হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ‘বায়োসেফটি অ্যান্ড বায়োসিকিউরিটি ইন বায়োমেডিক্যাল রিসার্স অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস’ শীর্ষক কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। ১১ মার্চ রোববার বিকেলে দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালা শেষ হয়।

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন (সিডিসি), আটলান্টা; ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়্যাল ডিজিজ রিসার্স, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি); বাংলাদেশ বায়োসেফটি অ্যান্ড বায়োসিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন (বিবিবিএ) এবং হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে হাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগের ল্যাবরেটরিতে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবির ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স (ডিভিএম) অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. কান্তা রায় রিমি এবং ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ড. নাসিমা সুলতানা। কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন মাইক্রোবায়োলজি (হাবিপ্রবি) বিভাগের প্রফেসর ড. মো. খালিদ হোসেন। কর্মশালা সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেন বায়োসেফটি অ্যান্ড বিএসএল৩ ল্যাবরেটরির প্রধান এবং আইসিডিডিবির অপারেশন ম্যানেজমেন্ট ড. আসাদুল গনি। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী একটি দেশ। এ দেশে প্রধান সংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে ক্যাম্পাইলোপব্যাকটেরিওসিস, টিউবারকুলোসিস, অ্যানথ্রাক্স, ব্রুসেলোসিস। এগুলোর মধ্যে অ্যানথ্রাক্স মানুষ এবং প্রাণীর মধ্যে দেখা গেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘টিউবারকুলোসিস, মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম এবং ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাসসহ হাজার হাজার সংক্রামক জীবাণু এবং বিষাক্ত পদার্থ সারাবিশ্বে বিভিন্ন ল্যাবরোটরিতে গবেষণা কাজে ব্যবহৃত হয়। ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত করা এসব বিষাক্ত পদার্থ গবেষণাকর্মী এবং আশপাশের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এ কাজে সংশ্লিষ্টদের উচিত গুরুত্ব সহকারে কাজ করা এবং ঝুকিমুক্তভাবে এগুলো ব্যবহার করা। এ জন্য দরকার জৈব নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা। জৈব নিরাপত্তা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ ধরনের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"