আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৩ এপ্রিল, ২০১৯

ভোটের ‘ভয়’ ভুলে পাহাড়ের গ্রামে ভিড় জমাচ্ছে বাঙালি

‘ভোট এসেছে। এই সময় কোথাও বেড়াতে না যাওয়াই ভালো।’ এমন একটা ধারণা পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের মধ্যে রয়েছে। রাজ্যে ভোট মানে সব সময়ই হাতাহাতি-মারামারির চিত্র উঠে আসে। পঞ্চায়েত ভোটেও সেই চিত্রের দেখা মিলেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দিনেই তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষের চিত্র দেখা গিয়েছে। সামনে আরো ছয় দফা ভোট। তার মধ্যে দ্বিতীয় দফাতেই ভোট পাহাড়ে। এমন সময়েই বাঙালির মন কাড়ছে পাহাড়ি এক ছোট্ট গ্রাম বার্মেক।

কালিম্পং থেকে রংলী যাওয়ার পথে বাংলা সিকিমের বর্ডারে অবস্থিত এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম বার্মেক। সে অর্থে বার্মেক এখনো হিমালয়ান ট্রাভেলারদের কাছে বেশ অপরিচিত। তবে শহুরে কোলাহল থেকে দূরে দুই-তিন দিন যদি প্রকৃতির কোনো অজানা আস্তানায় লুকিয়ে পড়তে চান তবে চলে যান বার্মেকে। যদি পাহাড়ি পথে এক মুহূর্তে নিজের সঙ্গে হারিয়ে যেতে চান, চলে যান বার্মেকে। ভোটের গরম বাজারে বন্ধু-পরিজনদের সঙ্গে নিশ্চিন্তে কাটাতে চান, আপনার গন্তব্য হতে পারে বার্মেক। তবে হতে পারে নয়, এটাই বাস্তব। সেখানকার হোম স্টের থেকে এমনই তথ্যই মিলছে। দুই-একটি হোম স্টে আছে ছোট্ট গ্রামে।

একেবারে নিরিবিলি, নানা রকম পাখির ডাক ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না। এমনই এক হোম স্টে হিমালয়ান রিট্রিটের কর্ণধার প্রিয়ক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি নিজেও হিমালয়ান ট্রাভেলার ছিলাম।

সেখান থেকে আমার নেশা পেশা এক হয়েছে। এখন মানুষ বাংলায় পাহাড় মানে শুধু দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এই ধারণার বাইরে বেরোতে চাইছে।

আর সেজন্যই মানুষ বার্মেকের মতো জায়গা বেছে নিয়েছে।’ ১৮ এপ্রিল পাহাড়ের এই গ্রামেও ভোট রয়েছে। ভোট হবে সমগ্র পাহাড়ে। অথচ এমন সময়েই বাঙালিরা বেশি ভিড় জমিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে প্রিয়ক মুখোপাধ্যায়ের থেকে। প্রিয়ক বলেন, ‘১৮ তারিখ হয়তো সামনে গুড ফ্রাইডের জন্য বেশি মানুষ আসবে।’

সবচেয়ে বেশি ভিড় হবে ভোটের যেদিন ফল ঘোষণা হবে অর্থাৎ ২৩ মে। হোম স্টেগুলো সূত্রে জানা যায়, রাজনীতিপ্রিয় বাঙালি সেসবÍ ভুলে, দিদি-মোদির লড়াই ভুলে আগে থেকেই পাহাড়ে পারি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রিয়ক বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ভোটের সময় পশ্চিমবঙ্গের অন্য জায়গা থেকে পাহাড়কে অনেক কাছের এবং সেফ বলে মনে করে মানুষ। সেজন্যই ২৩ তারিখেও পাহাড়ে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ।’

সিল্ক রুট যাওয়ার পথেই এই গ্রাম। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বার্মেকের দূরত্ব ৯২ কিলোমিটার এবং বাগডোগরা থেকে দূরত্ব ৯৮ কিলোমিটার। কালিম্পং থেকে এই গ্রামে দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। সারা দিন মেঘেরা পাহাড়ের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে। মানুষের আতিথেয়তা অসাধারণ। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়িতে বার্মেক আসতে সময় লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টার কাছাকাছি। বার্মেকের খুব কাছেই ইচ্ছেগাও, সিলারিগাঁও ইত্যাদি গ্রাম। হিমালয়ান পার্ক, জলসা বাঙলো, রামিতে ভিউ পয়েন্ট, লাভা , রিশপ ইত্যাদি ঘুরে আসা যায়। এছাড়া হিমালি পার্ক, ডেলো, ডুর্পিন, পাইন ভিউ নার্সারি, হনুমান টক ইত্যাদি স্থান এক দিনেই ঘুরে আসা যায়। তাহলে কী ভাবছেন?

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close