রায়হান আহমেদ তপাদার

  ২০ অক্টোবর, ২০২১

পর্যবেক্ষণ

ইউরোপীয় অভিবাসন নীতি ও মূল্যবোধ

ইউরোপীয় রাজনীতি কিছুদিন থেকেই একটা ঘুরপাকের মধ্যে পড়েছে, ইউরোপীয় ঐক্যের প্রবক্তারা দীর্ঘদিন থেকেই চেষ্টা চালিয়ে আসছেন বিশ্ব ভূ-রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গাঁটছড়া না বেঁধে একটি নিজস্ব রাজনৈতিক বলয় গড়ে তুলতে। কিন্তু নিজেদের কিছু দুর্বলতা, অর্থনৈতিক ও কিছু অনৈতিক স্বার্থ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মারপ্যাঁচে বারবারই সেই উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে। দেশে-বিদেশে সামাজিক, রাজনৈতিক বাস্তবতায় অসহায় সাধারণ মানুষের ওপর প্রতিপক্ষের নিষ্ঠুরতা ও নির্মম মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান ঘটনাবলি দেখে নিজের অজান্তেই প্রশ্ন জাগে, আমাদের সভ্যতা কি আবার বর্বরতার যুগে প্রবেশ করেছে? সভ্যতার সূচনালগ্নে কিন্তু মানুষ এতটা, নির্মম বা পৈশাচিক ছিল না। কথিত মধ্য যুগে দেশে দেশে নতুন রাজশক্তির উন্মেষ ঘটে। রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা জোরালো হয়ে ওঠার কারণে ক্ষমতালিপ্সু রাজশক্তি অথবা লুটেরা শ্রেণি ক্ষমতা ও সম্পদের লুণ্ঠন অব্যাহত রাখতে শক্তি প্রয়োগের নির্মম, নিষ্ঠুর পন্থা অবলম্বন করে। বিশেষত, ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক রাজশক্তিগুলো তাদের ভবিষ্যতের প্রতাপ-প্রতিপত্তির ভিত্তি এভাবেই নির্মাণ করেছিল। খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ থেকে চতুর্দশ শতক পর্যন্ত সময়ে ইউরোপে রাজনৈতিক ক্ষমতা যাজক ও সামন্ত রাজাদের হাত থেকে পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রূপান্তরের সময়টিই ছিল বর্বরতার যুগ। ইউরোপের অভিবাসন নীতি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে শরণার্থীদের অধিকার সমুন্নত রাখার বদলে পদে পদে অভিবাসীদের অপরাধী সাব্যস্ত করে, তাদের অপমান করে এবং শাস্তি দেয়। এই নীতির নিষ্ঠুরতাকে ঢাকতে তারা এমন স্যানিটাইজড ভাষার সম্পূর্ণ নতুন একটি অভিধান তৈরি করছে, যা দিয়ে আশ্রয়ের দাবিদার ও শরণার্থীদের প্রতি তাদের অবৈধ আচরণকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবামূলক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) গ্রিক দ্বীপপুঞ্জে আটকে পড়া আফগান, সিরিয়ান ও সাব-সাহারান শরণার্থীদের সেবা শুশ্রুষার কাজ করে আসছে।

কিন্তু এই সময়ে আমরা দেখেছি সেখানে আশ্রয়ের খোঁজে আসা মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সরকারি কর্তৃপক্ষ কী নিদারুণ অবহেলায় তাদের ফেলে রাখে। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত সামোস দ্বীপে আমরা যত অসুস্থ অভিবাসনপ্রত্যাশীর চিকিৎসা দিয়েছি, তার অর্ধেকের বেশি রোগী আত্মহত্যা করার চিন্তা করেছিল। প্রতি ১০ জনের মধ্যে দুজনই আত্মঘাতী হওয়ার ঝুঁকিতে ছিল। কয়েক মাস ধরে আমরা লক্ষ করেছি, আমরা যাদের চিকিৎসা দিচ্ছি, তাদের অধিকাংশের মধ্যে এখন সরকারের নতুন আশ্রয়শিবির আতঙ্ক ধরিয়ে দিয়েছে। গ্রিসের সামোস দ্বীপের ছোট ছোট ছাপরায় আশ্রয় নেওয়া অভিবাসীদের (তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে) কারাগারের আদলে বানানো নতুন শিবিরে নেওয়া হচ্ছে। নতুন এই তথাকথিত ‘কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত’ ক্যাম্পের ঘরগুলোতে তিন হাজার শরণার্থীকে রাখা হবে। এরমধ্যে আটককেন্দ্রও বানানো হয়েছে, যেখানে ৯০০ লোককে রাখা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জনবসতি থেকে অনেক দূরে বানানো এই শিবিরের চারপাশে তিন স্তরের সামরিক মানের কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। সঙ্গে থাকছে সর্বাধুনিক নজরদারি প্রযুক্তি। হাস্যকর বিষয় হলো, এই শিবিরকে ইউরোপিয়ান কর্তৃপক্ষ তাদের মানবিক কার্যক্রমের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরছে। আসল সত্য সম্পূর্ণ উল্টো। আসল সত্য হলো যে, মানুষগুলো বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছে, সেই মানুষগুলোর আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবিক মর্যাদা চাওয়াকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলপূর্বক এই শিবিরে ঢোকানো হচ্ছে। এই মানুষগুলোর ‘অপরাধ’ হচ্ছে তারা ইউরোপে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, নাগরিক সুরক্ষা, শরণার্থীর মর্যাদা এবং একটু ভালোভাবে জীবন কাটানোর আবেদন করেছিলেন। আসলে ইউরোপের অভিবাসন নীতি এককথায় পীড়নমূলক। সেখানকার অভিবাসন নীতি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে শরণার্থীদের অধিকার সমুন্নত রাখার বদলে পদে পদে অভিবাসীদের অপরাধী সাব্যস্ত করে, তাদের অপমান করে এবং শাস্তি দেয়।

এদিকে তাদের এই নীতির নিষ্ঠুরতাকে ঢাকতে তারা এমন ‘স্যানিটাইজড’ ভাষার সম্পূর্ণ নতুন একটি অভিধান তৈরি করছে, যা দিয়ে আশ্রয়ের দাবিদার ও শরণার্থীদের প্রতি তাদের অবৈধ আচরণকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে ইউরোপিয়ান কমিশন গ্রিসের সরকারকে নতুন নতুন আটককেন্দ্র ও জেলখানার আদলে বানানো কথিত শরণার্থীশিবির বানানোর জন্য লাখ লাখ ইউরো দিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপিয়ান কমিশনের ছাড় করা সেই অর্থে বানানো প্রথম শিবিরটি সামোস দ্বীপে। এটির উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা অনেক উন্নত। কিন্তু যেসব শিবির বানানো হচ্ছে, তার সবগুলোর ধরন একই রকম। প্রতিটি শিবির লোকালয় থেকে অনেক দূরে, মাত্রাতিরিক্ত নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আবদ্ধ ও চারপাশে এমন আবহ তৈরি করা, যাতে যে কারো মনে হবে এটি অপরাধীদের আবাসস্থল। এখান থেকে কেউ চাইলেই বের হতে পারবে না। আন্তর্জাতিক শরণার্থী ও মানবাধিকার আইন মানার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও গ্রিস সরকারের সুস্পষ্ট বাধ্যবাধকতা থাকার পরও এই শরণার্থীদের মানবিক মর্যাদা রক্ষায় তারা যথেষ্ট তৎপর হতে ব্যর্থ হয়েছে। গত জুনে আমরা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। ওই প্রতিবেদনে নতুন শরণার্থীশিবিরের ভয়ংকর নিবর্তনমূলক ব্যবস্থাপনার কী পরিণাম হতে পারে, তা দেখানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এমনিতেই এসব লোক দেশছাড়া হয়ে ছিন্নমূল মানুষের মতো তাঁবুতে থেকে একটি মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে থাকছে। এর ওপর যদি তাদের কাঁটাতারে ঘেরা বন্দিশালার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে তাদের মানসিক ক্ষরণ আরো ভয়ানক রূপ নেবে। এতে তারা আরো হতাশ হবে এবং উন্মত্ত ও সহিংসও হয়ে উঠতে পারে।

ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক, ইথিওপিয়া ও আফগানিস্তানের যুদ্ধকবলিত এলাকায় চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সময় কীভাবে মানুষ প্রাণভয়ে নিজেদের বাস্তুভিটা ছেড়ে পালায়। অথচ একটু নিরাপত্তা ও জীবনের নিশ্চয়তার জন্য তারা জীবন হাতে করে এই দূর পরবাসে এসেছে। তাদের সঙ্গে এ আচরণ কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে পারে না। ২০১৫ সালে জার্মানি কয়েক লাখ সিরীয় শরণার্থীকে উষ্ণ আলিঙ্গনে গ্রহণ করেছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন চাইলেই সেই আইডিয়াকে গ্রহণ করতে পারে। এটি তাদের জন্য বিশ্ব দরবারে অত্যন্ত মর্যাদার বিষয় হতে পারে। সীমান্তে দেয়াল তোলা এবং জেলখানার আদলে কথিত শরণার্থী শিবির বানানোর পেছনে লাখ লাখ ডলার খরচ না করে সেই অর্থ যদি শরণার্থীদের পুনর্বাসন এবং তাদের মূলধারার ইউরোপীয় জীবনে আনার চেষ্টায় খরচ করা হয়, তাহলে তা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে। কানাডায় জন্ম নেওয়া অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক মিশাইল চোসুডভস্কি আগামী ডিসেম্বরে তার প্রকাশিতব্য যুদ্ধের বিশ্বায়ন, মানবতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ যুদ্ধ শিরোনামের বইয়ে লিখেছেন, নিজ দেশের সীমানা রক্ষা সব দেশেরই দায়িত্ব, কিন্তু নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থের কারণে পৃথিবীর নানা স্থানে যুদ্ধাবস্থা পরিবেশ তৈরি ও যুদ্ধে অংশগ্রহণ বিশ্ব মানবিকতার পরিপন্থি। একই কথা বলছেন, ইউরোপের বুদ্ধিজীবী মহল। বর্তমানে ইউরোপ-আমেরিকার অর্থনৈতিক স্বার্থ অভিন্ন না হলেও, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ও পরবর্তী সময়ে পশ্চিম ইউরোপের পুঁজিবাদী দর্শনের অভিন্ন অনুসারীরা চাইলেও নানা কৌশলগত কারণে, বিশ্বজুড়ে আমেরিকার যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার ফাঁদ থেকে বের হতে পারছে না। তবে ইউরোপজুড়ে এই ঘুরপাক খাওয়া রাজনীতি বা মানবিকতার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ খেলা ও হত্যাযজ্ঞে সমর্থন বা অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে নিন্দা ও লেখালেখি ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। বর্তমান রাজনীতিতে যে অবকাঠামোগত পরিবর্তন ঘটছে, তা শুধু ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পরাঘাতই নয়; এর উৎস ও অস্তিত্ব অনেক গভীরে, যা বেকার তরুণদের ক্ষোভ বা ইউরোপ ও আমেরিকায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি নিশ্চল হয়ে পোড়াজনিত মধ্যবিত্ত অসন্তোষের চেয়েও ভয়ংকর।

যদিও এই বিষয়গুলো বিচক্ষণ ব্যক্তি উপেক্ষা করতে পারবেন না। তবে আমরা অনুভব করতে পারছি, এই ভূকম্পনগুলো আরো বিশাল পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে একটা যুগের সমাপ্তি, যে সময়টাকে ইউরোপের জন্য বলা যেতে পারে গুরুত্বপূর্ণ এক স্থিতিশীলতার যুগ। এটা এমন এক যুগ, যা তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে ৭০ বছর স্থায়ী হয়েছে। প্রথমটি হলো, আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা, যা পশ্চিমা সক্ষমতার ভিত্তিতে নির্ধারিত এবং নিয়ম ও চুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা বৈশ্বিক সংঘাতের হাত থেকে ইউরোপকে রক্ষা করে। দ্বিতীয়টি হলো, উদার গণতন্ত্র। আর তৃতীয় স্তম্ভটি হলো ইউরোপীয় সমাজগুলোর তুলনামূলক বিকাশ। তবে ব্যাপক এই পরিবর্তনের আঁচে ইউরোপ সন্ত্রস্ত, হতোদ্যম বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়লে চলবে না। ইতিহাসবিদরা ভালোভাবেই জানেন, সংকটের চেয়ে স্থিতিশীলতা কম স্থায়ী ও পরিবর্তনশীল। এই সংকটগুলো (যা প্রাকৃতিক ও অনিবার্য) প্রতিরোধ করা ইউরোপের ক্ষমতার অতীত। আমরা বর্তমান স্থিতাবস্থা ধরে রাখতে উদগ্রীব নই, যেহেতু একটা পর্যায়ে পরিবর্তনের প্রত্যাশা বৈশ্বিক হয়ে ওঠলে স্থিতিশীল অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। তাই বলে এই নয় যে, এই পরিবর্তন অবশ্যই দুর্যোগ ডেকে আনবে, আবার আনতেও পারে। সবকিছুই নির্ভর করছে ঝঞ্ঝাপূর্ণ সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সামষ্টিক সক্ষমতার ওপর। ইইউয়ের মূল ঐক্য ধরে রাখাই হবে এই সক্ষমতার পূর্বশর্ত। ভেতর থেকে ভেঙে পড়া ইইউ কখনোই সমস্যা সমাধানে সমর্থ হবে না। সংহতি ছাড়া ইউরোপ কখনোই ভবিষ্যতের পরিবর্তনগুলোকে প্রভাবিত করতে পারবে না, সে ক্ষেত্রে যাতে পরিবর্তনের সহযোগী হয়ে না ওঠে ভুক্তভোগীর কাতারে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। এই শীতল পরিস্থিতি এড়াতে ইউরোপের আবারও সেই বিষয়টাই খুঁজে বের করতে হবে, যা ইউরোপকে ঐক্যবদ্ধ করবে।

ইউরোপের আরো একবার নিজেদের ক্ষেত্র নিরূপণ করতে হবে, ভৌগোলিকভাবে নয়, সভ্যতার ও সংস্কৃতির বিচারে, এমনকি সম্ভবত প্রতীকী অর্থেও। আজকের দিনে জনগণ, জাতি ও দেশগুলোকে আমরা পুরাকথা আর সরলীকরণের শক্তি আবিষ্কার করতে দেখেছি। এটা সম্ভবত এমন এক রাজনীতির পূর্বাভাস দিচ্ছে, যা আরো নিষ্ঠুর হবে যা সংস্কৃতির চেয়ে আদিমতার খুব কাছাকাছি কিছু একটা হবে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো, ইউরোপীয় ঐতিহ্যের দীর্ঘমেয়াদি ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আর অনুপম বিষয়গুলোকে অগভীর অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো থেকে আলাদা করে ফেলা- ইতিহাসবিদ জ্যাকব বার্কহার্ট যাকে আত্মিক স্বাধীনতা বলে সম্বোধন করেছেন। রাজনীতিতে এর অর্থ হলো, পরিবর্তনের জন্য ইউরোপের প্রস্তুত হওয়া উচিত এই শর্তে যে, এই পরিবর্তন যেন স্বাধীনতার অর্থকে প্রধান মূল্যবোধের মধ্যে সীমিত করে না ফেলে। ইইউর অবকাঠামো পরিবর্তন এবং একীভবনের সীমা বাড়ানোর ব্যাপারে মূল দ্বিধাগুলো সমাধানের আগে স্বাধীনতার মহাদেশ হিসেবে ইউরোপের আদর্শকে অতীত থেকে ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ইউরোপের সবাইকে একমত হতে হবে। আজকের বিশ্ব বর্বরতায় ভরে ওঠেছে। স্বাধীনতা ও সংস্কৃতি আক্রমণের লক্ষ্যস্তুতে পরিণত হয়েছে। ইউরোপীয়রা তাদের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো তখনই জয় করতে পারবে, যখন এ লড়াইয়ে আপস না করার ব্যাপারে ইউরোপ একমত হব। বর্বরতার উপসর্গ আমাদের আশপাশেই, আমাদের মধ্যে ও নিজেদের ভেতরেই রয়েছে। ইউরোপ যদি বহির্চাপ ও অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার কাছে আত্মসমর্পণ করে, তাহলে অনাগত পরিবর্তন হয়তো ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উপলব্ধিকে ব্যর্থ করে দেবে।

লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close