অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ

  ২৫ মে, ২০২৩

বিশ্লেষণ

কবি নজরুলের অসুস্থতা ও তৎকালীন প্রসঙ্গ

১৯৪২ সালের ১০ জুলাই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন কবি নজরুল। কবির প্রিয়তম অনুজপ্রতিম জুলফিকার হায়দারকে চিঠি লিখতে গিয়ে তারিখে ভুল লিখেছিলেন অর্থাৎ ১০.৭.৪২-এর স্থানে ৭.১০.৪২ লিখেছিলেন। তিনি কিছুটা স্মৃতিভ্রষ্ট হয়েছিলেন। ১৫/৪ শ্যামবাজার স্ট্রিটে কবির বাসভবনে এসে জুলফিকার দেখেন, দোতলার ছোট ঘর, পড়ে আছেন কবি। ডান হাতটা কাঁপছে, বিমর্ষ, বিষণ্ন, কোনো ঔজ্জ্বল্য নেই। কবির পাশেই পড়ে আছেন রুগ্ণ শীর্ণ প্রমিলা দেবী। পঙ্গু হয়ে তিনি বিছানায় শয্যাশায়ী। কিছুক্ষণ পরই ঘরে ঢুকলেন বাড়ির মালিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডি এল সরকার। বলেন, কী ব্যাপার? শরীরটা কি ভালো নেই? কি কষ্ট হচ্ছে? কবি তার ডান হাতটা ডাক্তারের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, হাতটা কাঁপছে। ছোট কথাটিও তিনি কিন্তু স্পষ্টভাবে বলতে পারলেন না। অস্পষ্টভাবে ও জড়িয়ে জড়িয়ে কথা কটি বললেন।

ডাক্তার বললেন, এটা কি প্রথম অট্যাক? আগে কি কখনো এ রকম হয়েছে? কবি নীরব। গিরীবালা দেবী বললেন, ওর কোনো অসুখই আগে কখনো দেখিনি। কথা বলতেই নুরুর কষ্ট হচ্ছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ডা. ডি এল সরকারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা চলল। কিন্তু রোগের প্রকোপ কমল না বরং জিহ্বা আরো বেশি জড়িয়ে যাচ্ছিল। হাত কাঁপাটা কখনো কমছে কখনো বাড়ছে। মাঝে মাঝেই ভীষণ ক্ষীপ্ত হয়ে উঠছেন। উগ্রমূর্তি ভয়ানক দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াল। ইতিমধ্যে নজরুলের এই আকস্মিক শরীর বিপর্যয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ভারত বিখ্যাত এই কবি, বাঙালির প্রাণের কবি খবর পেয়ে তার শুভানুধ্যায়ী ভক্তরা সবাই দলে দলে ছুটে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু না, সে রকম কেউ এলো না। হিন্দু, মুসলমান সবার কাছে তিনি পরিত্যাগী। বাঙালির প্রাণে বিদ্রোহের আগুন লাগিয়ে ছিলেন যিনি, শ্যামা-সংগীতের পাশাপাশি ইসলামি সংগীতে ঝড় তুলেছিলেন যিনি, অসম্ভর সংগীত লিখে সুর দিয়ে যিনি বাঙালির সংস্কৃতির জগৎকে সমৃদ্ধ করেছিলেন, আলোকিত করেছিলেন- সেই কবি কাজী নজরুল ইসলাম অসুস্থ অবস্থায় পাশে পেলেন না কাউকে। ঘরে তার অসুস্থ পঙ্গু স্ত্রীর জন্য, কাজী অনিরুদ্ধ, কাজী সব্যসাচীর জন্য টাকা দরকার। বাড়িতে আরো দু-তিনজনের সঙ্গে শাশুড়ি গিরীবালা দেবী আছেন, এই সংসার চালানোর জন্য টাকা দরকার। তার নিজের চিকিৎসার জন্য, ওষুধপত্র কেনার জন্য টাকা দরকার। কিন্তু সেই নিদারুণ অসুস্থ অবস্থায়ও কোনো আর্থিক সাহায্য পেলেন না।

১৯ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নজরুল ইসলামের অবস্থা জানানো হলো কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার কবির রোগাক্রান্ত অবস্থাকে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর ওপর দায়িত্ব দিয়ে নিজ দায়িত্বটুকু এড়ালেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী। তিনি কবিকে দেখতে আসেন এবং কবির ইচ্ছানুযায়ী হাওয়া বদলের জন্য মধুপুরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। কবি মধুপুরে ছিলেন ২ মাস ৪ দিন। ডা. ডি এল সরকারের চিকিৎসা (হোমিওপ্যাথিক) চলল, কিন্তু কোনো সাফল্য দেখা গেল না। ইতিমধ্যে কবির অসুস্থতার খবর পত্রিকায় আরো একবার ছাপা হলো। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও তাকে কেউই উল্লেখযোগ্যভাবে দেখতে এলেন না। এবার ঠিক হলো কবির এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করা হবে। কিন্তু তার জন্যও টাকা দরকার। টাকার সংস্থানের জন্য যে ঘোরাঘুরি হলো তা ছিল মর্মান্তিক।

ফজলুল হকের কাছে পুনরায় সাহায্য প্রার্থনা করা হলো। পাওয়া গেল নিষ্ফল উপদেশ। নাজিমউদ্দিন বললেন, অসুখ হলে ডাক্তার দেখান, আল্লাহ ভালো করবেন। সোহরাওয়ার্দী বললেন, নজরুলের অসুখ তা আমার কাছে কেন তোমাদের ফজলুল হক আছে না! তার কাছে যাও। শফিকুল ইসলাম তখন তিনি ছিলেন ছাত্র, বলে উঠলেন মুসলিম স্বার্থের বিরুদ্ধে যে নবযুগে লিখছে সেই মুসলমানরা কেন সাহায্য করতে যাবে। এসব শব্দ শুনলে বাকরুদ্ধ হয়ে যেতে হয়। মুসলমান বুদ্ধিজীবীরা যে দৃষ্টিতে বিচার করছিলেন, ঘোর দুর্দিনে যে মনোভাব প্রকাশ করছিলেন তা সত্যি সত্যি নিন্দারও অযোগ্য। কোনো প্রতিভার প্রতি এমন অবিচার আমাদের অনেক কিছু শেখায়, নিরুপায় হয়ে তৃতীয়বারের মতো ফজলুল হক সাহেবের নিকট যোগাযোগ করা হলো। সব শুনে বললেন, নজরুলকে রাচীর মেন্টাল হসপিটালে পাঠিয়ে দাও। কিন্তু ফজলুল হক সাহেবের প্রস্তাবে প্রমিলা দেবী ও গিরীবালা দেবী রাজি হলেন না। স্বনামধন্য কবিরাজ বিমলানন্দ তর্কতীর্থ স্বতপ্রাণিত হয়ে বিনা পারিশ্রমিকে চিকিৎসা করতে রাজি হলেন। কবিরাজী চিকিৎসার দায়িত্ব তিনি নিলেন। একসময় তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথেরও চিকিৎসা করেছিলেন। তার চিকিৎসায় ধীর গতিতে কবির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নতুন নতুন উপসর্গ দেখা দিল।

অবশেষে ১৯৪২-এর ২৫ অক্টোবর কবিকে লুম্বিনী মানসিক হাসপাতালে বিশিষ্ট ডা. গিরীন্দ্র শেখর বসুর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এই লুম্বিনী হাসপাতালেই কবিকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তার ডান পায়ে পরানো হয়েছিল শেকল আর সেই শেকল ভাঙার জন্য সারাদিন চলত ভয়ংকর উন্মত্ততা, অশ্রাব্য গর্জন করতেন। যত্রতত্র মলমূত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকত। খাঁচাবন্দি বাঘের মতো টকটকে ছিল তার চোখ দুটি, তার সেই দুর্বিষহ আর্তনাদ, চিৎকার ছিল সুস্থ মানুষের সহ্যের সীমানার বাইরে। লুম্বিনী হাসপাতালে চিকিৎসা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং ব্যয় বহন করার ক্ষমতা ছিল না নজরুল পরিবারের। প্রায় চার মাস যেতে না যেতেই ১৯৪৩ সালের ২৪ অথবা ২৫ ফেব্রুয়ারিতে নজরুলকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলো। একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সে সময় দেখা গেল, তিনি তার আগের মতো উন্মত্ত আচরণ করছেন না। বরং হয়ে পড়েছিলেন নির্বাক নিষ্পৃহ ও ভাবলেশহীন। তার করুণ চোখ দুটিতে ছিল এক উদাসীন দৃষ্টি। স্মৃতিভ্রমের অন্ধকারে তিনি যখন তলিয়ে যাচ্ছেন, তখন বাইরের বিশ্বে কিন্তু ঘটে যাচ্ছে অনেক ঘটনা। একদিকে যেমন চলছিল মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, অন্যদিকে চলছিল নেতাজি সুভাষের নেতৃত্বে আযাদ হিন্দ বাহিনীর মরণপণ লড়াই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘনঘটায় গোটা ভারতে জাপানিদের বোমাবর্ষণের আতঙ্ক। তুষের আগুনের মতো জ্বলছিল হিন্দু মুসলমানের ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। সেই অস্থির সময়ে সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ছিল ১৯৪৬ সালের আগস্ট মাসে দাঙ্গা যখন চলছিল, তখন নজরুল ইসলামের শাশুড়ি গিরীবালা দেবী যিনি নজরুলের সংসারকে দুহাত দিয়ে আগলে রেখেছিলেন সমগ্র দুর্যোগ থেকে, মহীয়সী এক মহিলা হঠাৎ চিরকালের জন্য নিরুদ্দিষ্ট হলেন। কবির সংসার ছেড়ে তিনি চলে গেলেন। কোথায় গেলেন আজ পর্যন্ত কেউ জানে না।

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হলো, নবগঠিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার কবি নজরুলের পরিবারের জন্য অর্থ সাহায্য বরাদ্দ করল। ১৯৫২ সালের ২৫ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের পরামর্শে নজরুলকে সরকারিভাবে রাচিতে পাঠানো হলো। রাচিতে মেজর ডেভিসের তত্ত্বাবধানে প্রায় চার মাস পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও কবির অবস্থার কোনো উন্নতি হলো না। ১৯৫৩ সালের ১৪ মে সরকারি অর্থসাহায্যে নীরব কবিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো। লন্ডনে ডাক্তারদের একটি বোর্ড চার মাস পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কোনো ডাক্তারই কবির চিকিৎসার পদ্ধতি নির্ণয় করতে পারলেন না। একটি রিপোর্টে তারা বললেন, তারা নিশ্চিত যে, কোনো মেডিকেল বা সার্জিকেল চিকিৎসায় কবিকে পুনঃজাগরণ বা তার ইন্টেলেকচুয়েল পাওয়ার পুনরুদ্ধার করা যাবে না। উই রিগ্রেট টু ছে, হি হেজ পারমানেন্টালি লস্ট হিজ মেমোরি। হিজ ক্রিয়েটিভ পাওয়ার উইল নট রিটার্ন। কবি কি রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তা নিয়ে কিন্তু ডাক্তারদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছিল। ইনভল্যুশনাল সাইকোসিসে কবি আক্রান্ত কেউ বললেন আবার কেউ কেউ রাচির ডাক্তার ডেভিসের ডায়াগনসিস সমর্থন করছেন। এরপর লন্ডন থেকে কবিকে ভিয়েনায় নিয়ে যাওয়া হলো। ভিয়েনায় সেরিব্রেল এনজিওগ্রাফি পরীক্ষা করা হয়। বিখ্যাত স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হানস হফ বললেন, পিস ডিজিজ এক দুরারোগ্য মস্তিষ্ক রোগে কবি ভুগছেন। কবির ক্ষেত্রে এই রোগটি এত পুরোনো হয়েছে যে, এ থেকে সেরে ওঠা কবির আর কোনো সম্ভাবনা নেই।

১৯৫৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর সোমবার সবাই কবিকে নিয়ে কলকাতায় ফিরে এলেন। ১৯৬২ সালের ৩০ জুন প্রমিলা দেবী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৪ বছর। বর্ধমানের চুরুলিয়াতে কবিপত্নীকে সমাহিত করা হয়। প্রমিলার মৃত্যুর পর কবি হলেন নিঃসঙ্গ, একাকী। এরপর ১৯৭২ পর্যন্ত কবির জীবন কাটল করুণায়, রাষ্ট্রীয় অনুগ্রহের ভরসায় একাধিকবার পরিবর্তিত বাসস্থানে আর দেশি চিকিৎসকদের নির্ভরতায় ব্যর্থ চিকিৎসার মধ্য দিয়ে। ১৯৭২ সালের পর কবির জীবনের শেষ চারটি বছর অন্যভাবে লেখা হলো। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর শুরু হয় নজরুলের পুনঃমূল্যায়ন। নজরুলকে এক মহান সংস্কৃতির পুরধারূপে বাংলাদেশের ভক্তরা মূল্যায়ন করলেও কবিকে সম্মুখে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলেন বাঙালিরা। বঙ্গবন্ধু ইন্দিরা গান্ধীর কাছে নজরুলকে চেয়ে নিয়ে এলেন ঢাকায় এবং ভূষিত করলেন জাতীয় কবিরূপে। ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে ঢাকায় আনা হলো। হাজার হাজার বাঙালিরা প্রাণোচ্ছাসে বিমানবন্দরে কবিকে অভিনন্দন জানালেন। যদিও কবি ছিলেন নিষ্পৃহ ও নির্বিকার। পরের বছরের ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতি থাকার পরও ভারতের কাছে কবিকে ফেরত দিল না। চিকিৎসায়, যত্নে, সংবর্ধনায় ভারত সরকার এতই সন্তুষ্ট ছিল যে কবিকে ফেরত নেওয়ার কোনো চিন্তাই তারা করল না।

ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু সরকারের সযত্নে কবি নির্বাক অবস্থায় সচ্ছন্দেই ছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ছোট ছেলে কাজী অনিরুদ্ধ মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ উপাধি একুশে পদকে কবিকে ভূষিত করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর শুরু হলো সামরিক শাসন। নজরুলের জীবনও মসৃণ রইল না। সেনা কর্মকর্তাদের দৃষ্টি ধানমন্ডির বাড়িটির ওপর থাকায় পিজি হাসপাতালের একটি কেবিনে কবিকে স্থানান্তরিত করা হলো। শুইয়ে দেওয়া হলো হাসপাতালের কেবিনে। প্রশস্থ বাড়ির আঙিনা থেকে কেবিনে ঠুকিয়ে দেওয়া হলো ছোট খাঁচায়। আকস্মিক বিপর্যয় দেখা দিল কবির দেহে। এক বছর কেবিনে থাকার পর জ্বর এবং নিউমোনিয়া-জাতীয় রোগে আক্রান্ত হলেন। তখন তার বয়স ৭৭ বছর। চিকিৎসকের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে জীবনমৃত কবির দেহটিকে মৃত্যু এসে গ্রাস করল। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট রবিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে এই মহাজীবন চিরকালের জন্য থেমে গেল। কবি লিখেছিলেন- ‘মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই,/যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।’

কবির অনুগামীরা বাংলাদেশেই কবিকে সমাহিত করার প্রস্তাব দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদসংলগ্ন স্থানে কবিকে কবরস্থ করলেন। আমাদের প্রস্তাবনা হচ্ছে কবিকে যে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল তার নামকরণ কবির নামে করা হোক এবং যে কেবিনে তিনি ভর্তি ছিলেন সেখানে তার চিকিৎসার রেকর্ডসমূহ এবং তৈজষপত্রাদি দিয়ে একটি জাদুঘর তৈরি করা হোক। বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সুযোগ্য উপাচার্য চাইলে এ কাজটি সম্পন্ন করে বাংলার মানুষকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করতে পারেন। স্মরণে বরণে কবি নজরুলকে সর্বোচ্চে ধরে রাখার এটিই হতে পারে একটি মহৎ উদ্যোগ। (ইউটিউব থেকে সংগৃহীত)

লেখক : সাবেক অধ্যক্ষ

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close