প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৬ আগস্ট, ২০১৮

কলকাতার বেকার হোস্টেল

বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের শ্রদ্ধা নিবেদন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার ৮ স্মিথ লেনের সরকারি বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। মাল্যদান করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ উপহাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কলকাতার বিশিষ্টজনরা। একই সঙ্গে বেকার হোস্টেলের এই স্মৃতিবাহী কক্ষের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতেও মাল্যদান করা হয়।

কলকাতার সোনালী ব্যাংক, বিমান বাংলাদেশসহ কলকাতার কয়েকটি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও মাল্যদান করা হয় বঙ্গবন্ধুর আবক্ষমূর্তিতে। মাল্যদান করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্যরাও। এরপর এখানে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। উপস্থিত অতিথিরা ঘুরে দেখেন বঙ্গবন্ধুর কক্ষ। এর আগে সকালে কলকাতা উপহাইকমিশনে অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

সকাল ১০টায় উপহাইকমিশনে আয়োজন করা হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির। এখানে কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ কলকাতায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। তাদের মধ্যে উপহাইকমিশনের হেড অব চ্যান্সারি জিএম জামাল হোসেন, কাউন্সিলর মনসুর আহমেদ বিপ্লব, কাউন্সিলর শেখ শফিউল ইমাম, কাউন্সিলর শাহনাজ আখতার রানু, প্রথম সচিব মো. মোফাখখারুল ইকবাল প্রমুখ।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজের রেজা আলী ওয়াশাখ মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন। এ আলোচনাসভায় অংশ নেবেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্টজনরা।

১৯১০ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় এই বেকার হোস্টেল। এটি সরকারি ছাত্রাবাস। বঙ্গবন্ধু কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ডিগ্রিতে পড়ার সময় এই বেকার হোস্টেলে ছিলেন ১৯৪৫-৪৬ সালে। তিনি ২৪ নম্বর কক্ষে ছিলেন। সে দিনের এই ইসলামিয়া কলেজের নাম পরিবর্তন করে এখন নামকরণ করা হয়েছে মৌলানা আজাদ কলেজ। ১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়া হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। এই স্মৃতিকক্ষে এখনো রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বর কক্ষটিকে যুক্ত করে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন। সেই হিসেবে ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী সত্যসাধন চক্রবর্তী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close