reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতা জরুরি

‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম’ রোগ-ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে এটিই সঠিক ব্যবস্থা। কিন্তু আমরা মুখে যতই বলি, বাস্তবে তার প্রয়োগ সামান্যই করি। কোনো কোনো রোগ আমরা সামান্য চেষ্টাতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। প্রয়োজন শুধু সচেতনতা। তাতেও আমাদের থাকে প্রচণ্ড গাফিলতি ও অলসতা, যা একপর্যায়ে আমাদের কঠিন বিপদের মধ্যে ফেলে দেয়। তখন চাচা আপন প্রাণ বাঁচা বলে যে যার মতো দৌড়ঝাঁপ শুরু করি। ধরা যাক ডেঙ্গুর কথাই, এই রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধের বিষয়ে কমবেশি সবাই জানেন। শুধু ওষুধ ছিটালেই ডেঙ্গু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে না। তা হবে সামান্য ও সাময়িককালের জন্য। তাই ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে নিজ বাড়ির আশপাশ অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। থাকতে হবে প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে সেই সচেতনতা।

করোনা মহামারি নিয়ে দেশের মানুষ যখন চরম সংকটে, হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ঠাঁই নেই অবস্থা, তখন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো হাজির হয় ডেঙ্গু। দেশে এরই মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রায় সাত হাজারের ওপরে মানুষ এবং মারা গেছে ৩১ জন। প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংক্রমণ। এরই মধ্যে ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে করোনায় শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার কিছুটা কম থাকলেও ডেঙ্গুতে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে অভিভাবকদের উৎকণ্ঠাও চরমে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় চলতি মাসেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। গত রবিবার সচিবালয় প্রাঙ্গণে সচিবালয় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মানুষ গরিব হতে পারে কিন্তু অপরিষ্কার হবে কেন? যদি অপরিষ্কার হয়, দুর্নীতি পরায়ণ হয় অথবা অন্য কোনো খারাপ কাজে জড়িত হয় তখন মানুষ তাকে বেশি ঘৃণা করে। গরিব হলে তো মানুষকে কেউ ঘৃণা করে না। আমরা তো ঘৃণিত জাতি হতে পারি না। এই জন্য আমরা সবাই সবার স্থান পরিষ্কার রাখব। সে ক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখা উচিত, এডিস মশা ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়ায়। প্রতি বছরই বর্ষায় এডিস মশা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। এ জন্য বর্ষা আসার আগেই মশা নিধনে ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে।

বলা সঙ্গত, পরিবেশের সুরক্ষা কিংবা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজটি তো এক বা দুই দিনের নয়; এটি বছরের ৩৬৫ দিনই করতে হবে। প্রথমত, সবখানে মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এডিস নিধন এবং এডিসের বংশবিস্তার রোধে জোরদার অভিযান পরিচালনা করবে- এ প্রত্যাশা নগরবাসীর। এ ছাড়া ডেঙ্গুর প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরি, ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে মানুষকে ওয়াকিবহাল করা, ডেঙ্গু হলে করণীয় সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা জোরদারসহ চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষা ও চিকিৎসার পরিসর শুধু বাড়ানোই নয়, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় গভীর মনোযোগ দিতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close