আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আসছে মরণব্যাধি ‘এমজি’
সতর্ক না হলে এখনকার স্বল্প পরিচিত যৌনবাহিত একটি রোগই সামনের দিনগুলোতে মরণব্যাধি হয়ে উঠতে পারে। মাইকোপ্লাজমা জেনিটালিয়াম বা সংক্ষেপে এমজি নামক এই রোগটার প্রায়শই কোনো লক্ষণ ধরা পড়ে না।
কিন্তু শ্রোণি প্রদাহজনিত রোগের জন্ম দিতে পাওে, যা একজন নারীকে সন্তান জন্মদানে অক্ষম করে দিতে পারে।
মহিলাদের শ্রোণি অঞ্চলে যে অঙ্গগুলো থাকে তা হলোÑ অন্ত্র, মূত্রাশয়, জরায়ু ও ডিম্বাশয়।
সঠিক চিকিৎসা না করালে এমজি জীবাণু শরীরে থেকে যেতে পাওে, যা শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে।
আর সে কারণেই ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অব সেক্সুয়াল হেল্থ অ্যান্ড এইচআইভি এ বিষয়ে নতুন পরামর্শ দিয়েছে।
এমজি একটি ব্যাকটেরিয়া, যা পুরুষের মূত্রনালিতে প্রদাহ তৈরির কারণ হতে পাওে, যা পুরুষাঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার ফলে মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা অনুভূত হবে।
আর নারীদের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়সহ প্রজনন অঙ্গগুলোতে প্রদাহ হতে পারে যার মধ্যে প্রচন্ড ব্যথা এবং জ্বর হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণেরও সম্ভাবনা আছে।
ইতোমধ্যেই এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হলে এ রোগ আরেকজনের মধ্যেও ছড়াতে পারে।
আর সে কারণেই যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কনডমের ব্যবহার রোগটি থেকে মুক্ত থাকার সহজ উপায় বলে বলা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে ১৯৮০ সালে প্রথম রোগটি শনাক্ত হয়েছিল।
"