নিজস্ব প্রতিবেদক 

  ২৬ মার্চ, ২০২৪

‘গণহত্যা কর্নারে’ প্রবেশ নিষেধে আক্ষেপ মোমেনের

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় নির্মিত ‘গণহত্যা কর্নারে’ স্কুলের ছেলে-মেয়েদের আসতে উৎসাহ না দেওয়ায় এবং জনগণের প্রবেশে নিষেধ থাকায় আক্ষেপ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল সোমবার নিজের ফেসবুকে পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন ‘আজ ২৫ মার্চ-গণহত্যা দিবস। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর ‘সুগন্ধায়’ যেখানে জাতির জনক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্ব প্রথম দপ্তর ছিল, যে ভবনে তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আগা মোহাম্মদ ইয়াহহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে ‘গণহত্যা কর্নার’ স্থাপন করি। আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ ও আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ শত শত রাজনৈতিক নেতা এবং বিদেশি রাষ্ট্র্রদূতদের উপস্থিতিতে কর্নারটি উদ্বোধন করা হয়।

এ গণহত্যা কর্নারের দৃষ্টিনন্দন ভবনে (যেটা তৈরি হয়েছিল ১৯৬১ সালে দ্বিতীয় রানি এলিজাবেথ বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে) আরো রয়েছে বঙ্গবন্ধু সরকারের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রথম দপ্তর, বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত টেবিল, চেয়ার, ফোনসেট, ইত্যাদি। বঙ্গবন্ধু ফটো গ্রেলারি, বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র বা Bangabandhu Diplomatic Center for Excellence, ইত্যাদি। আমি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম যে সপ্তাহের দুদিন এ ভবনটি দেশের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, তারা বিভিন্ন স্কুল থেকে তাদের শিক্ষকের গাইডেন্সে ভবনটি পরিদর্শন করবে, ফিরে গিয়ে এর ওপর প্রবন্ধ লিখবে, ইত্যাদি এবং বাকি দুদিন জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কিন্তু গণহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধু কর্নারে গিয়ে দেখলাম ভবনটি ফাঁকা। কোনো লোকজন নেই। আরো জানলাম যে, স্কুলের ছেলে-মেয়েদের আর এখানে আসতে উৎসাহ দেওয়া হয় না, জনগণেরও প্রবেশ নিষেধ।’ মোমেন আরো লেখেন, ‘এখনো আওয়ামী লীগ সরকারে আছে। তাতেই এখানের বেহাল অবস্থা। আমরা কি এসব বিষয়ে মনোযোগী হব? ধন্যবাদ।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close