সৈয়দ ফারুক হোসেন

  ১৮ জানুয়ারি, ২০২২

বিশ্লেষণ

মানসম্মত ও কর্মমুখী শিক্ষায় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা কুসংস্কার দূর করে, মানুষকে জ্ঞানের আলো দান করে। মানুষে মানুষে সম্প্রীতি বাড়ায় এবং সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে করে সমৃদ্ধ। তাই শিক্ষা জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। শিক্ষাই হলো কর্মমুখী শিক্ষা। আর জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষাই হলো কর্মমুখী শিক্ষা। এ ছাড়া শুধু কর্মসংস্থানই নয়, উন্নয়নের জন্যও প্রয়োজন এই শিক্ষা। যে শিক্ষাব্যবস্থায় মানুষ কোনো একটা বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষালাভ করে জীবিকা অর্জনের যোগ্যতা অর্জন করে, বলা যায় তাণ্ডই কর্মমুখী শিক্ষা। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষিত হচ্ছি। বড় বড় ডিগ্রিধারী হচ্ছি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে এ শিক্ষা আমাদের কর্মক্ষেত্রে কতটুকু সহায়ক। আমরা শুধু শিক্ষিত হচ্ছি, কিন্তু প্রকৃত অর্থে শিক্ষাকে কর্মমুখী করতে ব্যর্থ হচ্ছি। কর্মমুখী শিক্ষা যদি আমরা অর্জন করতে পারি তাহলে যে কাজই করি না কেন, আমাদের ডিগ্রি পরিপূর্ণ সাফল্য পাবে। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও যথোপযুক্ত দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা ও সামর্থ্য এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আসনসংখ্যা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষার জন্য কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা খুবই জরুরি। তবে এর জন্য প্রয়োজন আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। যেমন : মানসম্মত শিক্ষার লক্ষ্যে কর্মমুখী শিক্ষার কারিকুলাম প্রণয়ন, হাতে-কলমে শিক্ষার লক্ষ্যে বিষয়সমূহ নির্ধারণ, প্রয়োজনীয় সান্ধ্যকালীন কোর্সসমূহ পঠন-পাঠন, ফলপ্রসূ গবেষণার মান বৃদ্ধি করা, ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধকরণসহ প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ।

শিক্ষা একটি দেশের উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। যে দেশে শিক্ষার হার ও গুণগত মান যত বেশি, সে দেশ অর্থনৈতিকভাবে তত বেশি অগ্রসর। বৈশ্বিক উন্নয়ন রূপরেখা-২০৩০ বা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) আওতায় সে কারণেই গুণগত শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত এবং জীবনব্যাপী শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। শিক্ষার্থীরা কতটুকু মানসম্মত ও গুণগত শিক্ষা পাচ্ছে। নাকি এক বিশাল গলদ রেখে সামনে অগ্রসর হচ্ছে, সেটা আমাদের চুলচেরা বিশ্লেষণ করার সময় এসেছে। শুধু তাণ্ডই নয়, গুণগত শিক্ষা ও গবেষণার কারণে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বৈশ্বিক মানদণ্ডে পিছিয়ে পড়ছে। যা সত্যিকার অর্থে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ভাবিয়ে তুলছে। উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পর তরুণদের মধ্যে যে উচ্চ আকাক্সক্ষা তৈরি হচ্ছে, তা যখন পূরণ করতে পারছে না, তখন তাদের মধ্যে হতাশার জন্ম দিচ্ছে। ফলে এসব হতাশাগ্রস্তরা অনেক সময় বিপথে যাচ্ছে, সমাজে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যদি শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দক্ষ জনবল তৈরি করতে সক্ষম হতো, তবে আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে পারতাম। সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। নিঃসন্দেহে জাতির জন্য এটি একটি ইতিবাচক দিক।

সাধারণ শিক্ষার অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব বেড়েছে। আধুনিক বিশ্বে বেঁচে থাকার জন্য নানা কলাকৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে। অথচ ব্যবসা-বাণিজ্য, জীবনযাত্রায় আমরা ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছি। বর্তমান বিশ্বে যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। শিক্ষা বলতে আমরা বুঝি, কোনো বিষয় জানা এবং বোঝা। আসলে মানুষ জন্মের পর থেকেই চারপাশের পরিবেশ থেকে নানা কিছু শিখতে থাকে। এজন্যই কবি বলেছেন, ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র’। তবে যাই হোক না কেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেই আমরা শিক্ষা হিসেবে বুঝি। শিক্ষাই মানুষকে তার মনুষ্যত্ব অর্জনে সাহায্য করে। সম্প্রীতি বাড়ায়, কুসংস্কার দূর করে সমাজকে আলোকিত করে। অধুনা শিক্ষাকে দুটো শ্রেণিতে ভাগ করা হচ্ছে। এক সাধারণ শিক্ষা ও দ্বিতীয়ত, বৃত্তিমূলক বা কারিগরি শিক্ষা। বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষার অগ্রযাত্রার ফলেই পৃথিবী দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই কর্মমুখী শিক্ষা উন্নতি ও উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। শিক্ষা মানুষকে সমৃদ্ধ করে। শিক্ষার সঙ্গে রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নির্ভরশীল। কিন্তু দেশে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হলেও শিক্ষাকে পরিকল্পিত গবেষণার মাধ্যমে কীভাবে মানুষের উপযোগী করে তোলা যায় সে বিষয়টি তেমনভাবে ভাবা হয়নি। যদি সে রকম গবেষণা হতো তবে মানবসম্পদ সৃষ্টিতে কোনো ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজন সেটি বের করা যেত। যখন আমরা মানবসম্পদের কথা বলি, তখন জীবনসম্পৃক্ত শিক্ষাব্যবস্থার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যখন শিক্ষাকে জীবনসম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, তখন কারিগরি শিক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে কারিগরি শিক্ষায় প্রবেশের আগে জীবনাচরণগত শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে দক্ষ মানবসম্পদের কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষাই দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির অন্যতম হাতিয়ার। তাই শিক্ষার মূল ভিত্তিই হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। দেশের জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় কার্যকর ভূমিকা পালন করার জন্য প্রয়োজন একটি শিক্ষিত জাতি। আর প্রাথমিক শিক্ষাই সেই জাতি গঠনের প্রথম সোপান।

আমাদের দেশে বর্তমানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা প্রচলিত। তার সঙ্গে কারিগরি, প্রকৌশলী, ডাক্তারি, ভোকেশনাল ইত্যাদি কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে দেশে এখনো ব্যাপকভাবে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটেনি। ফলে প্রচলিত পন্থায় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়েও লাখ লাখ যুবক বেকারত্বের অভিশাপে ধুঁকছে। অথচ উন্নত দেশগুলোর শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগই কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও পেশাভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষিত। এমনকি এশিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি দ্রুত উন্নয়নশীল দেশে কর্মমুখী শিক্ষা যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর পাঁচ শতাংশ কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত। যেখানে বাংলাদেশে তার পরিমাণ মাত্র এক শতাংশেরও কম। এর কারণ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি অনীহা। সাম্প্রতিককালে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, অনেক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীতকরণের যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এরই মধ্যে উন্নীত করা হয়েছে, তার মধ্যে কর্মমুখী শিক্ষার দিকটি যথেষ্ট উপেক্ষিত হয়েছে। তবে আশাব্যঞ্জক এই যে, বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারিপর্যায়ে কারিগরি, বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেশে প্রকৌশল, কৃষি, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ইনস্টিটিউট, ভোকেশনাল, লেদার, সিরামিক, পাট, টেকনিক্যাল কলেজ, গ্রাফিক আর্ট ইনস্টিটিউট রয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। বস্ত্রশিল্প, জাহাজশিল্প, চিনিকল, ইস্পাত ইত্যাদি শিল্পের দক্ষ কারিগর সৃষ্টির জন্য সহায়ক কর্মমুখী শিক্ষার দরকার রয়েছে। যেখানে থাকবে জীবনসম্পর্কিত নানা পাঠ্যসূচি। গতানুগতিক গ্রন্থনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা ডিগ্রিধারী শিক্ষিত ব্যক্তি তৈরি করছে বটে; কিন্তু তা কর্মভিত্তিক না হওয়ায় ফলপ্রসূ হয়ে উঠছে না। ফলে দেশে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা।

দেশে শিক্ষা খাতে প্রকৃত বিনিয়োগ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ইউনেসকোর সুপারিশ অনুযায়ী বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৭ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। শিক্ষা মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রধানতম উপায় হলেও দেশে শিক্ষায় অর্থায়ন এখনো হতাশাব্যঞ্জক। ইউনেসকো গঠিত ‘একবিংশ শতাব্দীর জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষা কমিশন’ তথা ইউনেসকো গঠিত দেলরস কমিশন প্রতিবেদনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রাপ্ত বৈদেশিক সহায়তার ২৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। অনেকেই কারিগরি শিক্ষার অভাবে ভালো চাকরি পাচ্ছে না। তখন স্বভাবতই শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও হার ক্রমেই বাড়লেও শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে বাংলাদেশ ভীষণভাবে পিছিয়ে রয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। দেশে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক নয়। বস্তুতপক্ষে সবস্তরের শিক্ষাতেই তাত্ত্বিক ধারা প্রাধান্য বিস্তার করছে, যা আমাদের জন্য মোটেও স্বস্তির বিষয় নয়। দেশে বিগত কয়েক দশকে উচ্চশিক্ষায় বালক ও বালিকা উভয়েরই অংশগ্রহণের হার অভূতপূর্ব বেড়েছে, শিক্ষার হারও বেড়েছে এবং একই সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও বেড়েছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে বলা চলে, দেশে শিক্ষার পরিমাণগত বিকাশ অনেক হয়েছে বটে, তবে গুণগত উন্নয়ন তেমন ঘটেনি। যদিও গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষাই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে। তদুপরি উৎপাদনশীল, সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতাসম্পন্ন দক্ষ মানবগোষ্ঠী তৈরির মাধ্যমে ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা গঠন, সহযোগিতা ও সহনশীল মনোভাব তৈরির পরিবেশ নিশ্চিত করে। সুশিক্ষাই শারীরিক সুস্থতা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে ত্বরান্বিত করে সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সক্ষম। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার প্রধান উপায় হচ্ছে মানসম্মত বা মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষক স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে। সব শিক্ষকের জন্য বুনিয়াদি ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, কর্মরত শিক্ষকদের জন্য কর্মকালীন প্রশিক্ষণ এবং একই সঙ্গে শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করতে অবশ্যই যথোপযুক্ত বেতন-ভাতা দিয়ে তাদের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা ও পেশাগত স্বাধীনতা দিতে হবে। কিন্তু ইদানীং আমাদের দেশের শিক্ষার নিম্নস্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সর্বত্র শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন, স্বজনপ্রীতি ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে, যা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য অশনিসংকেত। এ কারণে অনেক মেধাবী যথাযথ যোগ্যতা ও মেধা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ লাভে ব্যর্থ হয় এবং এটা গুণগত শিক্ষার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ ও হুমকি। গুণগত শিক্ষা শিক্ষার্থীদের নানান নৈতিক ও আধ্যাত্মিক অন্তর্নিহিত গুণ উন্মোচনে সহায়তা করে। এটি একদিকে শিশুদের কুসংস্কার থেকে বিজ্ঞানমনস্ক ও সংস্কৃতিমনা হিসেবে গড়ে উঠতে উৎসাহিত করে, অন্যদিকে এটি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে, আর শিক্ষার্থীদের সঠিক দক্ষতা ও প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জনের মধ্য দিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের দিকে ধাবিত করে। শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, জীবনদক্ষতার উন্নয়ন, দৃষ্টিভঙ্গির গুণগত পরিবর্তন এবং সামাজিকভাবে সচেতন করে তোলাসহ পরবর্তী ধাপের শিক্ষাগ্রহণের উপযোগী করে তোলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য সরকার, শিক্ষক ও অভিভাবক সবার মানসম্মত ও গুণগত শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া উচিত।

লেখক : ডেপুটি রেজিস্ট্রার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close