প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৩ মে, ২০২৪

জব্দ রুশ সম্পদ ইউক্রেনকে দিতে চায় জি-৭

ইতালিতে গ্রুপ অব সেভেনের (জি-৭) অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক হতে যাচ্ছে চলতি সপ্তাহে। এবারের বৈঠকে অন্যতম আলোচ্য বিষয় হিসেবে ইউক্রেন যুদ্ধে কীভাবে জব্দ করা রুশ সম্পদ ব্যবহার করা যাবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চীনের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য শক্তিকে মোকাবিলার করা যাবে সে বিষয়গুলো স্থান পাবে।

কর্মকর্তারা বলেছেন, বৈঠকে উভয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি সাধারণ ভিত্তি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন নেতারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

আগামীকাল শুক্রবার এবং শনিবার ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় স্ট্রেসা শহরে জড়ো হবেন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইতালি এবং কানাডা- এ ৭ দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকাররা মিলিত হচ্ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরুর পরপরই রাশিয়ার ৩০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছিল পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। সেই অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার কীভাবে করা যাবে তা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলোচনা করছেন জি ৭-এর আলোচকরা।

এ সম্পদগুলো থেকে ভবিষ্যৎ আয় বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করার জন্য চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি মনে করছে, একটি বন্ড ইস্যু করার মাধ্যমে অথবা সম্ভবত ইউক্রেনকে একটি ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আয় বাড়ানো যেতে পারে। একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, এ ধরনের কিছু করতে গেলে অনেক আইনি এবং প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনা করতে হবে। যার অর্থ, স্ট্রেসাতে একটি বিশদ চুক্তি হবে এমন কোনো সম্ভাবনা আপাতত নেই।

এক্ষেত্রে একটি অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে আগামী ১৩-১ জুন ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় পুগলিয়াতে জি ৭-এর সরকার প্রধানরা জড়ো হবেন।

ইউক্রেনের জন্য জি-৭ একটি বন্ড ইস্যু করবে এমন ধারণা খেই হারিয়ে ফেলেছে। এর পরিবর্তে বরং জব্দ করা সম্পদ থেকে আয়ের প্রবাহ হিসেবে দেশটিকে এখন একটি ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, এ ঋণটি কে পরিচালনা করবে বিশ্বব্যাংক নাকি অন্য কোন সংস্থা, এটি কীভাবে নিশ্চিত করা হবে, কীভাবে ভবিষ্যতের লাভ হিসেবে করা যেতে পারে এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যৎ কোনো শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে এ নিয়ে কী কী ঘটতে পারে এ সব দিকগুলো এখনো স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা বিশেষভাবে সতর্ক রয়েছেন। এক ইইউ কূটনীতিক বলেছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য ‘কয়েক মাস না হলেও অন্তত কয়েক সপ্তাহ’ সময় তো লাগবেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close