reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১১ জানুয়ারি, ২০২২

দেশের মানুষের সুস্থতা কাম্য

গবেষণা যেকোনো বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ভিত গড়ে তোলে। আমাদের দেশের বহু তরুণ এখন দেশ-বিদেশে গবেষণা করছেন। নামকরা জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে অনেকের গবেষণা প্রবন্ধ। গবেষণায় আগ্রহ আছে অনেকের। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্নাতকে যারা গবেষণা করছেন, গবেষণাপত্র প্রকাশ করছেন, তাদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ অনেক বেশি। বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র, প্রবন্ধ, পোস্টার উপস্থাপনকে বিভিন্ন দেশের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার অভিজ্ঞতা বিদেশে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দেয়। দেশে গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ক্ষেত্রে অনুদান, ফেলোশিপ, অ্যাসিস্ট্যান্সি, বৃত্তির মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার সুযোগ থাকে।

উল্লেখ্য, গবেষণা শুধু উচ্চশিক্ষার সুযোগকে বিস্তৃত করে না, ভবিষ্যতের কর্মবাজারেও দারুণ কার্যকর। যে বিষয়ে গবেষণা করছেন, সে বিষয় নিয়ে কাজ করা কোনো না কোনো ব্যক্তির আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে যেমন- কর্মস্থল হতে পারে। আবার দেশেও তাদের গবেষণা জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। গবেষণায় বেরিয়ে আসে নতুন নতুন তথ্য-উপাত্ত। তবে সেই গবেষণা যদি চিকিৎসা ক্ষেত্রে হয় তাহলে দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান আরো বাড়বে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশের চিকিৎসকরা উপার্জন নিয়ে যতটা ব্যস্ত, গবেষণা নিয়ে ততটা নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও চিকিৎসার পাশাপাশি গবেষণায় সময় দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণা অনিবার্য হওয়ায় চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি গবেষণা পরিচালনার জন্য আমরা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছি। এসব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য হলো চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি গবেষণা করা। গত রবিবার সকালে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যা হার্ট, কিডনি ও ক্যানসার চিকিৎসার সমন্বিত ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন। দেশের আটটি বিভাগে আটটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, সেখানে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের পাশাপাশি গবেষণায় চিকিৎসকরা মনোযোগী হবেন। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যারা ভালো ও নামিদামি চিকিৎসক তাদের অনেকে দেশের সাধারণ মানুষের কথা ভুলে বিদেশ পাড়ি দেন। তারা ভুলে যান যে, তাদের চিকিৎসক হওয়ার পেছনে এ দেশের সাধারণ মানুষেরও কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। এ ছাড়া যারা দেশে থাকেন তারা চিকিৎসাসেবা নিয়েই থাকেন ব্যস্ত। সে ক্ষেত্রে তারা যদি কিছুটা সময় ব্যয় করে গবেষণার দিকে নজর দেন, তাহলে আমাদের দেশের পরিবেশ, আবহাওয়া, জলবায়ু- সবকিছু মিলিয়ে এ দেশের মানুষের কী কী ধরনের রোগ দেখা দেয় এবং এর প্রতিরোধ শক্তিটা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটার কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয়ে যায়।

কেন আমাদের দেশের মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, সেগুলো আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি। আর এই অতিমারিকে (করোনা) যেভাবে হোক আমাদের মোকাবিলা করতে হবে এবং এজন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। যেন একবার তৃণমূলের মানুষটি পর্যন্ত অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসাসেবার সুফল পেতে পারে। সবার সহযোগিতায় দেশের মানুষ সুস্থ এবং সুরক্ষিত থাকুক- সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close