আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অভূতপূর্ব বিজয়ের পর বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে না। বিএনপির এ ধরনের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নেরই নামান্তর। গতকাল বুধবার ঢাকার বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নবনির্মিত ভবনে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের আহ্বান জানানো ছাড়া বিএনপির এখন কিছুই করার নেই। কিন্তু বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেবে, দেশে এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেনি। তিনি বলেন, কীসের আন্দোলন, কার বিরুদ্ধে আন্দোলন, কে করবে আন্দোলন সেটাই তো জানি না। তার (মির্জা ফখরুল) আহ্বানে ১০ বছরে তো কাউকে সাড়া দিতে দেখিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি ভূমিধস বিজয়ের পর এ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ আন্দোলনে নামবে, ফখরুল সাহেবের আহ্বানে সাড়া দেবে এ ধরনের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নের নামান্তর। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান তুলে করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিআরটিএকে অবশ্যই দালালমুক্ত করতে হবে। যাদের কারণে বিআরটিএর সুনাম নষ্ট হবে, তারা সংশোধন না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিআরটিএকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে ভেতরে বাইরে দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে। দালালের সঙ্গে কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পাওয়া গেলে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী কাদের আরো বলেন, গাড়ি না এনেও (দেখিয়েও) গাড়ির ফিটনেস সংগ্রহ করা যেত, টাকা-পয়সার বিনিময়ে। এই ছবির পরিবর্তন কিছুটা হয়েছে। কিন্তু আমি পুরোপুরি এ দৃশ্যপটের পরিবর্তন চাই। এসব জন হয়রানি বন্ধ করতে হবে। জনসেবায় যেন কোনো ধরনের হয়রানি না হয়, সংশ্লিষ্ট সবাইকে সেদিকে লক্ষ রাখার আহ্বান জানান তিনি।

পদ্মা সেতুর বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সফলতার সঙ্গে পদ্মা সেতুর সপ্তম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর এক কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান হয়েছে। এ সময় তিনি দাবি করেন, এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ৬৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমানসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

"