ক্যাম্পাস প্রতিবেদন

  ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯

বুটেক্সের শিক্ষার্থীদের বেকার থাকার সুযোগ নেই

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ফ্যাকাল্টি সংখ্যা ৩ থেকে ৫টিতে উন্নীত হয়েছে। বিভাগ ৮টি থেকে বাড়িয়ে ১৪টিতে উন্নীত হরা হয়। শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪১০ জন থেকে বেড়ে ৬০০ জনে উন্নীত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনো লক্ষ্য ছিল না। অর্থাৎ কোনো ধরনের অর্গানোগ্রাম ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম চারটি বছর পার হয়েছে। অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহ্মদ মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রথম পদক্ষেপেই ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ অর্গানোগ্রাম তৈরি করা। ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সর্বোপরি স্থানীয় সংসদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সার্বিক সহযোগিতায় ১২০৫ জন জনবলের একটি পূর্ণাঙ্গ অর্গানোগ্রাম তিনি সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন করান।

তার আরেকটি বড় অর্জন হলো উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পূর্বশর্ত হলো আধুনিক জ্ঞান-সমৃদ্ধ কারিকুলা ও সিলেবাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে তাড়াহুড়ো করে একটি সিলেবাস ও কারিকুলাম তৈরি হয়েছিল তার হাত ধরে। কিন্তু পরবর্তী চার বছরে সেই সিলেবাস ও কারিকুলাম আপডেইট করা হয়নি তৎকালীন প্রশাসনের সময়। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর আবার সেই সিলেবাস ও কারিকুলামকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়। এমনিক অধিভুক্ত ৬টি কলেজের সিলেবাস ও কারিকুলামকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়।

তিনি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রমে সর্বোচ্চগতি আনতে সচেস্ট রয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে বিদেশের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে বেশ কিছু স্কলারশিপ অনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে অবকাঠামোগত সুবিধা পায় তার জন্য ১৫ তলা বিশিষ্ট প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভবনটির ৭ তলা পর্যন্ত নির্মাণ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া সৈয়দ নজরুল ইসলাম হল নামে ৬ তলা একটি সম্পূর্ণ নতুন হল নির্মাণ করা হয়েছে। মেয়েদের আবাসন সংকট মেটাতে শেখ হাসিনা হলের ৫ তলা পর্যন্ত আনুভূমিক সম্প্রসারণ করা হয়। এমএজি ওসমানী হল এবং শহীদ আজিজ হলের রুমগুলোকে রিডেকোরেশনের মাধ্যমে আধুনিক করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সাইকেল ও মোটরসাইকেল রাখার জন্য ওসমানী হল ও ক্যাম্পাসে সেড নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকা-১ এ একটি ওয়েলফেয়ার অফিস নির্মান করা হয়। সর্বশেষ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল সম্বলিত অত্যন্ত নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের নির্মাণ কাজ চলমান।

অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাস্উদ আহ্মদ যোগদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৬ জন। এখন তিনি ১৩৪ জনে উন্নীত করেছেন। মাত্র ৭ জন কর্মকর্তা নিয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা হয়েছিল। আর এখন কর্মকর্তা সংখ্যা ৫৮ জন। তিনি যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম চালিকাশক্তি কর্মচারী সংখ্যা ছিল মাত্র ৪২ জন। বর্তমানে সেই কর্মচারী সংখ্যা ১০৮ জন।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার আগেই নিশ্চিত জব মার্কেটে প্রবেশ করতে পারে। তিনি বহুমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বোঝাতে সক্ষম হন যে নিশ্চিত জব মার্কেটের বাইরে গিয়ে কাজে বৈচিত্র্য আনয়ন করা। যারই ফলে এখন শিক্ষার্থী বিসিএসসহ নীতিনির্ধারণী জায়গায় ধীরে ধীরে অবস্থান করে নিচ্ছে। আগামী বছর সারা

বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বুটেক্স গ্র্যাজুয়েটদের মিলনমেলায় পরিণত হবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের

সবুজ চত্বর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, অর্থ কমিটি, একাডেমিক কাউন্সিল, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, প্রগতিশীল শিক্ষক পরিষদ, সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে সঙ্গে নিয়ে অতি দ্রুত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা ও অবকাঠামো সুবিধা আন্তর্জাতিক মানে পেঁছে দিতে পারবে শিগগিরই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close