নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৬ এপ্রিল, ২০২৪

এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের শঙ্কা

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। চৈত্রের শেষদিকে প্রকৃতির বিরূপ আচরণ রোজাদারদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। প্রচণ্ড গরমে জনজীবন চরমে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে দেশের ১২টি জেলার ওপর দিয়ে ৩৬ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের পাশাপাশি জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তিতে ভুগছে মানুষ। এদিকে চলতি এপ্রিল মাসে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ও হতে পারে।

গতকাল শুক্রবার নিয়মতি আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়া প্রদানের নিমিত্ত গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এতে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও রাঙামাটি জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলাসহ মোট ১২টি জেলার ওপর দিয়ে গতকাল মৃদু (৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

চলতি মাসে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ওপরে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আহাওয়া অধিদপ্তর। দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানের নিমিত্ত গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. ছাদেকুল আলম স্বাক্ষরিত এপ্রিল-২০২৪ মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি) অথবা মাঝারি (৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি) এবং এক থেকে দুটি তীব্র (৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি) থেকে অতি তীব্র (৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ওপরে) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, এ মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া এ মাসে দেশে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাসহ পাঁচ থেকে সাত দিন হালকা অথবা মাঝারি এবং এক থেকে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখীসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। পাশাপাশি এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা অনুমোদিত জিপিসিএস, ইসিএমডাব্লিউএফ, জেএমএ, এনওএএ, আইআরআই, এপিসিসি, আরআইএমইএস এবং সিথ্রিএস থেকে প্রাপ্ত মডেল পূর্বাভাস, আবহাওয়া উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়া মানচিত্র, জলবায়ু মডেল, এসওআই ইত্যাদির যথাযথ বিশ্লেষণ পূর্বক এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close