আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৯ বছর পর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট
সেনাসদস্যদের নিরাপত্তার জন্য ২০০৯ সালে এক লাখ ৮৬ হাজার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট সরহরাহের চুক্তি প্রস্তাব করেছিল ইন্ডিয়ান আর্মি। অবশেষে দীর্ঘ নয় বছর পর চুক্তিটি সম্পন্ন হয়েছে। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট সরবরাহের জন্য একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে দেশটির সেনাবাহিনী। ৬৩৯ কোটি রুপির চুক্তিটি ওই প্রতিষ্ঠানটির জন্য এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে বড় অর্ডার। এসএমপিপি প্রাইভেট লিমিটেড নামের দিল্লিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়, অর্ডার অনুযায়ী জ্যাকেটগুলো সেনাবাহিনীড় হাতে তুলে দিতে আরো তিন বছর লাগবে। ২০০৯ সালে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের অর্ডার প্রস্তাব করা হলেও, কোনো প্রতিষ্ঠানই সেনাবাহিনীর শর্তসমূহ পূরণ করতে পারছিল না। সেনাবাহিনীর শর্তে বলা ছিল, জ্যাকেটগুলো দশমিক ৩০ ক্যালিবারের বর্ম-ভেদকারী বুলেট প্রতিরোধে সক্ষম হতে হবে। চারটি প্রতিষ্ঠান এতে আবেদন করলেও, সবার আবেদনই বাতিল করে দেয় সেনাবাহিনী। এদিকে কয়েক বছরেও কোনো প্রতিষ্ঠান বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারায় ২০১৬ সালে জরুরিভিত্তিতে ৫০ হাজার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ক্রয় করা হয়। কিন্তু সেগুলো ছিল পুরনো ডিজাইনের ও কম ক্ষমতাসম্পন্ন। তাছাড়া, সেনাবাহিনীতে বুলেটোপ্রুফ জ্যাকেট প্রয়োজন সাড়ে তিন লাখের চেয়েও বেশি। তাই খোলা রাখা হয় এক লাখ ৮৬ হাজার জ্যাকেটের প্রস্তাবটি। দীর্ঘ নয় বছর পর চুক্তিটি সম্পন্ন হওয়ায় কিছুটা ভারমুক্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। জানা যায়, এই জ্যাকেটগুলোতে থাকছে ‘বোরন কারবাইন সিরামিক’ যাকে বলা হয় ব্যালিস্টিক প্রতিরক্ষার সবচেয়ে হালকা ও কার্যকরি উপাদান।
"