জয়নাল আবেদীন, ববি

  ৩১ মার্চ, ২০২৪

ববির পলাশ ফুলে সৌন্দর্যের আগুন

ঋতুরাজ বসন্তে প্রকৃতি নতুন রূপে সাজে। পাখির ডাক আর নদীর কলকল ধ্বনির মতো সৌন্দার্যের বাতাস বয়ে চলে প্রকৃতির মাঝে। ফুলের কুড়ি আর কচি পাতা মনে হয় ঝাউবাতির মতো মিটমিট করে জ্বলে থাকে পুরো দেশ। আর আগুনের মতো জ্বলে থাকা নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করে সৌন্দর্যের হাতছানি দেয় পলাশ ফুল। ববি ক্যাম্পাসে যেন পলাশ ফুলে সৌন্দর্যে রূপের আগুন লেগেছে। নবীন পাতার সমারোহ তখন ক্যাম্পাস জুড়ে দেখে এই পলাশের বর্ণমিছিল। থোকায় থোকায় গাঢ় লালচে কমলা রং যেন রঙিন করে তোলে ববি ক্যাম্পাসের দিগবিদিক। এ যেন আগুনরাঙা পলাশ না ফুটলে প্রকৃতি তথা বসন্তের পূর্ণতাই আসে না। ফাগুনের হাওয়ায় রক্তিম পলাশ যেমন যৌবনের উষ্ণতা ছড়ায়, তেমনি এই রক্তিম পলাশ বিরহ-বিদ্রোহের প্রতীক। তবে এই ফুলকে অরণ্যের বহ্নিশিখাও উল্লেখ করেছেন অনেকেই।

নারীরা যখন কোনো অনুষ্ঠান হলে সাজগোজ করে, তেমনি বসন্তকে প্রকৃতিরূপে সাজিয়ে তোলে পলাশ ফুল। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) পুরো ক্যাম্পাস এভাবে সাজিয়ে রঙিন করে রেখেছে পলাশ ফুল। রাত হলেই মনে হয় নক্ষত্র হাতের নাগালে, আর তারার মতো মিটমিট করে ক্যাম্পাসকে সাজিয়ে রেখেছে। বিকেল হলেই নারীরা সেই নক্ষত্রের সঙ্গে মিশে যায়। ক্যামেরাবন্দি করতেও তারা ভুল করেন না। বলা হয়ে থাকে শাড়িতে নারী। অথচ এখন বলতে ইচ্ছে করে শাড়ি আর পলাশে, নারীদের রাঙিয়ে তুলেছে ফুলে ফুলে। আগুনের শিখার মতো মাথার ওপর জ্বলে থাকে। মনে হয় পরী নেমে এসেছে নতুন করে। পলাশের ঘ্রাণে মেতেছে মন, প্রকৃতির রাজ্যে অনুভূতি থাকে সারাক্ষণ।

কবির ভাষায় বলতে হয়, কোকিলগুলো ডাক দিয়েছে আপন মনে, কচি পাতায় ভরেছে গাছ এই ভুবনে। পলাশ ফুল দিগন্তকে করেছে লাল, দেখি আমি আর দেখে বসন্তকাল। প্রকৃতির ভাঁজে ভাঁজে যেন মন কেমন করা উদাস আর চঞ্চল সমীকরণের প্রগাঢ় ও উচ্ছ্বাসজাগা আবাহন। প্রকৃতির যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই যেন ঝকঝকে বর্ণোজ্জ্বলতার ছোঁয়া। গাছে গাছে শোনা যায় কোকিলের কুহরণ। পলাশ ফুলে প্রকৃতি আজ নিজেকে নতুন রূপে সাজিয়েছে। এই প্রকৃতির প্রেমে পড়েই তো কবিরা কত শত কবিতা লিখেছেন। শরতের কাশ ফুল যেতে না যেতেই ববির ক্যাম্পাস জুড়ে ফুটে উঠেছে পলাশ ফুল। এই ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Butea Monosperma । দূর থেকে দেখলে মনে হবে আগুনের ঝলক। সেই সঙ্গে নারীরা মিশে যায় সেই আগুন ঝলকের সঙ্গে। মনে হয় পরীরা খেলা করছে পলাশ প্রাঙ্গণে। এ যেন অরণ্যের অগ্নিশিখা। প্রকৃতির এই দৃশ্যকে উপভোগ করার জন্য প্রকৃতিপ্রেমীরা ভিড় জমাচ্ছে এই ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে। কেউ কেউ নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য মালা গেঁথে পড়ে নিচ্ছে মাথায় ও হাতে। প্রকৃতিতে যে সত্যি বসন্তের আগমন বিরাজমান তা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে দেখা যায়। পলাশের শত শত ওই লাল পাঁপড়িতে, স্নিগ্ধতার ছোঁয়া লাগে সোনালি প্রভাতে ফাগুনের জোয়ার যেন আজ নগরীতে, কলতানে মুখরিত আঙ্গিনা পাখণ্ডপাখালিতে বর্ণিল সাজে রক্তিম আভায়, পাখির কলতানে এ ক্যাম্পাস আঙিনায় এনেছে এক নব রূপের ঐকতান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close