প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৭ এপ্রিল, ২০২৪

ভারতে ছড়াচ্ছে ভয়ংকর ভাইরাস ১ বছরে মরেছে ১ লাখ গরু

ভারতে বিষফোঁড়ার মতো ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া-রেসপিরেটারি ভাইরাস। দুমাস ধরে ডেঙ্গু বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের আরো কয়েকটি রাজ্যে। এসবের মধ্যেই আরো এক সংক্রামক ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ২০২২ সালে ১ লাখ গরুর মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল এই ভাইরাস। এর নাম লাম্পি ভাইরাস। কর্ণাটক, গুজরাট, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

গবাদি পশুদের মধ্যে একধরনের চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে এই ভাইরাসের সংক্রমণে। এ ধরনের অসুখকে বলা হয় লাম্পি স্কিন ডিজিজ। সূত্রের খবর, লাম্পি চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে চার হাজারেরও বেশি গরুর মৃত্যু ঘটেছে রাজস্থানে। এখনো পর্যন্ত এই রোগে সংক্রমিত হয়েছে প্রায় ৯৪ হাজার গবাদি পশু। প্রায় ৭০ হাজার গরুর চিকিৎসা চলছে। গুজরাট, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এই ভাইরাসের আঁতুরঘর। খবর দ্য ওয়ালের।

১৯৩১ সালে জাম্বিয়ায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম দেখা গিয়েছিল। ইউরোপে একসময় মহামারির মতো ছড়িয়েছিল লাম্পি ভাইরাস স্কিন ডিজিজ। এই ভাইরাস ক্যাপ্রিপক্সভাইরাস গোত্রের। গরু, মহিষ ইত্যাদি প্রাণীদের শরীরে ছড়ায়। দূষিত পানি, খাবার, এমনকি মশা, মাছিসহ অন্যান্য পোকার মাধ্যমেও এই ভাইরাস গবাদি পশুর শরীরে ঢুকতে পারে। তারপর রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত দেহকোষে। খুব দ্রুত ভাইরাস বিভাজিত হয়ে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে দাবি গবেষকদের। তবে গবাদি পশুর থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে কি না তা এখনো জানা যায়নি।

যেসব উপসর্গ দেখা দেয় : গরুর সারা শরীরে বড় বড় ফোস্কা পড়ে। ঘাড়ে, গলায়, পেছনের পায়ে, চোখে, লেজে, মুখে ফোস্কার মতো দেখা দেয়। শরীরের ভেতরেও এমন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে শ্বাসনালি ও খাদ্যনালির ভেতরের দেয়ালে ফোড়ার মতো হয়। এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে গরুর দুধ দেওয়া প্রায় বন্ধ হতে থাকে, ওজন কমতে থাকে। কঙ্কালসার চেহারা হয়ে যায়। নাক, চোখ দিয়ে অনবরত জল বেরোতে থাকে। পশু ঝিমিয়ে পড়তে শুরু করে।

লাম্পি স্কিন রোগের এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসা বা প্রতিষেধক নেই। আক্রান্ত পশুকে ঘন ঘন স্যালাইন খাওয়াতে হবে। শরীরে জ্বর বেড়ে গেলে প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। তবে এগুলো কোনোটিই ভাইরাস রোগের চিকিৎসা নয়। গত বছর ব্রুসেলা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। অনেকটা করোনার মতোই উপসর্গ দেখা দেয়। হাল্কা জ্বর, গা-হাত পায়ে ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, মাথা যন্ত্রণা, ওজন ও খিদে কমে যাওয়া ইত্যাদি। এই রোগকে মাল্টা ফিভার বা মেডিটেরানিয়ান ফিভারও বলা হয়। ব্রুসেলার সংক্রমণ দেখা যায় এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকাসহ একাধিক জায়গায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close