নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ অক্টোবর, ২০২১

ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় খুন হন রমজান

ঢাকার আশুলিয়া জামগড়া শিমুলতলার ছিনতাইকারীদের বাধা দেওয়ায় খুন হন কাঠমিস্ত্রি রমজান মিয়া (১৯)। গত ১ অক্টোবর বুকে, পেটে এবং গলায় আঘাত করে হত্যা করে লাশ পলমল গার্মেন্টের সামনে ফেলে রাখে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় রবিবার রাতে ছিনতাইকারী দলের মূলহোতা সহযোগীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।

গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

সিআইডি জানান, ঢাকার আশুলিয়া জামগড়া শিমুলতলার ‘দি ভাই ভাই ফার্নিচারে’ কাজ করতেন রমজান মিয়া (১৯)। গত ১ অক্টোবর কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে পলমল গার্মেন্টের সামনে ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়েন তিনি। এ সময় মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে বাধা দেওয়ায় ধারালো ছুরি দিয়ে রমজানের বুকে, পেটে এবং সরু রড দিয়ে গলায় আঘাত করে ছিনতাইকারীরা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রমজান।

এ ঘটনায় নিহতের খালা মোসাম্মৎ কুলসুম বেগম অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও সক্রিয় ছিনতাইকারী দলের হোতা ও সহযোগীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির এলআইসি শাখার একটি দল। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন মূলহোতা আমিনুল (২৮), সহযোগী সাগর মোল্লা (২৮) ও মো. ইউনুছ (৩৫)।

বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, গত ১ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন জামগড়ার পলমল গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির সামনে রমজান মিয়াকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। আর্থিক অনটনের সংসারে জীবিকার তাগিদে প্রায় ৬ বছর আগে ঘর ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। রমজান মিয়া তার খালার সঙ্গে আশুলিয়ার জামগড়ার মোল্লা বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে থেকে তিনি ‘দি ভাই ভাই ফার্নিচার’ দোকানে ১১ হাজার টাকা বেতনে প্রায় ৩ বছর ধরে কাজ করে আসছিলেন। তাকে হত্যার ঘটনায় সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনার বিভিন্ন তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ ও গভীরভাবে বিশ্লেষণে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

রবিবার রাতে এলআইসি শাখার একাধিক টিম হত্যার ঘটনায় সরাসরি নেতৃত্বদানকারী মো. আমিনুলকে জামগড়া থেকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর দুই সহযোগী সাগর মোল্লাকে রাজধানীর মুগদা ও আশুলিয়ার জিরানী থেকে মো. ইউনুছকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে নিহত রমজানের মোবাইল এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা জানায়, তিনজনই সক্রিয় ছিনতাইকারী দলের সদস্য। আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত পথচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাই করে। বাধা পেলে ধারালো ছুরি, লোহার রড দিয়ে আঘাত করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close