ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

  ২২ জানুয়ারি, ২০১৮

ডিবি পরিচয়ে প্রবাসীকে অপহরণ : মুক্তিপণের টাকাসহ গ্রেফতার ১

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে সৌদি প্রবাসীকে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে রেজাউল করিম ওরফে রানা (২৬) নামে এক অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের কর্মী। গত শনিবার রাতে জেলা শহরের কাজীপাড়াস্থ জেলা ঈদগাহ মাঠ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। রেজাউল করিম দক্ষিণ মোড়াইল এলাকার মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে। গত শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলা দায়ের করেন সরাইল উপজেলার বছিউড়া গ্রামের জহিরুল ইসলাম।

মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী রেজাউল করিম রানা, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও শহরের পাইকপাড়ার অনিক পাল (২৬) ও পাভেল মিয়া (২৫) এবং মো. শান্তকে (২৩) আসামি করা হয়।

মামলার এজহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলা নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বাছিউড়ার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম জেলা শহরের কাউতলীর দিকে যাচ্ছিলেন। শহরের অবকাশ এলাকায় পৌঁছলে একটি মোটরসাইকেলে তিন অপহরণকারী সফিকুলের গতিরোধ করে। নিজেদের ডিবির পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে বলে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাকে গ্রেফতারের জন্য এসেছেন। কিছুক্ষণ পর অন্য একজন মোটরসাইকেলে আরেকজন ঘটনাস্থলে আসেন। তিনিও নিজেকে ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা বলে বলে পরিচয় দেন। পরে অপহরণকারীরা সফিকুলকে অবকাশ এলাকার বিপরীতে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে নিয়ে যান। সফিকুলের কাছে অস্ত্র আছে বলে অপহরণকারীরা তাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে সফিকুলের কাছে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় রেজাউল করিম। এ সময় অপহরণকারী সফিকুলের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। শফিকুল পাঁচ লাখ টাকা দিতে পারবে জানালে তারা এতে রাজী হয়। সফিকুল মুক্তিপণের টাকার জোগাড় করতে মুঠোফোনে চাচাতো ভাই মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি একসময় মনিরকে অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাতে বলেন অথবা টাকা সরাসরি পৌঁছে দিতে বলেন। পরে আবার মুঠোফোনে মুক্তিপণের দুই লাখ টাকা নিয়ে জেলা শহরের কাজীপাড়া ঈদগাহ মাঠে আসতে বলে। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে মনিরুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশকে অবহিত করে। সদর থানা পুলিশ কাজীপাড়া ঈদগাহ মাঠ এলাকা থেকে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে রেজাউল করিমকে আটক করে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, রেজাউল করিম ওরফে রানা নামে ছাত্রলীগের কোনো নেতা বা কর্মী নেই। তবে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক পদে থাকা নেতার নাম অনিক পাল। সদর থানার এসআই ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে অপহৃত সফিকুলের পক্ষ থেকে মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলার রেজাউল করিমকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist