মোতাহার হোসেন

  ২৮ জুন, ২০২২

আওয়ামী লীগের ৭৩ বছর

স্বাধীনতা, শান্তি ও উন্নয়নের ইতিহাস

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে গঠিত হয় নতুন রাজনৈতিক দল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরে সেই দলের নাম পরিবর্তন হয়ে হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৭৫৭ সালের এই দিনে ভাগীরথীর তীরে অস্তমিত হয়েছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। ১৯২ বছর পর একই দিনে বাংলার মানুষের মুক্তি আর অধিকার আদায়ের জন্য গঠিত হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। এ দলটির জন্মলাভের মধ্য দিয়েই মূলত রোপিত হয়েছিল বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতাণ্ডসংগ্রামের বীজ। বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী লীগ-স্বাধীনতা এই তিনটি শব্দ এক, অভিন্ন, অবিনশ্বর। ইতিহাসে এই তিনটি শব্দ একই সূত্রে গাথা। গৌরব ও ইতিহাসের নানা বাঁক পেরিয়ে ৭৩ বছরে পা দিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী আর বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগ।

পূর্বাপর কাহিনি হচ্ছে, ঢাকার স্বামীবাগের রোজ গার্ডেন আর ১৫০ নম্বর মোগলটুলির শওকত আলীর বাসভবন। আওয়ামী লীগের জন্মসূত্রের সঙ্গে এ দুটি স্থানের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। কলকাতা থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী একটি মামলা পরিচালনার জন্য ঢাকায় এলে তিনি শওকত আলীকে মুসলিম লীগ ছেড়ে ভিন্ন একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। এ পরামর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পূর্ববঙ্গ কর্মীশিবিরের নেতাদের নতুন সংগঠন গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করেন। ১৫০ নম্বর মোগলটুলির শওকত আলীর বাসভবন ও কর্মীরা অফিসকে ঘিরে বেশ কয়েক মাসের প্রস্তুতিমূলক তৎপরতার ফসল ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন স্বামীবাগের রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। স্বাধীনতাণ্ডসংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী দল। এর আগে মহান ভাষা আন্দোলনেও ছিল এ দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। ওই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর পূর্ব পাকিস্তান শব্দ দুটি বাদ দেওয়া হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় থেকে। দীর্ঘ রাজনৈতিক পথ পরিক্রমায় অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উতরাই ও প্রাসাদসম ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ও রক্তগঙ্গা পেরিয়ে দলটি আজ এ দেশের গণমানুষের ভাব-ভাবনার ধারক-বাহকে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে মানুষের সুখণ্ডদুঃখ, আনন্দণ্ড বেদনা, উন্নয়ন-অগ্রগতি, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ভাবধারায় বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে এ দল। জন্মের পর থেকে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী এ দল বেঁচে আছে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে। ইতিহাসের রেকর্ড ভঙ্গ করে টানা তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ এখন রাষ্ট্রক্ষমতায়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন মহামূল্যবান স্বাধীনতা। তারই মেয়ে শেখ হাসিনা ভূমিধস বিজয় নিয়ে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তথা জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় থেকে জাতিকে উপহার দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের জন্মলাভের পর ৫২-এর ভষা আন্দোলন ৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা, ৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে এই দলের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্রমেই এগিয়ে যায় স্বাধীনতার দিকে। এই দলের নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ নিজেদের স্থান দখল করে। আর এসব আন্দোলনের পুরোধা ও একচ্ছত্র নায়ক ছিলেন ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দীর্ঘ ২১ বছর বিরোধী দলে অবস্থান করে আওয়ামী লীগ। এরপর ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করেছিল। এর আগে এই দলের আন্দোলন সংগ্রামেই প্রতিষ্ঠিত হয় সংসদীয় গণতন্ত্র, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। ১৯৭০ সাল থেকে এ দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। পরে দেশের অন্যতম প্রাচীন এ সংগঠনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এ দেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়। আওয়ামী লীগের অর্জন গণতান্ত্রিক মানুষের অর্জন, এ দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে এ দলটি। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে এসে স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ দল সম্পর্কে এক মন্তব্যে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ শুধু দেশের পুরোনো ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলই নয়, এটি হচ্ছে গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শের মূলধারাও। প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের সমাজ-রাজনীতির এ ধারাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে নিচ্ছে। তিনি এ দলটিকে দেশের অন্যতম প্রাচীন সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ভাষা, স্বাধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা অর্জনে মহত্তম গৌরবে অভিষিক্ত আওয়ামী লীগের কয়েক দশকের অভিযাত্রায় শান্তি, সমৃদ্ধি ও দিনবদলের লক্ষ্যে অবিচল বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারি।

মূলত আওয়ামী লীগ ‘পাকিস্তান’ নামের এক উদ্ভট রাষ্ট্রের পূর্ববাংলার বাঙালি জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে অবজ্ঞায়, অবহেলায় ও ঔপনিবেশিক কায়দায় শোষণ-পীড়ন-দমন ও দাবিয়ে রাখার বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং গণসংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বিপুল জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দল।

পাকিস্তান মুসলিম আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন- ‘কোথাও হল বা জায়গা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত হুমায়ূন সাহেবের রোজ গার্ডেনের বাড়িতে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়েছিল।’ দীর্ঘদিনের পথচলায় আওয়ামী লীগ বহু আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়েছে। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে এ ঐতিহ্যবাহী দল। বাংলায় সব ন্যায্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা ছিল মুখ্য। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম ছিল দলের নিত্যসঙ্গী। ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ, যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস’। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের এটি একটি বড় অর্জন। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

দেশ ভাগের পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তান নানাভাবে পূর্ব পাকিস্তানকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে থাকে। এসব বঞ্চনা সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুই উপলব্ধি করেন। পরে ছয় দফা দাবির কর্মসূচিকে ‘আমাদের (বাঙালির) বাঁচার দাবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা নিয়ে পূর্ববাংলার জনগণের কাছে হাজির হন। এরই মধ্যে মতিঝিলের ইডেন হোটেলে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে (মার্চ ১৯৬৬) বঙ্গবন্ধু ছয় দফা কর্মসূচি অনুমোদন করিয়ে নেন। কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু সম্মেলনের উদ্যোক্তারা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৬৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ছয় দফা প্রস্তাব এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনের কর্মসূচি গৃহীত হয়। পরে ফেব্রুয়ারিতে লাহোরে পাকিস্তান সর্বদলীয় রাউন্ড টেবিল বৈঠকে দাবিগুলো উপস্থাপন করেন শেখ মুজিবুর রহমান।

উনসত্তরের গণ-আন্দোলনের পর আইয়ুব খানের পতন হয়। এতে নতুন করে ৩১৩ আসনবিশিষ্ট পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসনে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সমগ্র পাকিস্তানে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেও সরকার গঠনের সুযোগ দেয় না ষড়যন্ত্রকারীরা। সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে বাঙালির অধিকার নস্যাত করার অপচেষ্টা করে।

নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকার গঠন করতে না পারার মধ্যে বঙ্গবন্ধু এক বড় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত উপলব্ধি করেন। এজন্য স্বাধীনতা ও নতুন রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা চিন্তা করেন। এজন্য ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক জনসভায় স্বাধীনতার ইঙ্গিত দেন। পাকিস্তান জান্তা কর্তৃক ২৫ মার্চ রাত্রে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এবার শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। হানাদাররা আত্মসমর্পণ করতে ও বাংলাদেশের বিজয় লাভের পর পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালিরা স্বাধীন ভূখণ্ড বাংলাদেশ লাভ করে। পরে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার পথ বেছে নেয়। ষড়যন্ত্রকারী ও ঘাতকদের হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বন্ধবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।

টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিশ্ব দরবারে উচ্চমর্যাদায় আসীন হয়েছে বাংলাদেশ। দল হিসেবে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী অবস্থান ধরে রেখে জনকল্যাণে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকন্যার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। একসময়ের ঋণগ্রহীতা বাংলাদেশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে এখন আর্থিক ও মানবিক সহায়তা করছে। মূলত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অদম্য বাংলাদেশ এখন আধুনিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নত মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। ভিশন ২০৪১ থেকে ভিশন ২০৭১ হয়ে শতবর্ষের ডেল্টা পরিকল্পনা বাংলাদেশের সাফল্যকে ছড়িয়ে দেবে বিশ্বময়। মানব উন্নয়ন সূচকের উন্নতি এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয়। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ এক অনন্য উচ্চতায় আসীন হলো। পাশাপাশি নারী-পুরুষের ক্ষমতার ভারসাম্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল। তাই বলা সংগত, আওয়ামী লীগের ইতিহাস স্বাধীনতা, শান্তি ও উন্নয়নের ইতিহাস।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close