প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৪ মার্চ, ২০২৩

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে অসহযোগ

একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চে পরিস্থিতি তখন বিস্ফোরণ¥ুখ; ১৪ মার্চ বঙ্গন্ধুর কাছ থেকে এলো জনতার আন্দোলনকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা।

সেদিন সকালে ধানমন্ডির বাসভবনে নিখিল পাকিস্তান ন্যাপ প্রধান নেতা খান আবদুল ওয়ালি খানের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অন্য আওয়ামী লীগ নেতারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সংগ্রাম স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। জনগণের সার্বিক স্বাধীনতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম চলবে।’ রাতে এক বিবৃতিতে তিনি সবাইকে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৩৫ দফা নির্দেশনা জারি করেন। আগের দিনের জারি করা সামরিক ফরমানের প্রতিবাদে ঢাকায় মিছিল করেন প্রতিরক্ষা দপ্তরের বেসামরিক কর্মচারীরা। ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ পশ্চিম পাকিস্তানে সম্পদ পাচার রোধের অংশ হিসেবে ঢাকার কয়েকটি স্থানে চেকপোস্ট বসায়। চট্টগ্রাম সংগ্রাম পরিষদ সারা শহরে মিছিল করে। হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষের এই মিছিল জয় বাংলা ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে সারা চট্টগ্রাম শহর। জাতীয় লীগ নেতা আতাউর রহমান খান অস্থায়ী সরকার গঠনের জন্য শেখ মুজিবুর রহমানকে আহ্বান জানান। এদিকে ১৪ মার্চ করাচিতে জুলফিকার আলী ভুট্টো এক সমাবেশে এক পাকিস্তান ও দুই অঞ্চলে দু-দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে একটি ‘ফর্মুলা উদ্ভাবনের’ প্রস্তাব দেন। আর ঢাকার পত্রিকাগুলো একটি যৌথ সম্পাদকীয় প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল- ‘আর সময় নেই’। তথ্যসূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক, রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী ‘৭১-এর দশমাস’।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close