বিজয়ের মাসে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের সহিংসতা বা বাড়াবাড়ি করলে এ পরিণতি ভালো হবে না বলে হুশিয়ার দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) নগরীর পলোগ্রাউন্ডে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দলটির নেতারা এমন হুশিয়ারি দেন। নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘সংবিধান সংশোধনের দিবাস্বপ্ন ভুলে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি বলেন, সরকার নাকি আপনাদের ঘুম নষ্ট করছে। আরে ঘুমটা তো আসলে নষ্ট হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার। দেশের মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, শান্তিতে ঘুমাতে পারে, সেই চিন্তায় শেখ হাসিনা ঘুমাতে পারেন না।

প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জিয়া, বিএনপি, খালেদা, এরশাদ মিলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বন্দি করেছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই বন্দি গণতন্ত্রকে মুক্ত করে ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ বিএনপির মুখে শুনি গণতন্ত্র আর ভোটের কথা। লজ্জা করে না? এই বিএনপিই রাতের অন্ধকারে ভোট চুরি করেছিল, হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট নিয়েছিল। ১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপি নেতাদের অনেক তর্জন-গর্জন শুনছি। মির্জা ফখরুল সাহেবকে পরিষ্কার করে বলতে চাই- বাড়াবাড়ি করলে পরিণতি ভালো হবে না। ইট মারলে পাটকেলটি খেতে হবে। সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করা হবে।

প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, একটি অশুভ শক্তি বলছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, নির্বাচন করতে দেবে না। এই বাংলাদেশের জনগণ কোনো অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতার মসনদে দেখতে চায় না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনই যথেষ্ট। চট্টগ্রামের জনসভা প্রমাণ করেছে, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে আবার জয়ী হয়ে ক্ষমতায় যাবে, শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, জনসভায় সমুদ্রের ঢেউ আর মানুষের ঢেউ যেন একাকার হয়ে গেছে। জনসভায় যত মানুষ হয়েছে, তার চেয়ে ৮-১০ গুণ বেশি মানুষ হয়েছে বাইরে। মির্জা ফখরুল সাহেব হুমকি দিচ্ছেন ১০ ডিসেম্বর নাকি বিএনপি ঢাকা দখল করবে। ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করেছিল। ১০ ডিসেম্বরও এই আগুন সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানি বাহিনীর মতো দেশের জনগণের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবে।

আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

"