এইচ আর তুহিন, যশোর

  ০৭ মে, ২০২১

ধান শুকানোর ধুম

যশোরের মণিরামপুরের কৃষান-কৃষানীরা প্রখর রোদ কাজে লাগিয়ে ধান সেদ্ধ ও শুকানোর কাজ করছেন জোরেশোরে। এ ধান শুকানোর পরেই তা মাড়াই করে তৈরি হবে পরবর্তী আমন মৌসুমের পর্যন্ত খাওয়ার চাল। শুধু কৃষান-কৃষানী নন, এ কাজে সন্তানরাও সহযোগিতা করছেন। উপজেলার চন্ডীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ গ্রামগঞ্জের মাঠে চলছে ধান শুকানোর ব্যস্ততা। এদের কেউ সাপডা (ধান নাড়াচাড়া করার যন্ত্র) দিয়ে ধান এক জায়গায় করছেন, কেউ ঝাড়– দিয়ে ধান কুড়াচ্ছেন, আবার কেউ ডালা দিয়ে ধান বস্তায় ভরছেন।

কৃষানী শাহিদা বেগম বলেন, ‘সেদ্ধ ধানে এট্টু পানি লাগলি চাল বানাতি কষ্ট হবেনে, এতে করে ওই চালের ভাত আর খাওয়া যাবেন না বাবা। এজন্য স্কুল মাঠে ধান অ্যানে বাড়ির সবাই মিলে রোদি শুকানের কাজ করতিছি।’ তার এ কাজে ছেলে হাবিবুর রহমান সহযোগিতা করেন। শুধু শাহিদার পরিবার না, ওই গ্রামের অধিকাংশ নারী-পুরুষ ওই মাঠে ধান শুকাচ্ছেন।

চলতি বোরো মৌসুমে যশোরের মণিরামপুরে মাঠ থেকে ধান কাটা প্রায় শেষের পর্যায়। এ মুহূর্তে ধান পরিষ্কার করাও শেষের পথে। পরবর্তী আমন মৌসুম পর্যন্ত খাওয়ার চাল বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও কৃষানীরা। তাইতো গ্রামের সিংহভাগ পরিবারে চলছে ধান সেদ্ধ-শুকানোর কাজ।

জামাই ইব্রাহিম তার শাশুড়ি নূরজাহানকে ধান শুকানোর কাজে সহযোগিতা করছেন। অবশ্য বসে নেই মেয়ে আসমাও, তিনি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে মাকে সাহায্য করছেন। এ সময় কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, ‘আগে গ্রামের প্রত্যেক গৃহস্থ বাড়িসংলগ্ন খলেন (বড় উঠান) থাকত। কিন্তু আজ গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে ফাঁকা জায়গার অভাব। সেই কারণে স্কুল মাঠ কিংবা ফসলি মাঠের ফাঁকা জায়গায় নাইলোনের সুতায় বুনা জালের ওপর ধান শুকানো হচ্ছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close