প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
সীমান্ত ইস্যুতে চীনকে ভারতের হুশিয়ারি
সীমান্তে ভারত ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনা যেন থামছেই না। এ নিয়ে ফের চীনকে হুশিয়ারি দিয়েছে ভারত। ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভাণে বলেছেন, লাদাখে প্রকৃত নিয়নন্ত্রণরেখা থেকে চীন যদি সেনা না সরিয়ে নেয় তবে ভারতও তাদের সেনা সরাবে না। খবর এনডিটিভির।
সম্প্রতি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল ২০০ চীনা সেনা। সে সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভারত সরকারের দাবি, চীনের দিকে মল্ডো পয়েন্টে গতকাল রোববারই দুদেশ সেনা সরানো নিয়ে বৈঠকে বসবে। তার আগেই ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই হুশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সেনা সরানো নিয়ে দফায় দফায় শীর্ষপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে আগেও। কিন্তু তারপরও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় তৎপরতা বজায় রেখেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। শুধু তাই নয়, চীনের দিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নানা নির্মাণকাজও চালাচ্ছে তারা, যা অশনিসঙ্কেত বলেই মনে করছে ভারত। তবে নরবণে হুশিয়ারি দিয়েছেন, চীনের এই তৎপরতার উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। কোনো রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার জবাব দেওয়ার জন্য পুরোদস্তুর প্রস্তুত তাদের সেনারা।
নারাভাণে বলেন, যেভাবে পিএলএ তাদের দিকে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে, তারা সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার বন্দোবস্ত করছে। যদি ওরা এরকম ভাবনাচিন্তা করে, তাহলে আমরাও থেমে থাকব না। আমাদের সেনাও একই রকম ব্যবস্থা করবে।
১৭ মাস ধরে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুপাশে ভারত এবং চীন দুদেশ ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। গত ৩১ জুলাই ১২ দফার বৈঠক হয়। সে বৈঠকে গোগরা থেকে সেনা সরানো নিয়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনা হয়। রোববার ১৩ দফার বৈঠকে অরুণাচল প্রদেশে চীনা সেনাবাহিনীর ঢুকে পড়ার বিষয়টি আলোচনা হতে পারে বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে।
নরবণে জানিয়েছেন, এ বছরও শীতের আগে থেকেই সেনা মোতায়েন করা শুরু করেছে চীন। অনেকটা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যে রকম পরিস্থিতি তৈরি হয় এই সময়ে, ঠিক সে রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে চীন। তবে তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না বলেও দাবি ভারতীয় সেনাপ্রধানের। তিনি বলেন, চীন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করলেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর বাধার মুখে পড়বে।
"