আব্দুর রউফ, ধামরাই (ঢাকা)

  ০৪ আগস্ট, ২০২২

ধামরাইয়ে মহাসড়কে অবৈধ বাজার

প্রভাবশালীদের পকেট ভারী, মানুষের দুর্ভোগ

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কালামপুর বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়ক দখল করে কাঁচাবাজার বসিয়ে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা। এছাড়াও কালামপুর বাসস্ট্যান্ডের লোকাল লেন ও কালামপুর-সাটুরিয়া আঞ্চলিক সড়কের প্রবেশদ্বারের বাম পাশে মহাসড়কে রয়েছে দুই শতাধিক অবৈধ দোকানপাট। যা স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে।

এছাড়া সড়কে ভ্যান বসিয়ে বিক্রি করা হয় নানা ধরনের পণ্য। দোকানগুলোর কারণে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালামালের গাড়ি, ব্যক্তিগত গাড়ি, মুমূর্ষু রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে প্রায়ই গাড়িচালক ও পথচারীদের সঙ্গে দোকানদারদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। এমনকি হামলার ঘটনাও ঘটছে। সড়কটিতে বসানো প্রতি দোকান থেকে দিনে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা চাঁদা আদায় করছে ওই প্রভাবশালী মহল। এতে মাসে ৪ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করা হয় বলে জানা গেছে। ৪-৫ বছর ধরে এখানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাজার থেকে এভাবেই চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে সূত্র জানায়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নফা মিয়া নামে এক ব্যক্তি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এক বছর ধরে চাঁদা তুলছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি চাঁদা তুলত। এসব দোকানপাট থেকে যে চাঁদা উঠছে তার বেশির ভাগ টাকা যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের পকেটে।

স্থানীয় চাষিরা জানান, আমরা শাকসবজি বিক্রি করতে এখানে আসি। প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা গুনতে হয়। ভ্যানে করে যারা মালামাল বিক্রি করেন তারা বলেন, ভ্যানপ্রতি ১০০ টাকা, চটপটি ফুসকা বিক্রেতা দেন মাসে ৭০০০ হাজার টাকা, মাছ বিক্রেতারা দেন প্রতিদিন ৩০০ টাকা এবং স্থায়ীভাবে যারা সড়কে বড় করে দোকান করেন তারা দেন প্রতিদিন ৩০০ টাকা। আর এসব দোকানদারের কাছ থেকে খাজনা নামে চাঁদা তুলেন নফা ভাই।

নফা মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি টাকা তোলার কথা স্বীকার করে বলেন সব টাকা আমি ওয়াদুদ নামের এক নেতার কাছে দেন। তিনি আরো বলেন, বাজার পরিষ্কার ও পাহারাদারদের এই টাকা থেকে বেতন দেওয়া হয়। তবে ওয়াদুদ নামের ওই ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে গোলড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি) মো. মাসুুদ খান বলেন, প্রতিদিন আমরা অভিযান চালিয়ে বাজার ভেঙে দিচ্ছি। আমাদের টিম চলে আসার পর আবার দোকান বসে। খাজনার টাকার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close