নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ অক্টোবর, ২০১৯

২৭৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত

নির্দেশনা না মানলেই বাতিল : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদা অনুযায়ী নির্দেশনা না মানলে এই সুবিধা বাতিল করা হবে। যাদের আমরা এমপিওভুক্ত করলাম, তাদের কাছে আমার আহ্বান, আপনারা নীতিমালা অনুযায়ী নির্দেশনা পূর্ণ করতে পেরেছেন বলেই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। কাজেই এটা ধরে রাখতে হবে। কেউ যদি এটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তবে তার এমপিওভুক্তি বাতিল হবে। কারণ এমপিওভুক্ত হয়ে গেছে, বেতন তো পাবই। আর ক্লাস করার দরকার কি? চালানোর দরকার কি? এই চিন্তা করলে কিন্তু চলবে না। গতকাল বুধবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ দিন ২ হাজার ৭৩০টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমপিওভুক্তির এই সিদ্ধান্ত গত জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এমপিওভুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা দীর্ঘদিনের একটা চাহিদা। আমরা গত বছর থেকে এই কাজ করেছি। সবার চেষ্টায় আজ একটা তালিকা করে এমপিওভুক্তের ঘোষণা দিতে পারলাম। তাদের কাছে আমার দাবি এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান এবং পরিবেশ যেন আরো সুন্দর হয়।

জাতির পিতা বলেছিলেন, সোনার বাংলা গড়ার জন্য আমার সোনার ছেলেমেয়ে দরকার। সেই সোনার ছেলেমেয়েই যেন তৈরি হয়। কারণ শিক্ষকরাই তো মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের ওপরেই এই দায়িত্বটা বর্তায়। কাজেই তারা সেটা করবেন। ইনশাল্লাহ, বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।

অনুষ্ঠানে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

কত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলো : নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীন স্কুল ও কলেজ রয়েছে ১ হাজার ৬৫১টি। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি) ৪৩৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) ১০৮টি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণি স্তরের প্রতিষ্ঠান ৮৮৭টি, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৮টি, কলেজ (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি) ৯৩টি এবং ডিগ্রি কলেজ ৫৬টি।

এছাড়া কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অধীন মাদরাসা রয়েছে ৫৫৭টি। এর মধ্যে দাখিল স্তরের মাদরাসা ৩৫৮টি, আলিম স্তরের ১২৮টি, ফাজিল স্তরের ৪২টি ও কামিল স্তরের ২৯টি মাদরাসা রয়েছে।

পাশাপাশি নতুন এমপিওভুক্ত হয়েছে ৫২২টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কৃষিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ৬২টি, ভোকেশনাল (স্বতন্ত্র) ৪৮টি, সংযুক্ত ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান ১২৯টি, বিএম স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান ১৭৫টি এবং বিএম সংযুক্ত প্রতিষ্ঠান ১০৮টি।

এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা সরকার থেকে পেয়ে থাকেন। সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এর পর থেকেই থেমে থেমে আন্দোলন করে আসছিলেন নন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

গত মঙ্গলবারও এই দাবিতে আন্দোলনে ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে রাতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের বৈঠকের পর তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close