আজ শুক্রবার ভারত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসছে বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে ২৯ মার্চের (শুক্রবার) মধ্যে আসার কথা। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে। জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়। বর্তমানে দেশে হালি পেঁয়াজের পূর্ণাঙ্গ মৌসুম চলছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে এলেও দামের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে গত বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, ট্রেড করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জন্য ভারতের ন্যাশনাল করপোরেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে এ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। সরকারই এ প্রতিষ্ঠানকে ঠিক করে দিয়েছে। এর আগে ২ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নারী উদ্যোক্তাদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসবে। এর ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে খুচরা বাজারে ভোজ্যতেল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা দরে বিক্রি শুরু হবে।

আহসানুল ইসলাম জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ত্রয়োদশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সময় ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। সেখানে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ পাঠানোর বিষয়ে চিঠি ইস্যু করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।

"