নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ এপ্রিল, ২০২৪

দু-চার দিনের মধ্যেই যানজট কমবে

- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

শহরবাসীকে যানজট থেকে মুক্তির আশার কথা শুনিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, দু-চার দিনের মধ্যেই সড়কের জট কমে আসবে। গতকাল সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতরে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, ঈদের পূর্বে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্য বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘রমজান শুরুর পর থেকে দুপুর গড়ালেই রাজধানী ঢাকার সড়কগুলোয় প্রচণ্ড যানজট শুরু হয়। এ যানজট আরো তীব্র হতে শুরু হয় যখন ঈদ ঘনিয়ে আসে। বিশেষ করে মার্কেটসংলগ্ন রাস্তাগুলোয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। ১০ মিনিটের পথ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না।’ ‘যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ নিরাপত্তা বাহিনী সড়কে রয়েছে। ঈদ সামনে রেখে যানজট কীভাবে সহনীয় রাখা যায়, এ বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। আশা করি, শিগগিরই যানজট কমে যাবে’, যোগ করেন আসাদুজ্জামান।

ট্রাফিক পুলিশের কারণে রাস্তায় ৬০ শতাংশ যানজটের অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন। তারা এ বিষয়ে নিশ্চয়ই নজর রাখবেন।’ তিনি বলেন, ‘রমজানে যানজট কিছুটা বাড়ে এটা সত্য। তবে ঈদ ঘনিয়ে এলে এটা আরো বাড়ে। কারণ ঈদ কেনাকাটার জন্য মানুষ মার্কেটে যান। আবার উন্নয়ন কাজের জন্য কিছু রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ঈদের মার্কেটের জন্যই বিকেলের পর থেকে সারা ঢাকার শহর অচল হয়ে যায়। শুধু এক জায়গায় নয়, আমাদের অভিজ্ঞতায় দু-চার দিনের মধ্যেই ঢাকা শহরে যানজট কমে যাবে। তবে যানজট চলে যাবে আমাদের ঘরমুখো মানুষের ঢল যেখানে নামবে সেখানে।’

৯ এপ্রিল ছুটি হয়নি তাহলে ঘরমুখো মানুষের চাপ কীভাবে সামাল দেবেন, কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের ছুটি চাঁদ দেখার ওপর নির্ধারণ হয়। ২৯ রোজা হলে ঈদ ১০ তারিখে হয়। তাহলে ৯ এপ্রিল ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড ভিড় পরবে। আজকে ক্যাবিনেটে আলোচনা করে ছুটিটি ঐচ্ছিক করা হয়েছে। যারা প্রয়োজন মনে করবেন তারা ৯ তারিখ ছুটি নিতে পারবেন। সরকারি আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো ঐচ্ছিক ছুটি হিসেবে নিতে পারবেন। আর ব্যাংক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে।’ ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএ, বিকেএমইএ শ্রমিক সংগঠনগুলো বসে ছুটির দিকে খেয়াল রেখে তারা এ সিদ্ধান্ত নেবেন। যাতে ছুটিটা এক সঙ্গে না করে ধাপে ধাপে হয়।’

পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান নিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বৈশাখ ঘিরে প্রতি বছর আমরা একটা সময় ধরে দিই। সে সময় পার হলে আমাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী সজাগ থাকে। পহেলা বৈশাখের দিন মঙ্গল শোভাযাত্রা হোক বা যাই হোক, সেখানে কোনো বাধা নেই। তবে সন্ধ্যার পর সীমিত করে দিতে চেয়েছি যাতে করে উদ্যানে, রাস্তাঘাট ও উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান না করে একটা কমিউনিটি হল বা আবদ্ধ স্থানে নিয়ে যাবে- যাতে করে সবাই ভালো থাকে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close