রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১১ আগস্ট, ২০২২

পর্যবেক্ষণ

রাজনীতির টানাপড়েনে ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্য

এখন থেকে প্রায় এক যুগ আগেও যদি কোনো ইসরায়েলি সরকার অধিকৃত পশ্চিম তীরের এক চিলতে জমি অধিগ্রহণের ঘোষণা দিত, আরব বিশ্বের ২২টি দেশেই প্রতিবাদের ঝড় উঠত। কিন্তু ২০২০ সালের জুন মাসে যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের সবচেয়ে উর্বর অঞ্চল জর্ডান উপত্যকার বিশাল একটি অংশকে নিজের দেশের অংশ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন, আরব দুনিয়ায় তেমন কোনো উচ্চবাচ্যই শোনা যায়নি। ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র তৈরির শেষ সম্ভাবনাও নস্যাৎ হয়ে যাবে, ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে বারবার এই আশঙ্কা জানানো হলেও সৌদি আরব এবং তার আরব মিত্ররা মৌনব্রত পালন করছে। তারপর দুমাস না যেতেই দুটি উপসাগরীয় আরব রাজতন্ত্র ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেছে। হতাশ, ক্রুব্ধ ফিলিস্তিনিরা দেখছে যে, গত অর্ধশতাব্দী ধরে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ঘুচিয়ে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র গঠনের প্রতি পুরো আরব বিশ্বের যে ঐক্যবদ্ধ সমর্থন, তাতে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির বিশ্লেষকদের মধ্যে এখন আর তেমন কোনো সন্দেহ নেই যে, ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা-সংগ্রাম এখন আরব বিশ্বের অনেকগুলো দেশে অগ্রাধিকারের তালিকায় ক্রমশ নিচে নামছে। আরব বসন্তের ধাক্কা, সিরিয়া-লিবিয়া-ইয়েমেন-ইরাকে দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের হুমকি, তেলের দাম পড়ে যাওয়া- এসব কারণে অনেক আরব সরকার অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে এখন এতটাই ব্যতিব্যস্ত যে, ফিলিস্তিন ইস্যু তাদের কাছে এখন আর বড় কোনো এজেন্ডা নয়।

চলতি বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আরব-ইসরায়েল সম্পর্কে তাৎপর্যপূর্ণ একটি পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েল ও উপসাগরীয় কোনো দেশের মধ্যে এটা প্রথম চুক্তি, যাতে কম শুল্কে, সহজ কর সুবিধায় ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তারের সুযোগ তৈরি হলো। এই চুক্তির ফলে এখন দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যাতায়াত বাড়বে। এর ফলে ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর ৫০ বছর ধরে আরব আমিরাত যেভাবে ইসরায়েলকে অস্পৃশ্য হিসেবে বিবেচনা করে এসেছে, সেই ধারা ভেঙে গেল। এখন অন্য আরব দেশগুলোর ওপর একই ধরনের চাপ তৈরি হলো। ইসরায়েল-আরব আমিরাতের মধ্যকার এই মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ইসরায়েলের সঙ্গে আরব প্রতিবেশীদের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ প্রচেষ্টা ৪০ বছর ধরে চলে আসছিল। কিন্তু খুব একটা সফলতা পাওয়া যায়নি। সত্তর দশকে মিসরের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি এবং ১৯৯৪ সালে জর্ডানের সঙ্গে আরেকটি চুক্তি ছাড়া আরব দেশগুলোর সঙ্গে আর কোনো চুক্তি হয়নি ইসরায়েলের। এ দুটি প্রচেষ্টা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে আরব বিশ্বের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টা দশকের পর দশক ধরে দূরবর্তী হয়েই থেকে গেছে।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এবং ১৯৬৭ ও ১৯৭৩ সালের যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী অসন্তোষ ইসরায়েল এবং আরব দেশগুলোর মধ্যে বিরোধই বাড়িয়েছে। এ পরিস্থিতি দুটি কারণে পরিবর্তন হতে শুরু করে। নব্বইয়ের দশকে সম্পাদিত অসলো চুক্তি। যদিও এটা সফল শান্তিচুক্তি নয়, কিন্তু এর ফলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গঠন ও গাজা থেকে ইসরায়েলিদের প্রত্যাহারের ক্ষেত্র তৈরি হয় এবং পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে আরব দেশগুলো ও ইসরায়েলের ওপর ইরানের সৃষ্ট নিরাপত্তা উদ্বেগ। ফিলিস্তিন এখনো আরব-ইসরায়েল সম্পর্কে ধারাবাহিক উত্তেজনার উৎস। এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বা পৃষ্ঠপোষকতায় পরীক্ষামূলকভাবে হলেও একটা শান্তিপ্রক্রিয়া সম্পাদিত হতেই পারে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দুই দেশ আরব আমিরাত ও ইসরায়েল এফটিএতে যাওয়ার কারণ হলো, আমিরাতের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র অনানুষ্ঠানিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে একটি নীতি মেনে আসছিল। সেটা হলো, সামরিক শক্তির দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ যেন ইসরায়েলের চেয়ে শক্তিশালী না হয়।

এ ছাড়া বারাক ওবামার আমলে ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তির কারণে যুক্তরাষ্ট্র অঘোষিতভাবেই মধ্যপ্রাচ্যে আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখে। এসব গোপন ধরনের বোঝাপড়া থাকলেও আকস্মিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও আরব কোনো দেশের প্রকাশ্য চুক্তি সই হয় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ইসরায়েল, বাহরাইন, আরব আমিরাত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আব্রাহাম চুক্তি নামে এটি সম্পাদিত হয়। এ চুক্তির ফলে ইসরায়েলের সঙ্গে দুটি আরব দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথ খোলে। সুদান ও মরক্কোও ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েক মাসের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়। সৌদি আরবের সঙ্গেও ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে- এ রকম গুজবও ছড়িয়ে পড়ে। মুক্তবাণিজ্য চুক্তির ফলে এখন দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। এ ছাড়া সরাসরি বিমান চলাচল করবে। বাণিজ্য চুক্তির মধ্য দিয়েই এটা স্পষ্ট যে, ইসরায়েল ও আরব আমিরাত তাদের সম্পর্কের যে উন্নয়ন ঘটেছে, সেটা আরো দৃঢ় করতে চায়। এখন দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের আকার ১০ বিলিয়ন ডলার। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পর আরব আমিরাত ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হতে যাচ্ছে। এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ হোক আর না-ই হোক, এটা স্পষ্ট যে, ইসরায়েল ও আরব আমিরাতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক বাড়বে। এরই মধ্যে এমিরেটস এয়ারলাইনস দুবাই থেকে তেলআবিবে প্রতিদিন বিমান চলাচল শুরু করেছে। বিশ্বের যে ২৮ দেশ ইসরায়েলকে এখনো স্বীকৃতি দেয়, তার মধ্যে সৌদি আরবসহ আরব লিগের ১৫টি দেশ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী মাসে সৌদি আরব সফর করবেন। রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটা রোডম্যাপ হোয়াইট হাউস তৈরি করেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সৌদি আরবকে চুক্তিতে আনতে গেলে আরো উদ্যোগের সঙ্গে চাপ সৃষ্টি করাও প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া সেখানে তাদের আঞ্চলিক শক্তিমত্তা নতুন করে সাজাতে শুরু করেছে। আর চীন সেখানে নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ঢুকে পড়েছে। ভূরাজনৈতিক এই বদল মধ্যপ্রাচ্যকে আরো হিংস্র পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। কিন্তু এটি আবার একই সঙ্গে দেশগুলোর মধ্যকার বহু বছরের বৈরিতার অবসান ঘটানোর সুযোগ এনে দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরই মধ্যে স্পষ্ট করেছেন, তার প্রশাসন বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যকে আর অগ্রাধিকার দিচ্ছে না। বাইডেন নিজেকে সৌদি আরব থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছেন। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবকে তিনি সমর্থন দিচ্ছেন না। তার প্রশাসন ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত ২০১৫-এর ইরান পারমাণবিক চুক্তি পুনরুদ্ধারের কূটনীতি বহাল রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র এই মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরিভাবে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বাইডেন যে বার্তাটি দিতে চাইছেন সেটি হলো, তার প্রশাসন আফগানিস্তান ঘিরে আঞ্চলিক ‘শীতল লড়াইয়ে’ যুক্ত হতে চাইছে না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমেরিকা নিজেদের যত গুটিয়ে আনছে, চীন সেখানে ততটাই পরিচিত মুখ হয়ে দেখা দিচ্ছে। গত মার্চ মাসে তারা ইরানের সঙ্গে বড় একটা চুক্তি করে ফেলেছে। এ চুক্তিতে আগামী ২৫ বছর ইরানে ৪০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এর বদলে তেল ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন নিশ্চয়তা চেয়েছে চীন। ওয়াং তার সফরে ‘চীনের মুক্তবাণিজ্য চুক্তির বিপুল সম্ভাবনার একটা দোলা সেখানে দিয়ে গেছেন।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের মিষ্টি বাতাস মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এখন বইছে। মহামারি শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই সেখানে তরুণদের কর্মসংস্থানের হার, দারিদ্র্যের সীমা ও অন্যান্য অর্থনৈতিক সূচক পড়তির দিকে ছিল। আর মহামারির সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে সামাজিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক সংলাপ ও কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু যে হবে, সেটা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। সেখানকার বেশির ভাগ শাসকই বুঝতে পেরেছেন, তাদের শাসন টিকে থাকা নির্ভর করছে জনগণের চাহিদা কীভাবে তারা পূরণ করছেন, সেটার ওপর। তারা বুঝতে পারছেন, গোষ্ঠীগত উত্তেজনা কিংবা অন্যদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর নীতি আর কাজে আসছে না। এই প্রেক্ষাপটে ২০২১ সালের এপ্রিলে সৌদি আরব ও ইরান একটা গোপন বৈঠক করে ফেলেছে। সৌদি আরব কাতারের সঙ্গে পুরোনো বিবাদ মিটমাটের উদ্যোগ নিয়েছে। পুনর্মিলনের শক্তিশালী নিদর্শন হিসেবে গত এপ্রিলে সৌদি বাদশাহ সালমান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামিদ আল-থানিকে সৌদি সফরে আমন্ত্রণ জানান। নিজেদের সীমান্তে রাজনৈতিক সমীকরণের পুনর্বিন্যাস ঘটাচ্ছে সৌদি আরব। তারা ইরাকের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছে। সৌদি আরবের কর্মকর্তারা দামেস্কে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রশাসনের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। ইরানও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ গত এপ্রিলে কাতার, ইরাক, কুয়েত ও ওমানে ফুরফুরে এক সফর শেষ করেছেন। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সৌদি আরব ও ইরানের পুনর্মিলনের সম্ভাবনা। যদিও ইরানে মধ্যপন্থি হাসান রুহানির বদলে কট্টরপন্থি ইব্রাহিম রাইসি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। তবে সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে প্রতিবন্ধকতা তিনি দেখছেন না।

মধ্যপ্রাচ্যে এ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে সিরিয়া ও ইয়েমেনের গৃহবিবাদ ও ছায়াযুদ্ধ বন্ধ হতে পারে। রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিভেদে জেরবার ইরাক ও লেবাননে স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সম্পর্ক মেরামতের জন্য জোর কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক এই পুনর্বিন্যাসকে দুটি বিষয় দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়। শক্তির ভারসাম্যের পরিবর্তন এবং সমস্বার্থ। এই অঞ্চল থেকে আমেরিকা নিজেদের শক্তি খর্ব করার ফলে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সামনে নিরাপত্তার প্রশ্নে পারস্পরিক বৈরিতার দেয়াল মেরামতের সুযোগ এসেছে। সেখানকার নেতারা এখন ভালোভাবে বুঝতে পারছেন, জ্বলন্ত আগুনে ‘ঘি ঢেলে দিলে’ কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়।

বিশ্বের অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতি এবং মুসলিম দুনিয়ার নেতৃত্ব নিয়ে টানাপড়েনকে কেন্দ্র করে আরব দেশগুলো এখন কয়েকটি গ্রুপে জোটবদ্ধ হয়ে পড়েছে, যা ইসরায়েলকে তার রাজনৈতিক ইচ্ছা হাসিলে অনেক সুবিধা করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সানডিয়েগো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পশ্চিম এশিয়া বিশেষজ্ঞ আহমেদ কুরু বলেন, আরব দেশগুলোর মধ্যে এখন যে বিভক্তি এবং বিরোধ, তা সাম্প্রতিক ইতিহাসে আর দেখা যায়নি। এমনকি কয়েকটি ব্লকে তারা ভাগ হয়ে গেছে। একটি প্রভাববলয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে রয়েছে ইউএই; ইরান-ইরাক-সিরিয়া একদিকে আবার কাতার যোগ দিয়েছে তুরস্কের সঙ্গে। এই বিভেদকে পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছে ইসরায়েল। গত প্রায় এক যুগ ধরে ফিলিস্তিনি ইস্যু ধীরে ধীরে খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে।

লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close