নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ এপ্রিল, ২০২০

প্রণোদনা নয় করোনায় সুরক্ষা চান চিকিৎসকরা

বাংলাদেশে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিবারের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে তীব্র মানসিক চাপে রয়েছেন। এ কারণে তারা প্রণোদনার বদলে চান উপযুক্ত পিপিই অর্থাৎ করোনাভাইরাস সংক্রমণ-প্রতিরোধী পোশাক ও অন্যান্য সরঞ্জাম।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। কোভিড-১৯ চিকিৎসার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এমন ৬০ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর সাক্ষাৎকার নেয়া হয় এ সমীক্ষায়। তারা সবাই উপযুক্ত মানের পিপিইর জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন। তারা সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য আর্থিক প্রণোদনার চেয়েও পিপিইকে (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) বেশি গুরুত্ব দেন।

তারা বলেন, পরিবারের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে তাদের তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে। তাদের বক্তব্য, মরে গেলে প্রণোদনা দিয়ে কী করব? ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বেশ কজন চিকিৎসক তাদের এবং তাদের পরিবারের সুরক্ষা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রণোদনার দরকার নেই, আমাদের দরকার সুরক্ষার। মরে গেলে প্রণোদনা দিয়ে কী করব।

ওই চিকিৎসক বলেন, ঢাকার এই হাসপাতালটিকে করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত করার সিদ্ধান্ত হলেও হাসপাতালে একটিও এন-৯৫ মাস্ক নেই।

তিনি জানান, সম্প্রতি কিছু মাস্ক তাদের হাসপাতালে পাঠানো হলেও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। কিন্তু পরে তার বিকল্প কিছু এখনো আসেনি।

এন-৯৫ বা সমমানের ফেসমাস্ক এ ধরনের সংক্রমণের চিকিৎসায় আবশ্যকীয় একটি বস্তু। এটি ছাড়া চিকিৎসা করতে যাওয়া আর সুইসাইড মিশনে যাওয়া একই কথা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close