নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটিতে ভোটের হাওয়া

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ মহানগরীতে আবারও ভোটের জন্য চায়ের কাপে নানা আলোচনা চলছে। প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ করছেন। আর রাজনীতির নানা হিসাবও শুরু হয়েছে এই দুই মহানগরীতে। এবার এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতারা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে না। বিএনপি দলের নামে অংশ নেবে কি না তা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। জাতীয় পার্টিও প্রকাশ্যে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বহু নেতাকর্মী এই নির্বাচনে অংশ নিতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। উভয় সিটিতে কৌশলে চলছে উন্নয়নের প্রচার।

এদিকে, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং ৮টি পৌরসভার নির্বাচনী এলাকায় নতুন অনুদান বা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীদের তৎপরতা ক্রমেই বাড়ছে। নির্বাচন কমিশনও এই দুটো সিটি করপোরেশনের আসন্ন ভোটের জন্য ধাপে ধাপে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) উপনির্বাচনে মেয়র পদের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক দুবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার। দুজনই তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। যাচাই-বাছাই হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি ও ভোটগ্রহণ হবে ৯ মার্চ। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘আমি আমার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। তারপরও আমি জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিবসহ ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার পর বিএনপির অপর বহিষ্কৃত নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার জানান, উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে আমি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি আছে, সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলছে।

জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আয়তন প্রায় ৫৩ দশমিক ৮৪ বর্গকিলোমিটার। এ সিটিতে ২৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। সেখানে ১০ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এর আগে এখানে কুমিল্লা পৌরসভা ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পৌরসভা নামে দুটি পৌরসভা ছিল। ২০১১ সালের ১০ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এক অধ্যাদেশ জারি করে পৌরসভা দুটিকে একটি সিটি করপোরেশনের মর্যাদা দেয়। বর্তমানে কুমিল্লা সিটিতে ২ লাখ ৩০ হাজার ভোটার রয়েছেন।

২০২৩ সালের কুসিকের তৃতীয়বারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দুবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত। ওই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ এবং সাক্কু পান ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট পান।

২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিফাত। এরপর থেকে প্যানেল মেয়র হাবিবুর আল আমিন সাদী ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এখন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি আরো বেড়েছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে একাধিক নেতার দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রে লবিংয়ে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকায়। বিধিমতে, সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ শূন্য হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইসি আনিছুর রহমান জানান, নির্বাচন হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ করা হবে।

সূত্র মতে, ভোটে প্রার্থী হতে তৎপরতার দৌড়ে আছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি শফিকুল ইসলাম সিকদার, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ওমর ফারুক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক সেলিম, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি নুর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, কুসিকের প্যানেল মেয়র হাবিবুর আল আমিন সাদী এবং জেলা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল ইসলাম শিকদার।

ময়মনসিংহ নগরীতে সিটি ভোটের হাওয়া প্রবল হচ্ছে। নগর ভবনের হাল ধরার লড়াই এবার এখানে জমে উঠবে বলেই মনে করছেন নগরবাসী। ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিতে সবুজসংকেত পেতে উদগ্রীব হয়ে আছেন

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এই বিভাগীয় নগরীর দ্বিতীয় সিটি ভোটের জন্য কাউন্সিলর প্রার্থীরাও সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে মাঠ গোছানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সিটি করপোরেশনের ভোটে নৌকা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি করা হচ্ছে ‘বিভেদ এড়াতে এবং ভোটকে উৎসবমুখর করতে’। তবে ময়মনসিংহে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা এ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দুই শিবিরে ভাগ হয়ে যাচ্ছেন।

আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী আমেজ। নগরীতে বিগত সময়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে পোস্টার সাঁটিয়েছে সিটি করপোরেশন। তবে গত দুই দিন ধরে সিটি করপোরেশনের সাঁটানো পোস্টার ঢেকে তার ওপর বিদ্রুপাত্মক ও অপপ্রচারমূলক পোস্টার সাঁটাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা।

তবে কারা এমনটি করছে তা শনাক্তে সিটি মেয়রের কর্মীরা মাঠে নামে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত তারা বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয়। ভোর ৪টার দিকে নগরীর ভাটিকাশর আলিয়া মাদরাসা রোড এলাকায় সিটি করপোরেশনের উন্নয়নমূলক পোস্টারের ওপর সাঁটানো হচ্ছিল ওইসব বিদ্রুপাত্মক পোস্টার। এ সময় হাতেনাতে আটক করা হয় তিন যুবককে। তারা হলো মো. শরীফ, ইমন মিয়া ও মো. রায়হান।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ থাকতেই বেজে উঠেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনের ডামাডোল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে নগরীর সর্বত্রই ফের বইতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। এরই মধ্যে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নিজেদের জানান দিতে শুরু করেছেন। জানতে চাইলে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ বলেন, বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আমাদের একই সিদ্ধান্ত রয়েছে। সিটি নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের পাশাপাশি প্রতিহতের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় যে কর্মসূচি আসবে, আমরা সেটিই অনুসরণ করব।

তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিএনপি না এলেও ভোট হবে জমজমাট। সিটি নির্বাচনে তিনটি স্তরে ভোট হওয়ায় আরো বেশি ভোটার কেন্দ্রে যাবেন বলে তাদের আশা। ভোট উৎসবমুখর করতে নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতিও।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। দলীয়ভাবে না এলেও স্বতন্ত্রভাবে যেন করুক। তবে যদি নাই আসে তাহলে আমাদেরই একাধিক প্রার্থী থাকবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে।’

আগামী সিটি নির্বাচনে বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক টিটুর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ থেকে বেশ কয়েকজন প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাদেক খান মিল্কি টজু এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও প্রয়াত পৌর মেয়র মাহমুদ আল নূর তারেকের ছেলে ফারমার্জ আল নূর রাজীব।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটি স্থানীয় নির্বাচন। এক্ষেত্রে স্থানীয় সাধারণ নাগরিক আছেন তাদের সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এছাড়া এখানে যেহেতু মেয়র পদের পাশাপাশি কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর- এই তিনটি স্তরে নির্বাচন হবে, সেহেতু স্বাভাবিক অর্থেই ভোটাররা আরো বেশি উপস্থিত হবেন। এতে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করি।’

নগরের উন্নয়ন, ‘ক্লিন ইমেজ’ ও জনসম্পৃক্ততা বিবেচনায় দলীয় মনোনয়নসহ ভোটের মাঠে বর্তমান সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু এগিয়ে আছেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। বাসিন্দাদের সঙ্গে মেয়রের আন্তরিকতা ও আধুনিক নগরী গড়ার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে আসন্ন নির্বাচনে ভোটাররা মেয়র টিটুর দিকেই বেছে নেবেন বলে তাদের মত।

২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর ময়মনসিংহ পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনের ঘোষণার গেজেট প্রকাশ হয়। এরপর ২০১৯ সালের ৫ মে এই সিটি করপোরেশনের প্রথম ভোট হয়। তবে ওই নির্বাচনে বিএনপি থেকে বা বিরোধী কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনাভোটেই মেয়র নির্বাচিত হন মো. ইকরামুল হক টিটু।

৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৯১ দশমিক ৩১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ময়মনসিংহ নগরীতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৮ জন। প্রথমবার ভোটে ১২৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে শুধু মসিকের ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১১টি সংরক্ষিত কাউন্সিল পদে ভোট হয়েছিল।

ত্রাণ বিতরণ স্থগিতের নির্দেশ ইসির : ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং ৮টি পৌরসভার নির্বাচনী এলাকায় নতুন অনুদান বা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

ইসির উপসচিব উপসচিব এম মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের শূন্য পদ এবং ৩টি পৌরসভার (পটুয়াখালী পৌরসভা, বকশীগঞ্জ পৌরসভা, আমতলী পৌরসভা) সাধারণ নির্বাচন ও ৫টি পৌরসভার মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনগুলো প্রভাবমুক্ত রাখা এবং আচরণবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যে, নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অনুদান বা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। তবে যেসব ত্রাণ কার্যক্রম পূর্ব হতে পরিচালিত হলে তা চালু থাকবে। চিঠিতে জানানো হয়, নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নতুনভাবে গৃহীত অনুদান/ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্যও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কোনো এলাকায় অনুদান/ত্রাণ বিতরণ সংক্রান্ত নতুন কার্যক্রম গ্রহণ আবশ্যক হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close