রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১৬ জানুয়ারি, ২০২২

পর্যবেক্ষণ

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকা

তিন দশক আগে শেষ হওয়া শীতল যুদ্ধে তুরস্কের নীতিগত বিকল্পগুলোকে ব্যাপকভাবে সীমিত ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া এককেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা গত ১০ বছরে মূলত ভেঙে পড়েছে। বিশ্ব যখন একটি বহুমেরু ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে, তুরস্ক তখন নতুন অবস্থার সুযোগ নিতে একটি স্বতন্ত্র বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করছে। তবে, তুরস্ককে শীতল যুদ্ধের মতোই নির্ভরশীল অংশীদার হিসাবে চায় আমেরিকা। নয়তো অন্তত ২০০০-এর দশকের মতো এমন এক অংশীদার হিসেবে দেখতে চায়, যা তার স্বার্থকে হুমকির সম্মুখীন না করে মিত্রের ভূমিকা গ্রহণ করবে। আঙ্কারা স্বতন্ত্র পররাষ্ট্রনীতি নেবে নাকি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল বা সমন্বিত পররষ্ট্রনীতি নেবে তা নিয়ে দুদেশের মধ্যকার এই মৌলিক মতবিরোধটি তুরস্ক-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সব উত্তেজনার মূলে কাজ করছে। এর বাইরে রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক, এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অথবা এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ইস্যুর মতো অন্য যেকোনো কারণ মৌলিক বিষয় নয়। বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন পিকেকের বিরুদ্ধে তুরস্কের লড়াই এবং এর ইরাক ও সিরিয়া শাখা ওয়াইপিজির বিষয়েও উভয়ের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। যদি এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হয়, তবে উভয় দেশকে অবশ্যই তাদের সম্পর্কের প্রকৃতির বিষয়ে একমত হতে হবে।

এদিকে বৈরী সম্পর্কের দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক আদান-প্রদানের গতি পাচ্ছে। আর ঘনিষ্ঠ মিত্রদের মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরছে। সৌদি আরব, ইরান, তুরস্ক ও মিসরের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলো তাদের বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে নতুন করে ছক কষছে। এমনকি বৈরী প্রতিবেশীর সঙ্গে তারা সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া সেখানে তাদের আঞ্চলিক শক্তিমত্তা নতুন করে সাজাতে শুরু করেছে। আর চীন সেখানে নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ঢুকে পড়েছে। ভূরাজনৈতিক এই বদল মধ্যপ্রাচ্যকে আরো হিংস্র পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে।

গত বছরের ডিসেম্বরের ১৩ তারিখে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত আরব আমিরাত সফর করেন। এটা ইসরায়েলের কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। অবশ্য আব্রাহাম চুক্তির প্রথম উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রই নিয়েছিল। কিন্তু এখন এ বিষয়ে কোনো অস্পষ্টতা নেই যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল তড়িঘড়ি করে একটা বাণিজ্য চুক্তি করে ফেলেছে। ভিয়েনায় ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে ইরানকে ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ক্ষেত্রে এ ঘটনা কী অর্থ বহন করে? সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা সৌদি আরব এ সংলাপের অংশ নয়, যদিও ওই অঞ্চলের সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে ইরান সমর্থন বন্ধ করছে কি না, তা নিয়ে দেশ দুটির যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। কিন্তু একটা বিষয় এখন পরিষ্কার যে সৌদি আরব ও আমিরাত আঞ্চলিক বৃহত্তর স্বার্থে উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলে তেহরানকে কূটনৈতিকভাবে যুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর।

মানচিত্রের অবস্থানগত কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কখনোই সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল না। যদিও তারা এখন নিজেদের ভাগ্য গড়ার জন্য যথেষ্ট সুসজ্জিত ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এর মধ্যেই দুবাই, শারজা, আজমান, আল ফুজাইরাহ, রাআস আল খাইমাহ এবং উম্ম আল-কাইওয়াইন আবুধাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠনের উদ্দেশ্যে মিলিত হয়েছিল। কিন্তু এ প্রচেষ্টা ছিল দীর্ঘ এবং অনিশ্চয়তায় ভরা। ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বরের আগে দুবাইয়ের ইউনিয়ন হাউসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পতাকা ওঠেনি। ব্রিটিশ বাহিনীর শেষ সৈন্যদল জাহাজে ওঠার পর ইরান আবু মুসা দ্বীপ দখল করে নেয়। সেটা ছিল স্নায়ুক্ষয়ী সময়। দ্বীপটি সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ব্রিটিশরা কয়েক দশক ধরে দ্বীপটির সুরক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পর আবু মুসা দ্বীপকে ইরানের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য দাঁড়ায়নি ব্রিটেন। আরব আমিরাতেরও সেটা রক্ষা করার সক্ষমতা ছিল না।

১৯৭১ সালের নববর্ষের প্রাক্কালে কেউই ধারণা করতে পারেননি ১৯৭২ সালের প্রথম দিনটাতে আসলে কী ঘটতে চলেছে। ৫০ বছর পর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর ক্ষেত্রে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। নতুন বছরের শুরুতে বৈশ্বিক আরেক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ওই অঞ্চল থেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ফলে সুয়েজ খালের পূর্বদিকে রক্তপাত ও সম্পদহানির আশঙ্কা কেউ কেউ করছেন। গত জানুয়ারিতে জো বাইডেনের অভিষেকের আগেই মার্কিন প্রশাসন খোলাখুলিভাবে বলে দেয় মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অবস্থান ন্যূনতমপর্যায়ে নামিয়ে আনবে। গত আগস্টে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীর তড়িঘড়ি প্রত্যাহারের পরবর্তী ফলাফল থেকে যে কেউ ধারণা করতেই পারেন মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চলের ওপর মার্কিন প্রভাব এবং ওয়াশিংটন-নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক স্বার্থও কমে আসবে।

এ ঘটনা আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর জন্য নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসছে। আরব আমিরাত ও ইরানের এই কূটনৈতিক সম্প্রীতি বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। বাগদাদে সৌদি আরব ও ইরানের চার দফা আলোচনার পরই ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। আগস্ট মাসে ইরাক ও ফ্রান্সের যৌথভাবে আয়োজিত একটি সম্মেলনে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইরান অংশ নিয়েছিল। গত ৬ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা তেহরানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। নিজেদের দুর্বলতা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত এ ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে, সেটা ভাবা ভুল হবে। আরব বিশ্বে সবচেয়ে সুপ্রশিক্ষিত এবং সুসজ্জিত সামরিক শক্তি এখন আরব আমিরাতের। ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ওই বৈঠকের মাত্র তিন দিন আগে তারা ফ্রান্স থেকে ১৯ বিলিয়ন ডলারে ৮০টি রাফায়েল জেট বিমান কেনার চুক্তি করে।

এদিকে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-খাদেমির বৈঠক। মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি বদলাতে ইরাকের ভূমিকা আলোচিত হচ্ছে। কৌশলগত দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি এখন চীন, রাশিয়া এবং সুদূর প্রাচ্যের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। ফলে, আরব রাষ্ট্রগুলো, বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের রাষ্ট্রগুলির পক্ষ থেকে নির্ভরযোগ্যতা হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমই ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর তুর্কি স্টাডিজের পরিচালক গনুল টোল বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে দ্রুত প্রত্যাহার করে এই অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা অপসারণ ওয়াশিংটনের ওপর আঞ্চলিক ভূমিকার প্রতি বিশ্বাসকে ভেঙে দিয়েছে। এদিকে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছেন।

এ ছাড়া আব্রাহাম চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে, ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের প্রেক্ষাপটে দুদেশ স্বাক্ষর করার মাত্র পনেরো মাস পর এই বৈঠকটি হয়। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ লেখক আমিন সাইকাল বলেন, আফগানিস্তানের পরাজয় বিশ্বজুড়ে আমেরিকার অনেক মিত্রকে নাড়া দিয়েছে, তাদের অংশীদার হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। আমেরিকার আফগানিস্তান ফিসকো এই অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে পুনর্গঠন ঘটিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে সেনা সদস্য ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট অ্যান্টি-মিসাইল ব্যাটারি তুলে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যের ইরাক, কুয়েত, জর্ডান এবং সৌদি আরবে মোতায়েন করা আটটি প্যাট্রিয়ট অ্যান্টি মিসাইল ব্যাটারি ইউনিট তুলে নিচ্ছে পেন্টাগন। এ ছাড়া সৌদি আরবকে উপহার হিসেবে ‘থাড’ নামে একটি মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রদান করা হবে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট অ্যান্টি মিসাইল ব্যাটারির প্রতিটি ইউনিট পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে শতাধিক সেনা সদস্য ও বেসামরিক কর্মীবাহিনীর প্রয়োজন হয়। সেই হিসেবে অল্পদিনের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের এই চারটি দেশ থেকে হাজারেরও মার্কিন সেনা ও বেসামরিক কর্মীবাহিনী প্রত্যাহার করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের পরমাণু প্রকল্পবিষয়ক আলোচনায় অগ্রগতি এবং চীন ও এশিয়া-প্যাসিফিক এলাকা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দেওয়ায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে বাইডেন প্রশানসন। তা ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নও এই পদক্ষেপ নেওয়ার অন্যতম কারণ।

বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তানীতির সঙ্গে এই পদক্ষেপ সংগতিপূর্ণ হবে বলে বিবেচনা করছে পেন্টাগন। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। সেই অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক, তবে ভবিষ্যতে যদি মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন হুমকি তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে ফের সেখানে সেনা মোতায়েন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কিছুটা রদবদল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে ইরাক থেকে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

এদিকে পশ্চিম সাহারার ওপর মরক্কোর দাবি দীর্ঘদিনের। এটা হলো সবচেয়ে বেশিদিন ধরে চলা আঞ্চলিক বিবাদ। মরক্কোর দাবি মেনে নেওয়ার পর ট্রাম্প প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন। মনে করা হচ্ছে, মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করার ফলে তাদের এই উপহার দিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা জন বল্টনের মতে, এটা হলো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং খুব নগ্নভাবে দেওয়া-নেওয়ার নীতি। বিদেশ নীতি-সংক্রান্ত একটি পত্রিকায় বল্টনের নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকা প্রোগ্রামের ডিরেক্টর জুলিয়ান বার্নেস-ডেসি বলেছেন, ট্রাম্পের খেলা ছিল, বিদেশনীতির সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নীতি মিশিয়ে দেওয়া। যখন পদে থাকার মেয়াদ শেষ হলো, তখন ট্রাম্প প্রশাসন নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা দেখানোর চেষ্টা করছিলেন।

আসলে ট্রাম্প কিছু উত্তরাধিকার রেখে যেতে চেয়েছেন। তিনি আমেরিকাকে একটি নির্দিষ্ট দিকে এমনভাবে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, যাতে বাইডেন এসেও তার বদল করতে না পারেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাইডেন প্রশাসন কি ট্রাম্পের সেসব সিদ্ধান্ত বদলাতে পারবেন? যদি তারা বদলাতে চান, তাহলে কত দিনে তা হবে এবং এই প্রক্রিয়া কতটা জটিল হবে তা সময়ই বলে দেবে।

লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close