প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দাড়ি কামানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তালেবানের

আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে দাড়ি কামানো অথবা ছাঁটার ব্যাপারে নরসুন্দরদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তালেবান। তারা বলছে, দাড়ি কামানো অথবা ছোট করে রাখা ইসলামি আইন লঙ্ঘন করে।

এ ব্যাপারে তারা নরসুন্দরদের আনুষ্ঠানিক নোটিস দিয়েছে; যাতে বলা হয়েছে চুল ও দাড়ির ক্ষেত্রে ইসলামি আইন অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। এতে আরো বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে কোনো ধরনের অভিযোগ করার অধিকার কারো নেই। খবর বিবিসির।

নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীদের কঠোর সাজা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তালেবানদের এমন আদেশে পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নরসুন্দররা। কাবুলের বেশ কিছু নরসুন্দরও জানান, তারাও একই ধরনের আদেশ পেয়েছেন।

কাবুলের একজন নরসুন্দর বলেন, তালেবান যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত তাদের কাছে আসছেন এবং শাসিয়ে যাচ্ছেন যে, যারা আদেশ অমান্য করছে তাদের ধরার জন্য পুলিশ পাঠানো হবে।

কাবুলের সবচেয়ে বড় হেয়ার-ড্রেসিং দোকানের মালিক জানান, তিনি একটি ফোন কল পেয়েছেন। নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে তাকে একজন হুমকি দিয়েছেন ‘মার্কিন স্টাইল’ অনুসরণ না করার জন্য।

নরসুন্দররা জানান, তালেবানদের এমন আদেশে তারা পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একজন বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে এই পেশায় আছি। কিন্তু আমি আর চালিয়ে যেতে পারব বলে মনে হচ্ছে না। তার সেবাগ্রহীতাদের দাড়ি কামানো বন্ধ করে দিয়েছেন।’ দাম কমিয়েও খদ্দের আকর্ষণ করা যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন তিনি। এমন আদেশ তালেবানের অতীত শাসনামলে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। যদিও তারা আগের মতো অত কঠোর নিয়মকানুন রাখবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়কালে তালেবান শাসনামলে জমকালো চুল না রেখে বরং পুরুষদের দাড়ি রাখার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরও দাড়ি চেঁছে ফেলা অথবা বিভিন্ন কায়দার চুল-দাড়ি রাখা আফগানিস্তানে জনপ্রিয় হয়েছে।

গত মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর থেকে বিরোধীদের ওপর কঠোর সাজা আরোপ করছে তালেবান। শনিবার হেরাত প্রদেশে চারজন সন্দেহভাজন অপহরণকারীকে গুলি করে হত্যা করে পরে তাদের লাশ রাস্তায় ঝুলিয়ে রাখা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close