প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর

  ১৮ মার্চ, ২০২৪

বিশ্লেষণ

বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাবনা

বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা, যার মাধ্যমে শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই দেশের শিশু-কিশোররা প্রায়োগিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে এবং প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। এ জন্যই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে একটি যুগোপযোগী শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছায় ওই কমিশনের রিপোর্টে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সময়োপযোগী শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।

১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল সোমবার মহান জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথমদিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আজ আমরা যে সংবিধান দেব, তাতে মানুষের অধিকারের কথা লেখা থাকবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।’ এখানে মানুষের অধিকার বলতে বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা-দারিদ্র্য-শোষণমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলার কথা বুঝিয়েছিলেন।

বাংলাদেশকে একটি আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বিজ্ঞানচর্চার যে কোনো বিকল্প নেই, তা শুরু থেকেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞানী, গবেষক ও উদ্ভাবকদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সভায় তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন এবং উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনাগুলোকে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর নির্দেশনা প্রদান করতেন।

রাষ্ট্রীয় কাজের শত ব্যস্ততার মাঝেও বঙ্গবন্ধু নিয়মিত দেশের শিক্ষাবিদ ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে বসতেন। তাদের থেকে পরামর্শ নিতেন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নানাভাবে তাদের অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দিতেন। দেশের সবচেয়ে পুরোনো পেশাজীবী সংগঠন ও প্রকৌশল পেশাজীবীদের একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) আজীবন সম্মানী সদস্য ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাও আইইবির আজীবন সম্মানিত সদস্য। এটা দেশের প্রকৌশলীদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের ও অনুপ্রেরণার একটা বিষয়।

বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা, যার মাধ্যমে শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই দেশের শিশু-কিশোররা প্রায়োগিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে এবং প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। এ জন্যই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে একটি যুগোপযোগী শিক্ষা কমিশন গঠন করেন।

বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছায় ওই কমিশনের রিপোর্টে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সময়োপযোগী শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭২ সালের সংবিধানে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। পরে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)’ প্রতিষ্ঠা করেন। বস্তুত বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই রচিত হয় একটি আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশের ভিত্তি।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক-খালেদা চক্রের আমলে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, দুর্নীতি, মারাত্মক বিদ্যুৎ ঘাটতিতে বাংলাদেশ প্রায় ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছিল। এমন পরিস্থিতিতে ‘দিনবদলের সনদ’ ইশতেহার প্রণয়ন করে ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন, সেখানে ছিল দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধির পথে নতুন করে পথ চলার অঙ্গীকার।

স্বৈরশাসন ও দুর্নীতির বিপরীতে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া ও আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বসভায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠায় ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সময়কাল এ দেশের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে। ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসার পর তিনি তথ্যপ্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেন। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৯৯৮ সালে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়। ফলে, দেশে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে সূচিত হয় বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

বস্তুত জাতির পিতার সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পথে সফলভাবেই হাঁটছেন। বঙ্গবন্ধু গ্রিন এনার্জি, ব্লু ইকোনমি ও স্পেস টেকনোলজির যে রূপরেখা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সঠিক পথে এগিয়ে চলছি।

দিনবদলের সনদের সফল বাস্তবায়ন ও রূপকল্প ২০২১-এর পথ ধরে অর্জিত হয়েছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ভিশন-২০২১-এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা ঘোষণা করেন স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প। বস্তুত স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশেরই ধারাবাহিক প্রযুক্তিগত বিবর্তন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার আধুনিক রূপই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ।

এখন স্মার্ট বাংলাদেশকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলাই হবে আমাদের প্রথম কাজ। তরুণ ও নারীদের এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের যুবক ও নারীদের দক্ষ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ্য। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সীমিত সম্পদের সঙ্গে ভ্যালু অ্যাড করে টেকনোলজি ট্রান্সফারের মাধ্যমে দেশের অপার সম্ভাবনাময় তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলেই আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে নেক্সট লেভেলে পৌঁছাতে পারব।

দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ যে রোলমডেল স্থাপন করেছে, বিশ্বে তা ‘শেখ হাসিনা মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত। দেশের অদক্ষ ও স্বল্প দক্ষ জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা সুবিধা বৃদ্ধি করা, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির মাধ্যমে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের পরিপূর্ণ সুযোগ ব্যবহার করতে বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে, তা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন গবেষণা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর যে অর্থনৈতিক দর্শন, বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা সেটাকে বলছেন ‘হাসিনোমিক্স’।

বর্তমানে বিশ্ব চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে পদার্পণ করেছে। যেখানে প্রকৃতি, প্রযুক্তি ও মানুষ- এই তিনের সমন্বয় ঘটিয়ে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। মানুষের বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট এবং উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে রিয়েল এবং ভার্চুয়াল জগৎকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের জীবনমানকে আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলা।

মানুষ এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিকস, আইওটি, থ্রি-ডি, ন্যানোটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি এবং আরো অনেক প্রযুক্তির ব্যবহার করছে নানা ক্ষেত্রে। এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে কয়েকটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা ফ্যাসিলিটি বাড়াতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হলো, প্রতিটি সেক্টর ও প্রতিটি মানুষকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলা। শুধু উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলেই স্মার্ট হওয়া যায় না।

স্মার্ট হতে হলে সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তন দরকার তা হলো, ‘সর্বস্তরে টেকসই প্রযুক্তি বিনির্মাণ’। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে পরমুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে চলবে না। বিদেশি প্রযুক্তি এনে সেগুলোর অ্যান্ড ইউজার হওয়া যাবে না। তাতে সাময়িক স্মার্টনেস প্রদর্শিত হলেও প্রকৃত স্মার্টনেস অর্জিত হবে না। আমরা শুধু অন্যের টেকনোলজির ব্যবহারেই সীমিত থাকব না, আমাদের দেশের মানুষের যে অপার সৃজনশীলতা আছে, তাকে কাজে লাগিয়ে দেশীয় চাহিদার প্রেক্ষিতে দেশীয় ইকোসিস্টেমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ টেকনোলজি উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে।

ভিশন ২০৪১-এর জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, তাতে টেকসই উন্নয়নের কথা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ রয়েছে। আর তা বাস্তবায়নে এখনই আমাদের স্লোগান হওয়া উচিত- ‘স্মার্ট হব নিজস্ব প্রযুক্তিতে, আর নয় ভিনদেশি প্রযুক্তি’। বিদ্যুৎ-জ্বালানি, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তির সর্বস্তরে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে দেশীয় প্রযুক্তির বিকাশে।

এ ছাড়া স্মার্ট হতে হলে নিজেদের তথ্যের সিকিউরিটি নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে। তাই সাইবার সিকিউরিটি, ডিজিটাল ফরেনসিকের মতো জায়গায় দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। ন্যানো টেকনোলজি, চিপ ডিজাইন ও ফ্যাব্রিকেশন টেকনোলজি, রোবোটিকস, জিনোম সিকোয়েন্স, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্সসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নিজস্ব দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারলে, নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পারলে পরমুখাপেক্ষী না হয়েই আমরা দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।

প্রধানমন্ত্রীর মহীরুহের মতো ছায়া ও সার্বক্ষণিক উৎসাহের কারণেই দ্রুততম সময়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতুর আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ও কমপ্লেক্স স্ট্রাকচারের এই সেতুর ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সিলেন্স আজ উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশনে পঠিত হচ্ছে।

মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, শাহজালাল এয়ারপোর্টের থার্ড টার্মিনাল ইত্যাদি প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলে বাঙালি যেকোনো অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। আমরা স্বপ্ন দেখি, প্রধানমন্ত্রী ও তার সুযোগ্য আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে শুধু ইকোনমিক ও পলিটিক্যাল ডিপ্লোমেসি নয়, সায়েন্স ডিপ্লোমেসি ও টেকনোলজিক্যাল ডিপ্লোমেসিতেও আগামী দিনে বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। এর মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত হবে স্বপ্নের সোনার বাংলা।

লেখক : সংসদ সদস্য, সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয় সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close