বিনোদন প্রতিবেদক

  ২৩ জুলাই, ২০১৮

নাতাশার আইরিসেসের ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বিপাশা

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যরচয়িতা ও নির্মাতা আবুল হায়াতের যোগ্য দুই উত্তরসূরি বিপাশা হায়াত ও নাতাশা হায়াত। বাবার পথ ধরে বড় মেয়ে বিপাশা হায়াত অভিনয়ে বহু বছর দর্শকের প্রশংসাবাক্যে নিজেকে সিক্ত করেছেন। কিন্তু নাতাশা অভিনয়ের পথে খুব বেশি একটা সময় পথ চলেননি। ফ্যাশন সম্পর্কিত যেকোনো বিষয় তাকে বেশি টানত। বিপাশা হায়াত যখন অভিনয় শুরু করেন, তখন তার পোশাকও ডিজাইন করতেন নাতাশা। অভিনয় করলেও ২০০৮ সালে বিপাশার সঙ্গে পার্টনারশিপে ফ্যাশন হাউস ‘আইরিসেস ডিজাইনার স্টুডিও’র যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু পরপর দুই সন্তান শ্রীষা ও সাবীদ হওয়ায় চার বছরের বিরতি টানতে হয় এ ব্যবসায়। ২০১৩ সালে রাজধানীর গ্রিন রোডে আবারও নাতাশা রোকসানা আক্তার লোপার সহযোগিতায় আইরিসেস ডিজাইনার স্টুডিওর যাত্রা শুরু হয়। বছরের পর বছর নাতাশা যেন এ ব্যবসায় সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেন। যে কারণে প্রায় আট মাস আগে রাজধানীর বনানীর এফ ব্লকের ১২ নম্বর রোডে এর দ্বিতীয় শাখার যাত্রা শুরু করেন। নাতাশার বড় বোন বিপাশা আইরিসেস ডিজাইনার স্টুডিওর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করছেন। বিপাশা হায়াত বলেন, ‘মানুষের মধ্যে কোনো না কোনোভাবে শিল্পীসত্তা থাকে, হোক তিনি ব্যাংকার, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার বা অন্য কোনো পেশার। নাতাশা পড়াশোনা করেছে মার্কেটিং ম্যানেজম্যান্টে কিন্তু ফ্যাশনেই বরাবর তার আগ্রহ ছিল। টুকটাক অভিনয় করলেও যখন অভিনয় থেকে পুরোপুরি ফ্যাশন হাউসের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছে, তখন সে শান্তি খুঁজে পেয়েছে এবং আমি মনে করি মানুষ তার নিজের আনন্দের জন্য যখন কাজ করে তখন তা সততার সঙ্গেই করে। যে কারণে তার স্টুডিও থেকে ভালো এবং মানসম্পন্ন কাপড় তৈরি হচ্ছে, ক্রেতারাও আগ্রহী হচ্ছেন।’ নাতাশা হায়াত বলেন, ‘আমার বাবার আগ্রহেই আমি কিছুদিন অভিনয় করেছি। কিন্তু অভিনয়ে আমার মন টানেনি। যেহেতু আমার দুই সন্তান রয়েছে, তাই আমি এমন একটি কাজ করতে চেয়েছি, যা করতে গিয়ে আমি যেন সন্তানদেরও যথেষ্ট সময় দিতে পারি। এখন আমার ফ্যাশন হাউস যে অবস্থানে এসেছে, তাতে সন্তুষ্ট আমি। আমি আমার বাবা, মা, বড় আপু, শাহেদ এবং লোপার প্রতি কৃতজ্ঞ।’ উল্লেখ্য, নাতাশা হায়াত নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ এবং লন্ডনের একটি ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কেটিং ম্যানেজম্যান্টে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। নাতাশা গ্রামীণফোন, ইউএস এইডের প্রজেক্ট এটিডিপি, ওয়ারিদ টেলিকম, রেডিও ফুর্তি-চারটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন দশ বছর। ছোটবেলায় বাবার নির্দেশনায় মঞ্চনাটক ‘বিসর্জন’-এ প্রথম অভিনয় করেন। টিভিতে তার অভিনীত প্রথম নাটক ‘বন্দি’।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist