প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

রামমন্দির উদ্বোধন করলেন মোদি

ভারতের অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি দেশের বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার আমন্ত্রিত সব নেতা। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েও আসেননি চার শঙ্করাচার্যের কেউই।

তাদের মতে, অসমাপ্ত মন্দিরের উদ্বোধন ও সেখানে রাখা বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হিন্দুমতে অধর্ম। তা ছাড়া তারা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, মন্দির উদ্বোধনের নামে যা হচ্ছে, তা ধর্ম নয়, পুরোটাই রাজনীতি।

গতকাল নির্দিষ্ট সময়েই হেলিকপ্টারে চড়ে অযোধ্যায় আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বেলা ১১টার পর ঘিয়ে রঙের সিল্কের পাঞ্জাবি, ধুতি, জ্যাকেট ও অঙ্গবস্ত্র পরে তিনি মন্দির চত্বরে প্রবেশ করেন। থালাবোঝাই পূজার নৈবেদ্য নিয়ে পুরোহিতদের সঙ্গে ধীর পায়ে এগিয়ে যান নবনির্মিত মন্দিরের গর্ভগৃহে। সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুরু হয় রামলালা (শিশু রাম) বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠার পূজা-অর্চনা। খুলে দেওয়া হয় বিগ্রহের চোখের বাঁধন। পঞ্চপ্রদীপ জ্বালিয়ে প্রধানমন্ত্রী রামের আরতি করেন।

এদিন দুপুর ১২টা বেজে ২৯ মিনিট ৩ সেকেন্ড থেকে শুরু হয়ে ১২টা বেজে ৩০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড পর্যন্ত ছিল হিন্দুশাস্ত্রমতে শুভক্ষণ, যা ‘অভিজিৎ মুহূর্ত’ (বিশেষ মুহূর্ত) বলে পরিচিত। ওই সময়ের মধ্যেই বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে প্রাণপ্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়। প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন এই অনুষ্ঠানের প্রধান যজমান।

প্রাণপ্রতিষ্ঠা ও মন্দির উদঘাটনের পর সেখানেই শুরু হয় জনসভা। প্রধানমন্ত্রীর আগে ভাষণ দেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তার ভাষণে ছিল রাজনৈতিক সুর। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির নাম না করে সেই আমলে অযোধ্যার ‘অরাজকতা’র প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। বলেন, অযোধ্যায় মন্দির পরিক্রমায় আর কেউ কোনো দিন বাধা দিতে পারবেন না। অলিগলিতে গুলির আওয়াজ শোনা যাবে না। রামনবমী বা দীপাবলিতে কারফিউ জারি হবে না। রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হবে রামরাজ্য।

যোগী আদিত্যনাথই ছিলেন এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোর একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close