে মসজিদের খতিব ইমরানুল বারী সিরাজী বলেন, ‘রমজানুল মোবারকের সর্বশেষ জুমা আমাদের মাঝে জুমাতুল বিদা নামে পরিচিত। রমজান মাস প্রায় শেষ দিকে, এ হিসেবে জুমাতুল বিদার গুরুত্ব অনেক। তবে আলাদা কোনো ইবাদত এবং বিশেষ পদ্ধতি নেই।’

রমজান মাসের শেষ জুমার এ দিনটিকে মুসলিম বিশ্ব ‘জুমাতুল বিদা’ হিসেবে পালন করে থাকে। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এ বিশেষ দিন পালিত হলো।

চট্টগ্রামে মুসল্লিদের ঢল, বিশেষ মোনাজাত

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে জুমাতুল বিদায় বিভিন্ন মসজিদে মূল ভবন ছাড়িয়ে আশপাশের সড়কে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। নামাজ শেষে মুসল্লিরা বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এতে নিজেদের পাশাপাশি দেশ ও জনগণের মঙ্গল কামনা করা হয়। মুসল্লিরা নিজেদের পার্থিব নানা সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সৃষ্টিকর্তার নিকট দুহাত তুলে মোনাজাত করেন।

পবিত্র এদিন যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আগে থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। জুমার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ শুরু করেন। বাবার হাত ধরে শিশু-কিশোররা মসজিদে উপস্থিত হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close