নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ আগস্ট, ২০২০

দেশে মৃত্যু সাড়ে ৩ হাজার ছুঁই ছুঁই

আজ থেকে আর অনলাইনে ব্রিফিং হচ্ছে না

দেশে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের তালিকা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন আরো ৩৩ জন। ফলে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ৩ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। আর শনাক্ত হয়েছে আরো ২ হাজার ৯৯৬ জনের মধ্যে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাস বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৩১৭টি এবং পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৮২০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮৮টি। ২৪ ঘণ্টায় যা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৯৯৬ জনের মধ্যে। ফলে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫০৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন এবং নারী পাঁচজন। এ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ হাজার ৪৭১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৩৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৭২ জন।

শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার : বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

বুলেটিন উপস্থাপনের পর অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, অনলাইনে আর ব্রিফিং হবে না। তবে যথারীতি প্রেস রিলিজ সবাইকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আপনারা সব তথ্যই জানতে পারবেন। তথ্য প্রবাহে কোনো অসুবিধা হবে না। আজ বুধবার থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে করোনা সম্পর্কিত সব তথ্য পাবে গণমাধ্যম। গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে দুপুর আড়াইটায় করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন পরিবেশন করে আসছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। তার আগে থেকে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং হচ্ছিল।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close