মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ, ঢাকা কলেজ

  ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

ঢাকা কলেজে ব্ল্যাকআউট!

গত ২২ জানুয়ারি সোমবার সকালে আমাদের কলেজ বাস (পুষ্পক) অনার্সের ছাত্রদের নিয়ে কলেজে প্রবেশ করল ৯:৩৫ মিনিটে। তখন দেখলাম একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা অপেক্ষা করছে বাসের জন্য।

তাদের ক্লাস এত দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে গেল? নাকি ইনকোর্স পরীক্ষা ছিল?

বাস থেকে নেমে অনেকটা কৌতূহলী হয়ে একজন ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করলাম। তোমাদের এত কম সময়ে ছুটি দেওয়ার কারণ কী? সে উত্তরে বলল, পুরো কলেজে এরিয়ায় কারেন্ট নেই, তাই ছুটি দিয়ে দিয়েছে।

এ নিয়ে কলেজের দাপ্তরিক কাজ করা মামার কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন কাজ চলছে ইলেকট্রিসিটি নিয়ে তবে কখন আসবে তা তিনি জানেন না।

আমাদের ১১:৩০ মিনিটে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস হওয়ার কথা। ব্যাট নিয়ে গিয়েছি বন্ধুরা মিলে ক্রিকেট খেলব ক্লাসের পর। কলেজ বাস দিয়ে যাওয়ার ফলে বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। আজ ১৩ ডিগ্রি সেসলিয়াস দেখাচ্ছে, বেশ ঠান্ডা, সূর্য না ওঠার সম্ভাবনা বেশি মনে হচ্ছে। তার ওপর কারেন্ট নেই। এ অন্ধকারে কি ম্যাম ক্লাস নেবেন?

হঠাৎ মেসেঞ্জারে ডিপার্টমেন্টের গ্রুপে মেসেজ এলো ‘তোমরা সবাই ডিপার্টমেন্টে চলে আসো ম্যাম ক্লাস নেবেন’। ডিপার্টমেন্টে গিয়ে দেখি প্র্যাকটিক্যালের জন্য কিছু পেজ ফটোকপি করতে হবে, তাই টাকা তুলছে দুজন। যেহেতু কারেন্ট নেই, তাই কলেজের ভেতরের ফটোকপির দোকান বন্ধ। সুতরাং ফটোকপির জন্য যেতে হবে নীলক্ষেত অথবা কলেজ স্ট্রিট। দুজন দায়িত্ব নিয়ে চলে গেল ফটোকপি করার জন্য।

বেশ কিছু সময় পর ক্লাস শুরু হলো অন্ধকারের মধ্যেই। ওরা দুজন ও ফটোকপি করে নিয়ে এলো। আজ ক্লাস নেবেন ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে কোয়ালিটি সম্পন্ন টিচার মুনমুন ম্যাম। তাই স্টুডেন্টদের অ্যাটেন্ডেন্স বেশ ভালো। ক্লাস শুরু হলো, ম্যাম বোঝানো শুরু করলেন তারপর একটা পর্যায়ে ৭/৮ জন করে গ্রুপ করে দেওয়া হলো প্র্যাক্টিকালটি করার জন্য। আমরা বেশ কিছুক্ষণ ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করছিলাম। অন্ধকারে ক্লাস করে মজা পাচ্ছিলাম না।

মনোযোগ আসছিল না। তাই ভাবলাম যতদ্রুত সম্ভব বের হতে পারলে ভালো লাগবে। এর মধ্যেই আমরা প্র্যাক্টিকালটি গ্রুপের সবাই মিলে প্রায় শেষ করে ফেলেছিলাম। এর কিছুক্ষণ পর ম্যাম প্র্যাক্টিকালটির ফলাফল বের করার জন্য যেই ম্যানুয়ালটি লাগবে সেটি আনার জন্য ডিপার্টমেন্টের অফিসে গেলেন এর ফাঁকেই এক্সাইটেড হয়ে আমরা ৩ জন (তামিম, লিখন ও আমি) ব্যাট নিয়ে বের হয়ে গেলাম খেলার জন্য। প্রত্যয় আর সাইদুরকে জিজ্ঞাসা করলাম যাওয়ার জন্য ওরা ক্লাস শেষ করে আসবে বলল।

আমরা মাঠে চলে গেলাম খেলা ও শুরু করলাম তার ঠিক আধাঘণ্টা পর ক্লাস শেষ করে যারা খেলবে তারা মাঠে আসতে শুরু করল। তখন ওদের থেকে জানতে পারলাম ম্যাম এটেনডেন্স নিয়েছে। এই ব্যাপারটা নিয়েই আমরা ৩ জন বেশ চিন্তিত হলাম। ম্যাম যদি হয় ডিপার্টমেন্টের স্ট্রিক কোয়ালিটি ফুল টিচার এবং তার ক্লাসের এটেন্ডেন্স মিস করা মানে প্র্যাক্টিকাল খাতা এবং ডেটা শিট এ সাইন করানো নিয়ে দুশ্চিন্তা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close