আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০১ মার্চ, ২০১৯

সর্বাত্মক যুদ্ধ হলে ভারত-পাকিস্তান ব্যবহার করবে যেসব বিমান

পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ হলে দুই বিবদমান এবং পরমাণু শক্তিধর দেশ কী ধরনের বিমান ব্যবহার করবে তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে প্রবল হয়ে উঠেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ তালিকা প্রকাশ করেন রাশিয়ার এক সামরিক বিশ্লেষক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা।

ভারত সম্প্রতি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বল্পকালীন আকাশযুদ্ধে অন্তত একটি মিগ বিমান হারিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের হাতে বন্দি হয়েছেন মিগ-২১-এর বৈমানিক এবং সূর্য কিরণ অ্যাক্রোবেটিক টিম (এসকেএটি)-এর সদস্য উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান।

পাক-ভারত সংঘর্ষ, এ অবস্থায়, সর্বাত্মক লড়াইয়ের রূপ নিলে উভয় দেশ কী ধরনের বিমান নিয়ে আকাশযুদ্ধে নামতে পারে তার একটি খতিয়ান দিয়েছেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সাবেক কর্নেল এবং সামরিক বিশ্লেষক মিখাইল খোদারেনোক।

সম্ভাব্য যুদ্ধে ভারতকে প্রধানত নির্ভর করতে হবে সোভিয়েত জামানার মিগ-২৯ বিমানের ওপর। ১৯৭০-এর দশকে তৈরি এ বিমানকে প্রধানত এফ-১৫ এবং এফ-১৬-এর মতো মার্কিন জঙ্গিবিমান মোকাবিলার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল। প্রথমে আকাশযুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের জন্য তৈরি করা হলেও পরে মিগ-২৯ কে বহুমুখী যুদ্ধবিমান হিসেবে গড়ে তোলা হয়। এতে বসানো যাবে আকাশ থেকে আকাশে এবং আকাশ থেকে ভূমিতে ছোড়ার উপযোগী নানা ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানার উপযোগী বোমা বসানোর অবকাশও রয়েছে।

ভারতের আকাশ যুদ্ধের ভান্ডারের অন্যতম বিমান এসইউ-৩০ এমকেআই। দুই ইঞ্জিনের উন্নতমানের এ যুদ্ধ বিমান ১৯৯০-এর দশকে তৈরি করেছে রাশিয়ার সুখোই। ২০০২ সাল থেকে এ যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করতে শুরু করে ভারত। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড বা এইচএএল বর্তমানে ভারতের জন্য তৈরি করছে এ বিমান। একে ভারতের অন্যতম অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান হিসেবে গণ্য করা হয়। রাশিয়ার তৈরি এসইউ-৩৫ বিমানের অনেক বিশেষত্বই এতে রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ফ্রান্সের তৈরি মিরেজ-২০০০ বিমানের ওপরও ভারতকে নির্ভর করতে হবে। চতুর্থ প্রজন্মের এ মিরেজ বিমানকে মিগ-২৯-এর সমতুল্য বলে ধরে হয়।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের কাছে রয়েছে মিরেজ-৪ এবং মিরেজ-৫। ১৯৬০-এর দশকে তৈরি এ বিমান প্রতিপক্ষ দেশের যুদ্ধবিমানের তুলনায় অনেক পুরনো। এসব বিমানকে ঐতিহ্য অনুযায়ী আকাশ থেকে আকাশে ছোড়ার উপযোগী নানা ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত করা হয়।

এছাড়া, পাকিস্তানের রয়েছে এফ-১৬ বিমানবহর। একে পাকিস্তানের কাছে থাকা পশ্চিমাদের তৈরি অত্যাধুনিক বিমান হিসেবে গণ্য করা হয়। চীনে তৈরিও কিছু বিমান পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কাছে আছে। তবে এগুলো সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close