রেজাউল করিম খোকন

  ০৩ জুলাই, ২০২২

বিশ্লেষণ

দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি নবজাগরণে পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে। পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার সংযোগের মাধ্যমে সম্ভাবনার আরেক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। এর মাধ্যমে কৃষিজাত পণ্য স্বল্পসময়ে বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে। সম্প্রসারিত শিল্পায়নের ফলে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের বিরাট সুযোগ তৈরি হবে। আবাসন ও পর্যটন খাতে তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থান এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। এভাবেই ২১ জেলার মানুষের জীবনমানের পরিবর্তনের পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি গতিশীল করতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু।

তিন বিভাগের ২১ জেলার অন্তত চার কোটি মানুষ উপকার পাবেন। আর জিডিপির হার বাড়বে ১ থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। জিডিপি পরিমাণে বাড়বে প্রায় ৭৩-৭৪ হাজার কোটি টাকা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে পদ্মা-সেতু শুধু বাংলাদেশের একটি বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প নয়, রাজনৈতিক দৃঢ়তা, সাহস ও সক্ষমতার প্রতীক। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন পুরো জাতির জন্য অনন্য গর্বের বিষয়। এর আগে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে অনেক গতি এনে দিয়েছে, মঙ্গা দূর হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবকাঠামোমূলক উন্নয়নের চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এর মাধ্যমে অর্থনীতি ও ব্যবসা, বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মানে আমূল পরিবর্তন আসবে। বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ।

এর আগে ঢাকা থেকে পাটুরিয়া হয়ে যেসব মানুষ দক্ষিণের জেলাগুলোতে যেতেন, তাদের বড় অংশ এখন পদ্মা সেতু দিয়ে যাচ্ছেন। এতে যাতায়াতের দূরত্ব কমেছে, সময় কম লাগছে এবং ব্যয়ও কম হচ্ছে। ঢাকা থেকে পাটুরিয়া হয়ে বরিশালের দূরত্ব ২৪২ কিলোমিটার। এখন পদ্মা সেতু হয়ে বরিশাল যেতে দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে ১৫৬ কিলোমিটার। এর ফলে বাসের যাত্রীদের ভাড়াও কমে এসেছে। সবচেয়ে বড় কথা, আগের মতো ফেরিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার ভোগান্তিও দূর হয়েছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে পাটুরিয়ার বদলে পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াতে দূরত্ব কমেছে বিভিন্ন জেলাভেদে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ঢাকা থেকে বরিশালে এখন মানুষ বাসে করে সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টায় যেতে পারছেন, যা সেতু চালুর আগে পাঁচ থেকে সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যেত।

বরিশাল, খুলনা, যশোর অঞ্চলে যেসব শিল্প-কারখানা রয়েছে, এত দিন সেখানকার পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান প্রভৃতি ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম নেওয়ার সময় বিভিন্ন ফেরিঘাটে অনেক সময় দিনের পর দিন আটকে থাকত। যে কারণে সেব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শিপমেন্ট বাতিল করতে হয়েছে। এতে করে তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে সরাসরি বরিশালের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা চালু হওয়ায় সেই ভোগান্তি, অনিশ্চয়তা, অপ্রত্যাশিত লোকসানের মুখোমুখি হওয়া লাঘব হবে। শিপমেন্ট বাতিলের মতো দুঃখজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে যাওয়ায় সেখানকার শিল্পোদ্যোক্তারা এর মধ্যেই তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

ঝালকাঠি, বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালীতে নতুন নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে চলেছে। এসব জায়গায় কৃষিনির্ভর শিল্পের বিরাট সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। পদ্মা সেতু সেখানকার ব্যবসায়ী শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে বলতে হবে। যোগাযোগব্যবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তনে তাদের উৎপাদিত এবং কাঁচামাল পণ্য পরিবহনে সময়ের দারুণ সাশ্রয় হচ্ছে। পরিবহন ব্যয় ও কমে গেছে স্বাভাবিক নিয়মে। যেকোনো শিল্পপণ্যের উৎপাদন ব্যয় নির্ভর করে কাঁচামালের প্রাপ্যতা, জ্বালানি, পরিবহন, যোগাযোগকে কেন্দ্র করে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এসবই নিশ্চিত হয়েছে। ফলে আর্থিকভাবে সাশ্রয়ের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমে আসবে আশা করা যায়।

স্রেফ যোগাযোগব্যবস্থার অনিশ্চয়তা এবং অসুবিধার কারণে এত দিন বরিশাল শিল্প ও অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ছিল। তার বড় কারণ ছিল যোগাযোগ সংকট। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে সেই সংকট দূর হয়েছে। ফলে ওই অঞ্চলে শিল্পের বিকাশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশেষত এ অঞ্চলের জনশক্তি, কৃষি, মৎস্য ও অন্যান্য খাতের স্থানীয় উৎসবগুলো বেশ সমৃদ্ধ। তাই কৃষি, পর্যটন, মৎস্য খাতের রপ্তানিনির্ভর শিল্প সম্প্রসারিত হবে নিঃসন্দেহে বলা যায়। একইভাবে জুতা, তৈরি পোশাক, পাট ও বস্ত্র খাতের রপ্তানিমুখী শিল্পেরও সম্প্রসারণ হবে। একইভাবে শরীয়তপুরে শিল্পায়ন হবে এখন। সেখানকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সেখানকার মৎস্য ও কৃষিপণ্যের বিশেষ সুনাম রয়েছে। ফলে সেখানে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠবে। জাজিরার কালিজিরার মধু ভারতের ডাবর কোম্পানি কিনে নিচ্ছে। এখন দেশি উদ্যোক্তারা মধু, টমেটো, আলু, প্রক্রিয়াজাত করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। এরই মধ্যে অনেকে জমি কিনেছেন সেখানে। জমির দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় শিল্প-মালিকরা সেখানে পরিবেশবান্ধব গ্রিন ফ্যাক্টরি স্থাপন করতে পারবেন।

যশোরে কৃষিভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের ভালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে পদ্মা সেতুর কারণে। উৎপাদিত পণ্যের বাজার ও ন্যায্য দাম পাওয়া নিশ্চিত হলে এই খাতে দারুণ এক বিপ্লব ঘটবে। সেতু চালু হওয়ার মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় কৃষক তার খেতের সবজি, মাছ, ফুল, ফলমূল প্রতিদিন ঢাকাসহ আশপাশের মোকামে, আড়তে পাঠাতে পারবেন। ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ চালু হওয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য কমে যাবে। কৃষক তার উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম পাবেন। এতে ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিনিয়োগ বাড়বে। একই সঙ্গে বড় শিল্পেও বিনিয়োগ সুযোগ তৈরি হবে। মাছ, হাঁস-মুরগি, ডিম ও গরু-ছাগল, ভেড়ার খামারে অনেকেই বিনিয়োগে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন এর মধ্যেই। দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকরা এত দিন যোগাযোগব্যবস্থার সংকটের কারণে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাননি। বাধ্য হয়ে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হতেন। এখন সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য দ্রুত অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছানোর চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সেখানকার কৃষিব্যবস্থায় আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ঢাকার সুপার মার্কেটের সঙ্গে সংযুক্তি ঘটলে কৃষক স্বাভাবিকভাবে অধিক মূল্য পাবেন। কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে পদ্মা সেতু দক্ষিণের মানুষের স্বপ্নের দুয়ার খুলে দেবে। পদ্মা সেতু দুই পাড়ের যোগাযোগকে সহজ করার পাশাপাশি কৃষিনির্ভর শিল্প ও পর্যটন খাতের বিকাশে বড় ভূমিকা রাখবে।

পদ্মা সেতু ঢাকা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শুধু বদলে দেবে না, বদলে দেবে গোটা অর্থনীতিকে। এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হবে ওই সেতুর কারণে। কর্মসংস্থান হবে মানুষের আয় বাড়বে, দারিদ্র্যবিমোচন হবে। এই সেতুই হয়ে উঠতে পারে দেশের নতুন অর্থনৈতিক করিডর। এই সেতুর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন আসন্ন হয়ে উঠেছে খুব দ্রুতই। এই সেতুর সুবাদে জিডিপি অবদান বাড়লে স্বাভাবিকভাবে তা দারিদ্র্যবিমোচনে সহায়তা করবে। এডিবির প্রতিবেদনে জিডিপির হার বাড়বে শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ।

পদ্মার ওপারে ২১ জেলায় ১৩৩টি উপজেলা রয়েছে। এসব উপজেলার মধ্যে ৫৩টি উচ্চ দারিদ্র্যঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে ২৯টি বরিশাল বিভাগে। এ ছাড়া ৪২টি উপজেলা মধ্যম দারিদ্র্য এবং ৩৮টি নিম্ন দারিদ্র্যঝুঁকিতে আছে। পদ্মা সেতু চালুর পর ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হলে ওই এলাকার মানুষের আয় বেড়ে দারিদ্র্যবিমোচন হবে। দেশে আটটি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু আছে। এর মধ্যে পদ্মার ওপারে শুধু মোংলা ইপিজেড। পদ্মা সেতুকে ঘিরে যশোর ও পটুয়াখালীতে আরো দুটি নতুন ইপিজেড করা হচ্ছে। এতে এ অঞ্চলে রপ্তানিমুখী খাতে নিয়োগ হবে, বাড়বে কর্মসংস্থান। মোংলা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও পায়রা বন্দর এলাকায় চারটি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল করার পরিকল্পনা রয়েছে। গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুটি বিসিক শিল্পনগরী হচ্ছে। মাদারীপুরে তাঁতপল্লী নির্মাণের কাজও চলছে। মহাসড়কের আশপাশে বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী এর মধ্যেই নতুন কারখানা স্থাপনের উদ্দেশ্যে শরীয়তপুর, মাদারীপুর, মাগুরা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলায় জমি কিনে রেখেছে।

পর্যটন খাতেও বড় অবদান রাখবে পদ্মা সেতু। সুন্দরবন, কুয়াকাটাসহ অন্যান্য পর্যটন এলাকায় মানুষের আনাগোনা বেড়ে যাবে সুন্দর যোগাযোগব্যবস্থার কারণে। এরই মধ্যে একটি বড় শিল্পগোষ্ঠী খুলনায় পাঁচ তারকা মানের হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পুরো দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থা অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। ফেরি পারাপারের ঝামেলা না থাকায় দূরত্ব ঘুচেছে, সময় বাঁচছে। এখন ঢাকা থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব কমে হয়েছে মাত্র পাঁচণ্ডছয় ঘণ্টার। এতে শুধু কুয়াকাটা নয়, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন নতুনরূপে জেগে উঠতে শুরু করেছে। শুধু কুয়াকাটা, সুন্দরবন নয়, শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল বরগুনার তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি, শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল বরগুনা বন, সমুদ্রসৈকত বরিশালের দুর্গাসাগর দিঘি, সাতলার শাপলাবিল, ভাসমান পেয়ারা বাজার, ভোলার চরকুকরিমুকরি, মনপুরা হবে পর্যটকদের নতুন গন্তব্য।

পদ্মা সেতু হওয়ায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরের আরো কার্যকর ব্যবহারের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এখন দুটি বন্দরে এবং বিভিন্ন নতুন অবকাঠামোর উন্নয়নের গতি দ্রুত হলে আমরা কাঙ্ক্ষিত ফল পাব। ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে ও হাইওয়েতে কানেকটিভিটির ক্ষেত্রে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো, নেপাল, ভুটানের জন্য একটি উপ-আঞ্চলিক সংযোগের সুযোগ সৃষ্টি করেছে পদ্মা সেতু। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ এই পুরো অঞ্চলে একেবারে কেন্দ্রে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি নীতির উন্নয়ন ও সহায়ক নীতিগুলো সামনে আনতে পারলে এ অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিতে পারে। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলে কৃষিজমিতে শিল্প স্থাপনের চেষ্টা শুরু হয়েছে।

কৃষিজমি শিল্পে কতটা ব্যবহার করা যাবে, তার একটি নিয়ম আছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পের জন্য জমির বরাদ্দ দিলে কৃষিজমি যেমন বাঁচবে, তেমনি বিনিয়োগকারীরাও এক জায়গায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাগুলো পাবেন। পদ্মা সেতু এ দেশের অর্থনীতি ও শিল্প-কারখানার সম্ভাবনার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি, বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু উত্তরাঞ্চলে নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছিল। বগুড়া থেকে শুরু করে রংপুর, রাজশাহী অঞ্চলে তার ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। পদ্মা সেতু এখন দক্ষিণাঞ্চলে অর্থনৈতিক বা শিল্পের নতুন করিডর গড়ে তোলার পথ খুলে দিয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বিদ্যমান আঞ্চলিক বৈষম্য কমবে আশা করা যায়। পদ্মা সেতু শুধু যান চলাচলের জন্য নয় এই সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। এখন যদি ওই অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রত্যাশিত মাত্রায় না বাড়ে তাহলে সেতু থেকে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি আসবে না।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার ও কলামিস্ট

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close