reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০১ অক্টোবর, ২০২০

নদীভাঙন রোধে সরকারি পদক্ষেপ আশাব্যঞ্জক

একদিকে নদীমাতৃক পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ। বন্যার ঝুঁকি, নদীভাঙনসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সঙ্গী করেই বেঁচে আছে এ দেশের মানুষ। বিশেষ করে উপকূলীয় বাসিন্দারা। নদীর একদিকে ভাঙন, অন্যদিকে পুনর্জন্ম। এই ভাঙাগড়ার কারণে ফি বছরই নিঃস্ব হচ্ছে হাজারো মানুষ। ভাঙনের সঙ্গে ভেঙে পড়ছে হাজারো স্বপ্ন। এমন পরিস্থিতিতে নদীভাঙন রোধ, নদী শাসন, নাব্যরক্ষা এবং সামগ্রিক নদী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার যে শত বছরের বদ্বীপ মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তাকে সাধুবাদ না জানালেই নয়। পদক্ষেপটি নিঃসন্দেহে আশাজাগানিয়া। দেশবাসীর পক্ষ থেকে সরকারকে এ মহৎ উদ্যোগের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। একই সঙ্গে আরো একটি কথা বলতেই হয়, নজরদারির ক্ষেত্রে সরকার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এটিই আজ সময়ের একমাত্র দাবি। কেননা, মানুষরূপী উইপোকার উৎপাতে অনেক প্রকল্পই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আত্মসাতের মতো অপচয়ের হাত থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পক্ষে। ঘর পোড়া গরু, সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় হয়।

ইতোমধ্যেই ঠিক করা হয়েছে কর্মকৌশল। এরই অংশ হিসেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদীভাঙনপ্রবণ ৩৩ জেলাকে হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকৃতির ভয়াবহতা বিবেচনায় ৬ গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে দেশকে। তথ্যমতে, এ কর্মকৌশল বাস্তবায়িত হলে নদী ও নদীর মোহনায় পানিপ্রবাহের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বন্যার ঝুঁকি হ্রাস পাবে। নদীভাঙন কমে আসবে। উপকূল এলাকায় নতুন ভূমি জেগে উঠবে। দেশের আয়তনও বৃদ্ধি পাবে।

ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে প্রতি বছর দেশে ব্যাপক বন্যা হয়। চলতি বছর এ বন্যা জুন থেকে শুরু হয়ে এখনো অব্যাহত রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে বিভিন্ন জেলায় এখনো বন্যা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের রংপুরে রেকর্ড বৃষ্টিতে দুর্যোগ অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তথ্যসূত্র বলছে, এবার বন্যায় ৩৩ জেলা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে স্থায়ী সমাধানের পথে এগিয়ে যাবে সরকার। এজন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বাস্তবায়নাধীন ১০১টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৩টি নদীতীর সংরক্ষণধর্মী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।

কথায় আছে যার শেষ ভালো তার সব ভালো। সরকারের এ উদ্যোগ এককথায় চমৎকার। তবে শেষ পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সফলতা দেখার প্রত্যাশায়। আমরা আশা করব সরকারের বেশ কিছু সফলতার মতো এ উদ্যোগও সফল হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সততা, নিষ্ঠা এবং দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সফলতা যে শতভাগ হবে, এ ব্যাপারে নিশ্চয়তাও দেওয়া যায় শতভাগ। আমাদের দেশে দুর্নীতি একটি রোগ। এই রোগে কমবেশি অনেকেই আক্রান্ত। দেশ ও অসহায় মানুষের কথা মাথায় রেখে পেশাজীবী মনোভাব নিয়ে সততার সঙ্গে এগিয়ে যাব এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close